বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

এসএসসি গ্রুপ-সি নিয়োগ মামলায় প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন কমিটি শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট পেশ করেছে। শুধু তাই নয়, বাগ কমিটির রিপোর্টে নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে এগারো জন এসএসসি কর্তার নামও উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে যাঁদের নাম রয়েছে তাঁরা হলেন—চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সচিব অশোককুমার সাহা, এসএসসির প্রোগ্রামিং অফিসার সমরজিৎ আচার্য, উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহা, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্যায়, কমিশনের আঞ্চলিক চেয়ারম্যান শর্মিলা মিত্র, শেখ সিরাজউদ্দিন, শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায়, চৈতালি ভট্টাচার্য এবং মহুয়া বিশ্বাস।
বাগ কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, অশোককুমার সাহা, সমরজিৎ আচার্য, সৌমিত্র সরকার, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং শান্তিপ্রসাদ সিনহার নামে প্রয়োজন হলে এফআইআর করা যেতে পারে। বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে চৈতালি ভট্টাচার্য, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মহুয়া বিশ্বাস, শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শেখ সিরাজউদ্দিন এবং শর্মিলা মিত্রর বিরুদ্ধে।
ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বজায় রেখেছে। রায় ঘোষণা হবে আগামী ১৮ মে। আজ শুনানিতে কমিটির আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ৩৮১ জনকে ভুয়ো নিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষাই দেননি ২২২ জন। আর অন্যরা পাশ করেনি। ২০১৯ সালের মে মাসে প্যানেলের মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। নিয়োগের ক্ষেত্রে নম্বর বৃদ্ধির পাশাপাশি ওএমআর সিটে গণ্ডগোল করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। শুনানিতে মামলাকারী আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বললেন, রিপোর্টেই স্পষ্ট, নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।

Skip to content