দীর্ঘ শেষ। ২০ নভেম্বর, দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। গত ১ নভেম্বর ঐন্দ্রিলা আচমকা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকদের বক্তব্য, অভিনেত্রীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি কোমায় চলে যাওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। তবে অনেক চেষ্টা করেও তাঁর জ্ঞান ফেরেনি। হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর।
জানা গিয়েছে, এক দু’বার নয়, গতকাল রাতে অন্তত ১০ বার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। স্বাভাবিক ভাবে তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে ঐন্দ্রিলা পর পর অনেকবারই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সিপিআর দেওয়া হয়েছিল অভিনেত্রীকে। তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই রাখা হয়েছিল। সব রকম চেষ্টার পরেও ক্রমশ তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হয়। সারা ক্ষণই চিকিৎসকরা অভিনেত্রীর সঙ্গেই ছিলেন বলে খবর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঐন্দ্রিলার মস্তিষ্কে জমাট বেঁধে গিয়েছে রক্ত। গ্লাসগো কোমা স্কেল’-এ একজন সুস্থ মানুষের গড়ে এর মাত্রা থাকা উচিত ১৫-এর মধ্যে, অন্তত ১৪। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নায়িকার শরীরে এই মাত্রা ছিল ৩!
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে ঐন্দ্রিলা পর পর অনেকবারই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সিপিআর দেওয়া হয়েছিল অভিনেত্রীকে। তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই রাখা হয়েছিল। সব রকম চেষ্টার পরেও ক্রমশ তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হয়। সারা ক্ষণই চিকিৎসকরা অভিনেত্রীর সঙ্গেই ছিলেন বলে খবর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঐন্দ্রিলার মস্তিষ্কে জমাট বেঁধে গিয়েছে রক্ত। গ্লাসগো কোমা স্কেল’-এ একজন সুস্থ মানুষের গড়ে এর মাত্রা থাকা উচিত ১৫-এর মধ্যে, অন্তত ১৪। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নায়িকার শরীরে এই মাত্রা ছিল ৩!
আরও পড়ুন:
ফের নিম্নচাপ, পারদ ঊর্ধ্বমুখী, কলকাতার পারদপতন কবে থেকে? জানাল হাওয়া দফতর
ছোটদের যত্নে: সন্তান কম মনোযোগী কিন্তু অতি সক্রিয়? সহজ উপায়ে বাড়িতেই এর চিকিৎসা সম্ভব
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার রাতে জানা গিয়েছিল, নায়িকার রক্তচাপ ওঠানামা করছিল। কড়া ডোজের ওষুধ চলছে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, চোখ খুলছেন না ঐন্দ্রিলা। প্রতিক্রিয়াহীন মুখ। শরীর অসাড়। কোমার শেষ পর্যায়ে রয়েছেন তিনি। গতকাল অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যা থেকেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল। একাধিক বার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন তিনি। তাঁর ‘মাইল্ড কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয়েছে। যদিও ঐন্দ্রিলার শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল বলে জানিয়েছিল হাসপাতাল। আজ সকালে ঐন্দ্রিলা মা শিখা জানান, “হাসপাতালেই আছি, কারও ফোন ধরছি না। এখন কিছু বলার অবস্থায় আমি নেই। আমার মেয়ে সত্যিই ভালো নেই।”
আরও পড়ুন:
জিলিপি খেতে ভালোবাসেন? তাহলে আর দেরি কেন? ঝটপট বানিয়ে ফেলুন গরম গরম আনারসের জিলিপি
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৩০: সাহেব মারতে ঠাকুরবাড়িতে বোমাও তৈরি হয়েছিল
কিন্তু শনিবার মাঝ রাতে হঠাৎ দেখা যায়, অভিনেত্রীর বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী ঐন্দ্রিলা সংক্রান্ত সব পোস্ট ফেসবুক থেকে মুছে ফেলেছেন। কেন তিনি মুছে দিয়েছেন, সে বিষয়ে জানা যায়নি। তবে তিনি পোস্ট মুছে ফেলায় অভিনেত্রীর অনুরাগীরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। গত ১৯ দিন ধরে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঐন্দ্রিলা।
ঐন্দ্রিলা এর আগে দু’বার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। তাঁর অস্থিমজ্জায় ক্যানসার ধরা পড়ে ২০১৫ সালে একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময়। ২০২১ সালে দ্বিতীয় বার ক্যানসার ধরা পড়ে ফুসফুসে টিউমার। তবে ক্যানসারের সঙ্গে কঠিন লড়াইয়ের পাশাপাশি তাঁর অভিনয়ের কাজও চলছিল সমান তালে।
ঐন্দ্রিলা এর আগে দু’বার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। তাঁর অস্থিমজ্জায় ক্যানসার ধরা পড়ে ২০১৫ সালে একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময়। ২০২১ সালে দ্বিতীয় বার ক্যানসার ধরা পড়ে ফুসফুসে টিউমার। তবে ক্যানসারের সঙ্গে কঠিন লড়াইয়ের পাশাপাশি তাঁর অভিনয়ের কাজও চলছিল সমান তালে।