
ছবি প্রতীকী
সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছরের শেষ থেকেই চালু হতে চলেছে পিএইচডি প্রোগ্রাম। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে মোট সাতটি বিষয়ে পঠনপাঠন হয়। এই সাতটি বিষয়েই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করতে চলেছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সমিতি ইউনিভার্সিটি কাউন্সিলেরও অনুমোদন পেয়েছে।
সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা মুখোপাধ্যায় জানান, “পিএইচডি প্রোগ্রাম শুরু করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি, চলতি বছরের শেষের দিকে ছাত্রছাত্রীদের পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে। এ বছর ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা গেলে আগামী বছর পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করা সম্ভব হবে।”
প্রতিষ্ঠানটির বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পথচলা শুরু ২০১৬ সালের জুন মাস থেকে। এখন আটটি বিষয়ে স্নাতক এবং সাতটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ানো হয়। এবার সংস্কৃত, ইংরেজি, বাংলা, দর্শনশাস্ত্র, ভাষাবিজ্ঞান, প্রাচীন ভারতীয় ও বিশ্ব ইতিহাস এবং ট্রাডিশনাল ওরিয়েন্টাল লার্নিং (টোল) —এই সাতটি বিষয়ে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা মেনে পিএইচডি রেগুলেশনও তৈরি করা হয়েছে।
পাশাপাশি চলতি বছর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত নবদ্বীপ ক্যাম্পাসেও পঠন-পাঠন শুরু হচ্ছে। সেখানে আপাতত সংস্কৃত এবং বাংলা এই দুটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ানো শুরু করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে ইন্দোলজি বিভাগ চালুর অনুমতি পেলেও এখনই তা শুরু করা হচ্ছে না। এদিকে, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকেই নবদ্বীপ ক্যাম্পাসের জন্য শুরু হবে অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া। এখানে সংস্কৃত এবং বাংলা দু’টি বিষয়েই মোট ৩০টি করে আসন রয়েছে।
উপাচার্য বলেন, “নবদ্বীপ ক্যাম্পাসে চলতি বছর থেকেই সংস্কৃত এবং বাংলায় এমএ কোর্স চালু হচ্ছে। ইন্দোলজি বিভাগ এখনই খোলা হচ্ছে না। সেখানে সমীক্ষায় যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে আমরা বুঝেছি, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সংস্কৃত এবং বাংলা এই দুটি বিষয়েরই চাহিদা সবথেকে বেশি। সেই কারণে প্রথম ধাপে নবদ্বীপ ক্যাম্পাসে সংস্কৃত এবং বাংলাই চালু করা হচ্ছে।”
উপাচার্য বলেন, “নবদ্বীপ ক্যাম্পাসে চলতি বছর থেকেই সংস্কৃত এবং বাংলায় এমএ কোর্স চালু হচ্ছে। ইন্দোলজি বিভাগ এখনই খোলা হচ্ছে না। সেখানে সমীক্ষায় যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে আমরা বুঝেছি, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সংস্কৃত এবং বাংলা এই দুটি বিষয়েরই চাহিদা সবথেকে বেশি। সেই কারণে প্রথম ধাপে নবদ্বীপ ক্যাম্পাসে সংস্কৃত এবং বাংলাই চালু করা হচ্ছে।”