বিতর্কের ছায়াতেই রবিবার প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা! আপনি যদি পরীক্ষার্থী হন তাহলে এই বিষয়গুলি জেনে রাখা জরুরি

রবিবার প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার জন্য যোগ্যতা নির্ণায়ক টেট পরীক্ষা। আগামীকাল প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে চলেছেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ পরীক্ষা নিয়ে আগাম সব রকম প্রস্তুতি সেরে রেখেছে। পর্ষদ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নিশ্ছিদ্র করতে চাইছে। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ টেট পরীক্ষার্থীদের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকাও জারি করেছে।

 

যা যা জেনে রাখা জরুরি

● রবিবার প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ১২টায়, চলবে দুপুর ২টো ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
● পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীকে সকাল ১১টার মধ্যেই প্রবেশ করতে হবে। এর পরে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
● সকাল সাড়ে ৯টাতেই খুলে দেওয়া হবে পরীক্ষাকেন্দ্রের দরজা। অ্যাডমিট কার্ড ছাড়া কাউকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
● কালো বল পয়েন্ট পেন, অ্যাডমিট কার্ড এবং যে কোনও একটি সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে পরীক্ষার্থী প্রবেশ করতে পারবেন পরীক্ষাকেন্দ্রে।
● পরীক্ষাকেন্দ্রে স্কেল, ঘড়ি, সানগ্লাস, হেডফোন, মোবাইল ফোন, জলের বোতল, কোনও ইলেকট্রনিক সামগ্রী নিয়ে পরীক্ষার্থী প্রবেশ করতে পারবেন না।
● সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র রাখতে হবে দৃষ্টিহীন বা বিশেষ ভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীদের।

● পরীক্ষার্থী জরুরি বা অনিবার্য কারণ ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্র ছেড়ে বেরতে পারবেন না।
● ফোন বা কোনও ইলেকট্রনিক সামগ্রী নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরাও পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না।
● নির্দিষ্ট ক্লোক রুমে সব জিনিসপত্র জমা রেখে তবেই তাঁদের দায়িত্ব নিতে হবে।
● পরীক্ষাকেন্দ্রের নির্দিষ্ট কক্ষে থাকবে পরীক্ষার্থীদের জিনিসপত্র।
● পরীক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ কোনও সামগ্রী নিয়ে এলে সে সব পরীক্ষাকেন্দ্রের নির্দিষ্ট কক্ষে জমা রাখতে হবে।
● পরীক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক পরীক্ষা করা হবে।
● সব পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভি থাকা বাধ্যতামূলক। পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রবেশ এবং বেরোনোর পথেও লাগানো থাকবে সিসিটিভি।
এছাড়াও প্রশ্নপত্র নিয়ে যাতে আর কোনও অভিযোগ না ওঠে, সে জন্যও সতর্ক পর্ষদ। তাই পরীক্ষার এক ঘণ্টা আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মদের গলায় থাকবে বৈধ পরিচয়পত্র। এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানান, ‘‘টেট পরীক্ষা যাতে স্বচ্ছ ভাবে সম্পন্ন হয়, সে জন্য সব রকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নতুন করে যাতে কোনও বিতর্ক না তৈরি হয়, তারই চেষ্টা চলছে।’’

এদিক, রেল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ট্রেন এবং মেট্রো চালানোর কথা ঘোষণা করেছে। ভিড় সামালাতে অতিরিক্ত সরকারি বাসও রাস্তায় নামবে। সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বেসরকারি বাসমালিকদের কাছেও। পরিবহণ দফতর জানিয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে বাস পেতে সমস্যা হলে পরীক্ষার্থীরা সরাসরি দফতরের কন্ট্রোল রুমে ফোন করতে পারবেন। কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত।