ছাত্র-ছাত্রীদের সতর্ক করল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। যে সব ছাত্রছাত্রীরা এমফিল বা ‘মাস্টার অফ ফিলোজফি’ ডিগ্রির জন্য ভর্তির কথা ভাবছেন, তাঁদেরই সতর্ক করা হয়েছে। ইউজিসি এ নিয়ে একটি নোটিস প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীরা যেন এই পাঠক্রমে ভর্তি না হন। এমনকি কোনও বিশ্ববিদ্যালয় এমফিল বা ‘মাস্টার অফ ফিলোজফি’ এর পাঠক্রম পড়ানোর দাবি করলেও ভর্তি হওয়া যাবে না। কারণ, এমফিল বা ‘মাস্টার অফ ফিলোজফি’ ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অনুমোদিত পাঠক্রমই নয়।
মূলত স্নাতকোত্তর পাশের পরে ছাত্র-ছাত্রীরা ওই বিষয় নিয়ে আরও একবছর অতিরিক্ত পড়াশোনা করতে পারতেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হত। এমফিল ডিগ্রিকে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডির মধ্যবর্তী ডিগ্রি একটি ডিগ্রি হিসেবে মনে করা হয়। যদিও ২০২২ সাল থেকে ইউজিসি এই ডিগ্রি থেকে অনুমোদন তুলে নেয়।
আরও পড়ুন:
হৃদ্রোগের আশঙ্কা বাড়ায় কোলেস্টেরল, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে কোন ফল খাবেন?
কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-২০: উত্তর কলকাতায় গিরিশ চন্দ্র দে অ্যান্ড নকুড় চন্দ্র নন্দীতে মিষ্টিমুখ
এ নিয়ে ২০২০ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষা নীতিতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, এমফিল ডিগ্রি ‘বৈধ নয়’। ইউজিসি ২০২২ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করার পরে সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দেয় এমফিল পাঠ্যক্রমে নতুন করে না পড়ানোর। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি না করারও নির্দেশ দেয়।
যদিও সেই নির্দেশের পরেও এমফিল পাঠ্যক্রম চালু ছিল। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি-র নির্দেশের পরও এমফিলে ভর্তি চালু রাখে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পড়ুয়াদেরও মূলত সেই সব বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্ক সতর্ক করেছে।
যদিও সেই নির্দেশের পরেও এমফিল পাঠ্যক্রম চালু ছিল। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি-র নির্দেশের পরও এমফিলে ভর্তি চালু রাখে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পড়ুয়াদেরও মূলত সেই সব বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্ক সতর্ক করেছে।
আরও পড়ুন:
স্ত্রী মা হওয়ার আগেই প্রতিশ্রুতি, অনুষ্কাকে কী কথা দিয়েছিলেন বিরাট?
রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-১৪: অন্ধকারের উৎস হতে—শীতকালের প্রতিরাত
ইউজিসি এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘আমাদের নজরে এসেছে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এমফিলের জন্য নতুন করে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পক্ষ থেকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, তারা এই এমফিল পাঠ্যক্রমটিকে আর অনুমোদন করে না।’’