মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল, ২০২৫


পরিচালক তরুণ মজুমদার

আগের তুলনায় স্থিতিশীল হলেও এখনও পুরোপুরি সংকটমুক্ত নন পরিচালক তরুণ মজুমদার। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পরিচালকের কিডনি ৫ শতাংশের মতো কাজ করছে। সাধারণত প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে কিডনির কাজ করার ক্ষমতা দশ শতাংশে নেমে এলে ডায়ালিসিস শুরু করার কথা ভাবেন চিকিৎসকরা। পরিচালকের কিডনি ঠিক মতো কাজ না করায় সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় থাকছে না। ফলস্বরূপ জন্য সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। সেই সঙ্গে শরীরে দরকারি খনিজের পরিমাণও কম রয়েছে। প্লেটলেটও স্বাভাবিকের থেকে নীচে। পাশাপাশি রক্তক্ষরণ‌ও হচ্ছে। যদিও চিকিৎসকদের মতে, দু’টি কিডনি‌ ঠিক মতো কাজ না করায় এই শারীরিক সমস্যাগুলি স্বাভাবিক। গত শুক্রবার পরিচালকের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে তাঁকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়েছিল। তবে শনিবার তা আবার খুলেও নেওয়া হয়। গতকাল রাইলস টিউবের মাধ্যমে তাঁকে খাওয়ানো হয়েছিল। সেকারণে সোমবার রাইলস টিউব খোলার ব্যাপারে চিকিৎসকরা ভাবনাচিন্তা করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
পরিচালক তরুণ মজুমদার প্রথমে শচীন মুখোপাধ্যায় এবং দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘যাত্রিক’ নামে একটি দল তৈরি করে ছবি পরিচালনার কাজ আরম্ভ করেন। এরপর আর একসঙ্গে নয়, নিজেই একের পর এক ছবি পরিচালনা করতে শুরু করেন। সত্তর দশকের অন্যতম সেরা পরিচালক কেমিস্ট্রির ছাত্র তরুণ মজুমদার ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘বালিকা বধূ’, ‘কাচের স্বর্গ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, কুহেলি, ফুলেশ্বরী, ‘আপন আমার আপন’, পলাতক, নিমন্ত্রণ, সংসার সীমান্তে ‘চাঁদের বাড়ি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘আলো’-সহ একাধিক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। এর মধ্যে ‘কাচের স্বর্গ’ ছবির জন্য ১৯৬২ সালে তিনি জাতীয় পুরস্কারও পান। এছাড়াও তিনি পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছেন।

Skip to content