শনিবার ৯ নভেম্বর, ২০২৪


শক্তি কাপুর ও মিঠুন চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।

মিঠুন চক্রবর্তী ও শক্তি কাপুর দু’জনেই কেরিয়ারের শুরু দিকে একসঙ্গে বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছেন। ‘ডান্স ডান্স’, ‘বাদল’, ‘প্যায়ার কা কর্জ’, ‘গুন্ডা’ ছবিতে তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি মিঠুনকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন শক্তি। তিনি বলেছেন, তাঁকে নাকি মিঠুন র্যা গিং করেছিলেন। তাঁর চুল কেটে দিয়েছিলেন। তার পরে তাঁকে একটি অন্ধকার ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়। কাকুতি-মিনতি করেও কোনও লাভ হয়নি।
দুই অভিনেতাই পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউশনের ছাত্র। মিঠুন শক্তির সিনিয়র ছিলেন। পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউশনে পড়াকালীন মিঠুন এবং তাঁর বন্ধুরা মিলে শক্তিকে র্যা গিং করেছিলেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে শক্তি তাঁর এফটিআইতে পড়ার অভিজ্ঞতার ভাগ করে নিয়েছেন। মিঠুন ও শক্তি যে সময় এফটিআইতে পড়ছিলেন, তখন রাকেশ রোশনও সেখানকার ছাত্র ছিলেন। রাকেশের সঙ্গেই শক্তি হস্টেলে গিয়েছিলেন। গিয়ে দেখেন, মিঠুন শারীরচর্চা করছেন। তখন মিঠুনকে তিনি বিয়ার খাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে মিঠুন জানিয়েছিলেন, তিনি মদ্যপান করেন না।
আরও পড়ুন:

ফের জোড়া লাগছে নাগা-সামান্থার ভাঙা সম্পর্ক? ছবিতেই ইঙ্গিত দিলেন নায়িকার প্রাক্তন স্বামী?

পুজোর আগে ত্বক ও চুলের জেল্লা ফেরাতে তুরুপের তাস অ্যালো ভেরা জেল

এর পর রাকেশ চলে যান। থেকে যান শক্তি। রাকেশ চলে যেতেই নাকি মিঠুন কষিয়ে শক্তির চুলের মুঠি ধরেন। বলেছিলেন, ‘‘তুমি ভুলে যেয়ো না এখানে আমি তোমার সিনিয়র।’’ এর পরই শক্তিকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে তিনি বসিয়ে রাখেন। মিঠুনের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দু’জন বন্ধুও ছিলেন। সেই ঘরের আলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু শক্তির মুখের উপর ছিল আলো জ্বলছিল টিমটিম করে। এর পরে মিঠুন তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, “এ বার বলো তো তুমি কি বিয়ার খাবে?” শ্রদ্ধার বাবা শক্তি এও জানান, “ওদের বক্তব্য, কলেজে নাকি আমি হিরোর ঢুকেছি। তখনই কাঁচি দিয়ে আমার চুল কেটে দিয়েছিল ওরা।’’
আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৩২: শুধু কি গানে, আবহসঙ্গীতেও তাঁর কাজ অসামান্য

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৭: সুন্দরবনের শিশুরক্ষক পাঁচুঠাকুর

শক্তির কথায়, ‘‘আমি কাঁদছিলাম। ওদের পা ধরে বলেছিলাম ছেড়ে দিতে। যদিও তাঁরা আমাকে ছাড়েননি। তার পর আমাকে একটি সুইমিং পুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমাকে ৪০টি ল্যাপ করতে বলেছিল। তখনও আমি কাঁদছিলাম। তবে শেষমেশ মিঠুন ও তাঁর বন্ধুরা আমাকে ছেড়ে দেন।”

Skip to content