অমিতাভ বচ্চনের জীবনে ৩০ নভেম্বর দিনটার একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ এর সঙ্গে যে কলকাতার তথা বাংলার যোগ রয়েছে! ১৯৬৮ সালে এই দিনেই কলকাতার তাঁর চাকরি জীবনে দাঁড়ি টেনেছিলেন হরিবংশ রাই বচ্চনের পুত্রটি।
বুধবার নিজের ব্লগে এক অনুরাগীর একটি পুরনো টুইট ভাগ করেন তিনি। শুধুই চাকরির শেষ দিন নয়, ওই টুইট থেকে মেগাস্টারের প্রথম পাওয়া বেতনের কথাও জানা যাচ্ছে। সেই টুইট থেকে জানা যাচ্ছে, ‘‘কলকাতায় ব্ল্যাকার্স কোম্পানিতে অমিতাভ বচ্চনের কর্মজীবনের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর ১৯৬৮। বেতন ১,৬৪০ টাকা। এখনও সেই ফাইল সংরক্ষিত করা আছে।’’ টুইটটি ২০১৫ সালের করা।
আরও পড়ুন:
শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব ২৬: ‘সত্যেরে লও সহজে’—রাজসুখ ছেড়ে কি তবে বনবাসী মন?
ডায়েট ফটাফট: না খেয়ে নয়, বরং খেয়েই কমান ওজন! কী কী খেলে মেদ ঝরবে? দেখুন ভিডিয়ো
প্রত্যেকের জীবনেই প্রথম চাকরি একটা আলাদা স্থান দখল করে থাকে। অমিতাভের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। বুধবার নিজের চাকরি জীবন এবং সেই সঙ্গে কলকাতায় কাটানো দিনগুলোর নস্টালজিয়া হয়ে পড়েছিলেন বিগ বি। তিনি লেখেন, ‘‘তখন দশ ফুট চওড়া ঘরে আমরা ৮ জন একসঙ্গে থাকতাম।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সে সব দিন ছিল বটে। অফিসের পর বন্ধুদের সঙ্গে জনপ্রিয় রেস্তরাঁর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতাম। আর ভাবতাম কোনও দিন হয়তো ভিতরে প্রবেশের জন্য টাকা উপার্জন করেত পারব।’’ তার পরে দ্বাররক্ষককে অনুরোধ করেও কখনও কখনও ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করতাম আমরা।
আরও পড়ুন:
কিম্ভূতকাণ্ড, পর্ব-১: পোড়া গাছের ডাল থেকে নেমে এল সে! ভাটার মতো সবজে চোখ, ধোঁয়াটে শরীর…
বাইরে দূরে: তুষারপাতের সেই দিনগুলি, পর্ব-৩: ভারতে যেমন বৃষ্টি, এখানে তেমনি বরফ, যাদের ভালো লাগে, তারা প্রেমে পড়ে যায়
শাহেনশা এও জানিয়েছেন, এখনও কলকাতায় এলে পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। এমনকি, রাতের অন্ধকারে ফেলে আসা শহরের সেই পরিচিত জায়গাগুলিও সময় করে ঘুরে দেখে ফেলেন সিনিয়র বচ্চন। অমিতাভ লিখেছেন, ‘‘কেউ কেউ হারিয়ে গিয়েছেন, আবার কোনও কোনও বন্ধু এখনও রয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের ভালোবাসা এখনও আমার সঙ্গে থেকে গিয়েছে।’’