শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


‘ওএমজি ২’। অক্ষয় কুমার। ছবি: সংগৃহীত।

প্রায় এক দশক পরে মুক্তি পেতে চলেছে সিক্যুয়েল। অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘ওএমজি: ওহ মাই গড’ ২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল। প্রথম ছবি মুক্তির প্রায় ১১ বছর পরে তার সিক্যুয়েল বা দ্বিতীয় ভাগ ‘ওএমজি২’ মুক্তি পেতে চলেছে শীঘ্রই।

সম্প্রতি ‘ওএমজি২’ ছবির প্রথম ঝলক মুক্তি পেয়েছে। আগামী ১১ অগস্ট অর্থাৎ মাসখানেকের মধ্যেই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা। যদিও মুক্তির আগে বড়সড় ধাক্কা খেল ‘ওএমজি ২’। খবর, ছবি মুক্তি নিয়ে স্থগিতাদেশ জারি করেছে সেন্সর বোর্ড তথা সিবিএফসি। জানা যাচ্ছে, সব দিক বিচার বিশ্লেষণ না করে ‘ওএমজি২’ ছবিকে ছাড়পত্র দিতে রাজি নয় সেন্সর বোর্ড।
কেন এমন সিদ্ধান্ত? ‘আদিপুরুষ’ মুক্তির পর থেকেই ছবিটিকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। ছবির চরিত্র, তাঁদের পোশাকআসাক, সংলাপ-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে দর্শকের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। ‘আদিপুরুষ’ যেহেতু হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের আধুনিক সংস্করণ, তাই সেই অসন্তোষ থেকে তা দ্রুত বিক্ষোভে পরিণত হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। সব মিলিয়ে ‘আদিপুরু ছবিকে ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে সেন্সর বোর্ডকেও।
আরও পড়ুন:

প্রসঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান: মানসিক অবসাদ এড়াতে ওষুধের সঙ্গেই ভরসা থাকুক পুষ্টিকর খাবারে, কী বলছে গবেষণা?

দশভুজা: আমি আর কখনওই ফিরে আসার প্রত্যাশা করি না…

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছবির কিছু সংলাপ পরিবর্তন করা হয়। যদিও এতে কিছুই লাভ হয়নি। সব মিলিয়ে মুখ পুড়েছে সেন্সর বোর্ডেরই। এই অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি চায় না সেন্সর বোর্ড। সে কারণেই ‘ওএমজি ২’-ছবিকে ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে সেন্সর বোর্ড বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে চাইছে।
আরও পড়ুন:

তাঁদের ৪৩ বছরের দাম্পত্য, দুই কন্যার বাবা-মা, তবুও এক ছাদের তলায় থাকেন না ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী, কেন?

রিভিউ: ওয়েব সিরিজ ‘স্কুপ’, ওটিটি হল বিনোদনের আইপিএল

‘ওএমজি: ওহ মাই গড’ ছবিতে অক্ষয় কুমার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ‘ওএমজি ২’-তে তাঁকে মহাদেবের ভূমিকায় দেখা যাবে। সম্প্রতি অক্ষয়ের সেই লুকও প্রকাশ্যে এসেছে। অভিনেতা কিছু দিন আগে সমাজমাধ্যমে যে ভিডিয়োটি পোস্ট করেন সেখানে তাঁকে মহাদেবের বেশে দেখা যায়। তিনি বারাণসীর রাস্তায় হাঁটছেন। তাঁর মাথায় জটা, গলায় নীল আভা, চোখেমুখে ভস্ম মাখা। চতুর্দিক থেকে ‘হর হর মহাদেব’ রব উঠছে। ছবিতে ধর্ম বা দেবদেবীদের চরিত্রায়ণ সব সময়ই স্পর্শকাতর। দর্শকের ভাবাবেগে যাতে আঘাত না লাগে, সেই ভাবনা থেকেই অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে চাইছে সেন্সর বোর্ড।

Skip to content