সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

রাজ্য সরকার এ বার সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের জন্য নতুন নিয়ম কার্যকর করার কথা ভাবনাচিন্তা করছে। শিক্ষকদের চাকরি জীবনে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বা পাঁচ বছর গ্রামে গিয়ে শিক্ষকতা করতে হবে। এমনই প্রস্তাব রয়েছে রাজ্য সরকারের শিক্ষানীতিতে। গতকাল সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে বাংলার শিক্ষানীতিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খবর, রাজ্য সরকার মূলত শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের অনুপাত ঠিক রাখতেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে।
রাজ্য সরকারের শিক্ষানীতির খসড়ায় উল্লেখ রয়েছে, গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা করা যেমন চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক, সে ভাবেই শিক্ষকদেরও গ্রামে গিয়ে শিক্ষকতা করতে হবে আগামী দিনে। নবান্ন শিক্ষক নিয়োগের সময়ই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গিয়েছে।

রাজ্যের শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের বাংলা এবং ইংরেজি পড়তেই হবে। বাংলা, হিন্দি এবং সংস্কৃতকে তৃতীয় ভাষা হিসাবে গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এমন পাঠ্যক্রম তৈরি করতে হবে যাতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের বাংলা পড়তে হয়। জাতীয় শিক্ষানীতিতে দশম শ্রেণির পরীক্ষা ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার কথা বলা হলেও রাজ্যের শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা রাখারই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি,

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৬৭: প্রবাল প্রাচীর আমাদের ভবিষ্যতের ওষুধের ভাণ্ডার

রাজ্যের শিক্ষানীতিতে স্কুলগুলিতে সেমেস্টার পদ্ধতি চালুরও ভাবনা রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে সেমেস্টার পদ্ধতি চালু করতে পারে। পাশাপাশি, অষ্টম শ্রেণি থেকে আগামী তিন বছরের মধ্যে সেমেস্টার পদ্ধতি চালু করা নিয়েও ভাবছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩১: বিড়াল ঘাঁটলেই কি ডিপথেরিয়া হতে পারে?

মন্দিরময় উত্তরবঙ্গ, পর্ব-১: ভিতরকুঠি টেরাকোটা শিবমন্দির এক অনন্যসাধারণ কোচ স্থাপত্যশৈলীর উদাহরণ

বাংলার সরকার ইতিমধ্যে জাতীয় শিক্ষানীতির কিছু প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। রাজ্যে চালু হয়েছে চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম। পড়ুয়ার জন্য মেমরি চিপ যুক্ত ‘ইউনিক আইডেন্টেটি কার্ড’ও তৈরি করা হবে। ‘ইউনিক আইডেন্টেটি কার্ড’-এ ছাত্রছাত্রীদের তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষার ফলাফল রাখা থাকবে। এ সবের পাশাপাশি আর্থিক সমস্যা মেটাতে রাজ্য এ বার থেকে ‘স্টেট রিসার্চ ফান্ড’ নামে একটি নিজস্ব তহবিলও তৈরি করবে।

আপনার রায়

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে দফা বৃদ্ধি করা জরুরি?

Skip to content