বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


অমিতাভ বচ্চন। ছবি: সংগৃহীত।

তিনি কিংবদন্তী তারকা। ভারতীয় সিনেমার অভিভাবকও। তাঁর খ্যাতি, নাম, যশ নিয়ে বুনিয়া ওয়াকিবহাল। কিন্তু এত বড় তারকা হয়েও একটা সময় তাঁকে টানা তিন বছর কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। মানে এক বার ডাহা ফেল করেন বলিউডের শাহেনশা।
অমিতাভ বচ্চনের জন্ম এলাহাবাদে। সম্ভ্রান্ত পরিবার। বাবা ছিলেন হরিবংশ রাই বচ্চন বিশিষ্ট কবি। অমিতাভের বেড়ে ওঠা সাহিত্য, কবিতার মাঝেই। এলাহাবাদ বয়েজ স্কুলে অভিনেতা দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছিলেন। এর পরে নৈনিতালের ‘শেরউড কলেজ’ ভর্তি হন। সেখান থেকেই তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। পর দিল্লিতে চলে আসেন। বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে ভর্তি হন সেখানকার কিরোরি মাল কলেজে। তাতেই নাজেহাল হয়ে ওঠেন ‘বিগ-বি’। স্নাতক স্তরে পদার্থবিদ্যায় উঠে ফেল করেন।
আরও পড়ুন:

রিভিউ: মহাকাশ বিদ্ধ করা রকেটের মতোই শক্তিশালী মাধবনের ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-১০: পর্ব-১০: কী উপহার সাজিয়ে দিলে…

সম্প্রতি ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র মঞ্চে অমিতাভ বচ্চন নিজের জীবনের এই যন্ত্রণাদায়ক তিন বছরের কথা প্রকাশ্যে আনেন। শেষমেশ ১৯৬২ সালে কোনও মতে তিনি স্নাতক হন। এর পরে তিনি চাকরিতে যোগ দেন। তক্ষণ কলকাতায় একটি ভারী শিল্পের সংস্থায় তিনি কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তবে কলকাতার তাঁর চাকরি জীবনে দাঁড়ি টেনেছিলেন ১৯৬৮ সালে। তার পর ‘ভুবন সোম’ ছবির মাধ্যমে ১৯৬৯ সালে তিনি রুপোলি পর্দার জীবন শুরু করেন। ১৯৭১ সালে ‘আনন্দ’ ছবি মুক্তি পায়। এই ছবির মাধ্যমে অমিতাভের হিন্দি সিনেমায় আত্মপ্রকাশ ঘটে। আজ তিনি মহাতারকা।

Skip to content