মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দফতর ছাত্রছাত্রীদের সাফল্য নিশ্চিত করতে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হল। আসন্ন গ্রীষ্মের ছুটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের কী কী করণীয়, তা নিয়ে স্কুল শিক্ষা দফতর নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকা মেনেই পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের কাজ দেওয়া হবে। উদ্দেশ্য, যাতে পড়ুয়াদের স্বাধীন চিন্তাভাবনা এবং নেতৃত্বদানের ক্ষমতা বাড়ে।
স্কুল শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, পড়ুয়ারা যাতে প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি করে মিশতে পারে এবং তার থেকে আত্মবিশ্বাসী হতে পারে, সেই দিকেই বেশি করে নজর দেওয়া হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন প্রকল্পের রূপরেখা সেই মতো তৈরি করা হয়েছে। তবে পড়ুয়া পছন্দ বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তাদের নির্দিষ্ট কাজ দেওয়া হবে। এ কথা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। এক একটি শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের এক এক রকম কাজ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:

ইংলিশ টিংলিশ: ‘এক হাতে তালি বাজে না’ বা ‘গাছের খায় তলারও কুড়োয়’, এদের ইংরেজিতে কী বলে?

ঘন ঘন ভেসে আসছে রহস্যময় সঙ্কেত, তাহলে কি ভিনগ্রহীরা মানুষের খোঁজ পেয়ে গেল? কী বলছে সেই চৌম্বকীয় তরঙ্গ?

প্রকৃতি নিয়ে সচেতন করতে কাজ দেওয়া হবে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াদের। প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে পরে তারা নিজেদের মতো গবেষণা করবে এবং সে বিষয়ে লিখবে। এর জন্য তারা ৫ থেকে ৭ দিন সময় পাবে।

সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারাদের বিষয় আলাদা। তারা কোনও পেশাগত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বা বিজ্ঞান কেন্দ্রে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে। সেই কেন্দ্র স্কুল থেকে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে হতে হবে। সেখানে ওরা যা শিখবে, তার উপর ভিত্তি করে পড়ুয়াদের কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন:

ঘুমানোর ধরন দেখে জেনে নিন আপনার সঙ্গী কেমন মনের মানুষ, কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র

হাত বাড়ালেই বনৌষধি: ঋতু সংহারা ‘অশোক’

দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের আবার হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক, গ্রন্থাগার, কলেজ বা হস্তশিল্পকেন্দ্রে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এর জন্য তারা ৫ থেকে ৭ দিন সময় পাবে। একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরও কোনও কেন্দ্রে গিয়ে নিয়ে সেখান থেকে পেশার পাঠ শিখতে হবে।

পুরো বিষয়টি নজর রাখবেন শিক্ষা দফতর, ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসার, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট। উল্লেখ্য, জাতীয় শিক্ষা নীতিতেও ছাত্রছাত্রীদের হাতেকলমে শিক্ষার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।

Skip to content