রজনীকান্ত। ছবি: সংগৃহীত।
দক্ষিণী ছবির জগতে তিনি মেগাস্টার। তাঁর জীবনও একেবারে ছবির মতোই। বাসের কন্ডাক্টর থেকে দক্ষিণী ছবির দুনিয়ার উজ্বলতম নক্ষত্র। তিনি রজনীকান্ত। অভিনেতার মহিমা হার মানাতে পারেন যে কোনও তাবড় নায়কদেরও। ইন্ডাস্ট্রিতে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় কাজ করছেন। দেশে তিনি ‘থালাইভা’ নামেও বেশ পরিচিত। তবে এহেন রজনীকান্তের কিছু বদ অভ্যেসও আছে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল মদ্যপান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর কিছু বদ অভ্যেসের কথা খোলামেলা ভাবে জানিয়েছেন রজনীকান্ত।
অকপট ‘থালাইভা’ নিজেই স্বীকার করেছেন, একটা সময় ছিল, তিনি রোজই মদ্যপান করতেন। এর সঙ্গে ছিল আমিষ খাবারদাবার। দেদার ধূমপানের নেশাও ছিল অভিনেতার। রজনীকান্তের কথায়, “আমি যখন বাসের কন্ডাক্টর ছিলাম, তখন রোজ মদ্যপান করতাম৷ সেই সঙ্গে চলত ধূমপান৷ আমিষ খাবার দিয়ে আমার দিন শুরু হত৷ দিনে অন্তত দু’বার আমিষ খাবার খেতামই৷ নিরামিশাষীদের দেখলে আমার কেমন যেন করুনা হত৷ মুশকিল হল, যে তিনটি জিনিস স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকর, সেগুলিই আমি করতাম৷’’
আরও পড়ুন:
ঠোঁটে ঠোঁট রাখলেন ধর্মেন্দ্র-শাবানা, অনুভূতি কেমন? সোজাসাপটা উত্তর রণবীর-আলিয়ার ছবির অভিনেতার
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৭: বিপৎকালে দেখতে পাই, রাখাল ছাড়া বন্ধু নাই…
সেই সঙ্গে রজনীকান্ত স্বীকার করেন, মদ্যপানে আসক্তি তাঁর জীবনের সব থেকে বড়। ‘থালাইভা’ বলছেন, ‘‘আমার জীবনে মদ্যপানের অভ্যাস না থাকলে, সমাজের জন্য অনেক বেশি করে কাজ করতে পারতাম৷ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হল এই মদ৷ তা বলে আমি বলছি না যে, মদ ছুঁয়ে দেখবেন না৷ মদ ঠিক যত ক্ষণ আনন্দ দেয়, তত ক্ষণ পর্যন্ত ঠিক আছে। রোজ দিন মদ্যপান করা একেবারেই ভালো কথা নয়৷ মদ শুধু শরীরের নয়, মনেরও অনেক ক্ষতি করে৷’’