শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪


ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী। ছবি : সংগৃহীত।

ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনীর বিয়ে হয়েছিল ১৯৮০ সালে। হেমার সঙ্গে যখন বিয়ে হয়, ধর্মেন্দ্র তখন প্রকাশ কৌরের সঙ্গে সংসার করছেন। প্রকাশের সঙ্গে আইনত বিচ্ছেদ না করেই হেমাকে বিয়ে করেন অভিনেতা। এ দিকে হেমার পরিবার আবার তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি জানান। একই ভাবে ধর্মেন্দ্রর প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানরাও এই সম্পর্ক মানতে চাননি। কিন্তু সময় সব কিছুকে বদলে দেয়। যদিও পরে প্রকাশ কৌরের সঙ্গে স্বাভাবিক হয় সম্পর্ক।
তবে প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানরা হেমা মালিনীর সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকেননি। ফলে বিয়ে, সন্তান হলেও হেমার আর সংসার করা হয়নি। এখন প্রকাশ কৌরের সঙ্গেই থাকেন ধর্মেন্দ্র। সানি দেওলের ছেলে করণ দেওলের বিয়ে হয় গত ৮ জুন। নাতির বিয়েতে প্রকাশকে সঙ্গে নিয়েই আসেন বীরু। নবদম্পতিকে আশীর্বাদও করেন।
আরও পড়ুন:

রিভিউ: ওয়েব সিরিজ ‘স্কুপ’, ওটিটি হল বিনোদনের আইপিএল

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২৮: সাইনাস নাকি কখনওই সারে না?

তাহলে দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনী কোথায় গেলেন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকার দেন হেমা। সেখানে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন এক ছাদের তলায় থাকেন না তিনি ও ধর্মেন্দ্র। অন্য বাড়িতে থাকেন ধর্মেন্দ্র। আর হেমা থাকেন তাঁর নিজের বাড়িতে। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘এমনটা কি কেউ চায়? আসলে সব কিছু ঘটে যায়। একটা সময় তা মেনে নিতেও হয়। সব নারীই চান আর পাঁচটা স্বাভাবিক পরিবারের মতো তারও স্বামী, সন্তান হোক। যদিও সব সময় তা সম্ভব হয় না।’’
আরও পড়ুন:

ইতিহাস কথা কও, কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-১: রাজবাড়ির ইতিকথা—ইতিহাসের অন্তরে ইতিহাস

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-২: মেয়েটি যেন গৃহলক্ষ্মী

যদিও এ নিয়ে বীরুর উপর বাসন্তীর কোনও ক্ষোভ রয়েছে, এমনটা নয়। হেমার কথায়, ‘‘এ নিয়ে আমার কোনও খারাপ অনুভূতি নেই। খারাপ লাগা বা দুঃখ প্রকাশও করি না। আমি খুশিতেই রয়েছি। আমার দুই সন্তানকে ভালো করে মানুষ করেছি। উনি (ধর্মেন্দ্র) সব সময় আমার সঙ্গেই ছিলেন। সন্তানদের নিয়ে চিন্তা করতেন। তিনি বলতেন, মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়া দরকার। আমি ওঁকে আশ্বস্ত করে বলতাম, যখন সঠিক সময় আসবে, তখন হবে।’’

হেমা তাঁর আত্মজীবনীতে লেখেছেন, ‘‘কাউকেই আমি অহেতুক বিরক্ত করতে চাইনি। উনি মেয়েদের জন্য যা করেছেন, তাতে আমি খুশি। এক জন ভালো বাবা হিসেবে তিনি সব দায়িত্ব পালন করেছেন।’’

Skip to content