শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


অবশেষে মিলল সুবিচার। তাও আবার ৩৫ বছর ধরে দীর্ঘ আইনি লড়াই চালিয়ে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। শ্যামলী ঘোষ নামের এক শিক্ষিকা ১৯৭৬ সালে হাওড়ার শ্যামপুরের একটি স্কুলে তৎকালীন শিক্ষক নিয়োগের যাবতীয় নিয়ম মেনে ইন্টারভিউ দিয়েই শিক্ষকতার চাকরি পান। কিন্তু চার বছরের মাথায় স্কুল থেকে তাঁকে জানানো হয় তাঁর চাকরি চলে গিয়েছে। কিন্তু ঠিক কী কারণে তাঁর চাকরি চলে গেল তা পরিষ্কার করে জানাননি প্রধান শিক্ষক। ফলে বন্ধ হয়ে যায় তাঁর বেতন। চাকরির মেয়াদ অনুযায়ী ২০০৫ সালে অবসর নেন শ্যামলীদেবী। অবসরকালীন অর্থও তিনি পাননি বলে জানান। স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে শিক্ষা দফতর, সব জায়গায় নানাবিধ চিঠি দিয়েও তিনি কোনও সুবিচার পাননি। অবশেষে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন ১৯৮৬ সালে। শ্যামলীদেবী প্রথমবার আদালতে গিয়েছিলেন ২০১৩ সালে। এরপর হাইকোর্ট তাঁর পেনশন ব্যবস্থা করেও এত বছরের বকেয়া টাকার কোনও সুরাহা করতে পারেনি। শেষে বকেয়া বেতনের দাবিতে আবার তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আইনজীবীর উপস্থিতিতে আদালত নির্দেশ দেয় যে, স্কুল শিক্ষিকাকে তার অবসরকালীন সমস্ত টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও নির্দেশ, ১০ শতাংশ সুদ-সহ ২৫ বছরের সব বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে হবে আট সপ্তাহের মধ্যে। অবশেষে ৭৬ বছর বয়সে শ্যামলীদেবীর লড়াই আজ সুবিচার পেল।

Skip to content