এবছর প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ শুরু হওয়ার পরে পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২ মে থেকে সরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি ঘোষণা করেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি নির্দেশিকাও বের হয়। আগে ১২ দিনের গরমের ছুটি ছিল। কিন্তু এই আবহাওয়ার জন্য তা বাড়িয়ে ৪৫ দিন করা হয়। এর বিরুদ্ধে আপত্তি তোলেন শিক্ষক শিবিরের বড় অংশ এবং অভিভাবকরা। তাঁরা মনে করেন করোনাকালে প্রায় দু’বছরের ছুটি থাকায় পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে এবং আবার এতদিনের টানা ছুটি দিলে পাঠক্রম শেষ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে। এখন নিম্নচাপ এবং কালবৈশাখীর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা প্রায় অনেকটাই কমে গেছে। আগামী কয়েক দিন ধরে অশনি-র প্রভাবে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। কলকাতা হাইকোর্টে এক অভিভাবক জনস্বার্থ মামলা করেন যে এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ৪৫ দিনের গরমের ছুটি বাতিল করে স্কুলগুলিকে পুনরায় খুলে দেওয়া হোক। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ডিভিশন বেঞ্চ এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাজ্য সরকারকে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা চায়। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২০ মে।৷৷