বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


আশা পারেখ।

ভারতীয় সিনেমায় অসামান্য অবদানের জন্য দেওয়া হয় দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। এবার সেই সম্মান পাচ্ছেন বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী আশা পারেখ। মঙ্গলবার এমনটাই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। ১৯৯২ সালে ভারত সরকার আশা পারেখকে সিনেমায় তাঁর অবদানের জন্য পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করেছিল। হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তিনি প্রভাবশালী অভিনেত্রীদের একজন হিসাবে বিবেচিত হন। তাঁর সিনেমা কেরিয়ারের সেরা সময় ১৯৬০-৭০ এর দশক।
গুজরাতে জন্ম আশা পারেখের। মা ছিলেন মুসলিম এবং বাবা হিন্দু। ছোটবেলাতেই অভিনেত্রীর নাচের তালিম শুরু হয়ে যায়। আর সেই সুবাদেই শুরু হয় বড়পর্দায় সফর। এক অনুষ্ঠান চলাকালীন ছোট্ট আশার উপর প্রখ্যাত পরিচালক বিমল রায়ের চোখ পড়ে। যার ফল ১৯৫২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মা’ সিনেমা। সে ছবিতেই প্রথম শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেন আশা পারেখ। তার পর এই রোল ক্যামেরা, লাইট, অ্যাকশন— এই সব কিছুই তাঁর জীবন হয়ে ওঠে। মাঝে অবশ্য পড়াশোনার জন্য কিছু দিনের বিরতি ছিল।
নাসির হুসেন পরিচালিত ছবি ‘দিল দেকে দেখো’, ছবির হাত ধরে পর্দায় আগমন ঘটে এক অন্য আশার। হয়ে যান শাম্মি কাপুরের নায়িকা। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আশাকে। ‘কাটি পতঙ্গ’, ‘যব পেয়ার কিসি সে হোতা হ্যায়’, ‘তিসরি মঞ্জিল’, ‘লাভ ইন টোকিও’, ‘পেয়ার কা মওসম’, ‘আয়া সাওন ঝুমকে’, ‘আন মিলো সাজনা’র মতো সুপারহিট সিনেমা রয়েছে অভিনেত্রীর ঝুলিতে
আরও পড়ুন:

স্মার্টফোন চুরি হয়ে গিয়েছে? অপব্যবহার নিয়ে দুশ্চিন্তা? কড়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্র, নতুন নিয়ম চালু হবে শীঘ্রই

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩: এক ফ্লপ মাস্টার জেনারেল-র ‘মর্যাদা’ [২২/১২/১৯৫০]

এছাড়াও তিনি গুজরাতি, পাঞ্জাবি এবং কন্নড় ছবিতে কাজ করেছেন। ৭০ আর ৮০ এর দশকের শেষের দিকে তাঁকে তখন ‘চরিত্রাভিনেত্রী’ বলা হতো। এরপর তিনি টেলিভিশনের জন্য নিজের প্রযোজনা সংস্থা শুরু করেন। ‘পলাশ কে ফুল’, ‘বাজে পায়েল’, ‘কোরা কাগজ’ এবং ‘ডাল মে কালা’-এর মতো শো প্রযোজনা করেছেন। এত বছরে এসেছে বহু সম্মান। এবার পেলেন দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে এই সম্মান দিতে পেরে গর্বিত ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক।

Skip to content