রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


বড় খবর। ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক সকলেই অপ্রশিক্ষিত।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়, এই প্রাথমিক শিক্ষকরা আগামী চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। আর প্যারা টিচার হিসাবে বেতন পাবেন। আদালতের রায় বলা হয়েছে, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এও জানিয়েছেন, যে সব শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে, তাঁরা যদি ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন তাহলে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে কোনও সমস্যা নেই।
মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির বক্তব্য, মামলাকারীদের থেকে কম নম্বর প্রাপ্ত অনেককে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্যানেলে ৮২৪ জনের নাম ছিল। মামলাকারীরা ইন্টারভিউ না দিয়েই তাঁদের থেকে বেশি নম্বর পেয়েছিলেন। তার পর ১৩৯ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়, চাকরি যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের থেকেও এই ১৩৯ জনের নম্বর বেশি ছিল।
আরও পড়ুন:

‘আরআরআর’-এর সাফল্যের পরে ‘মহাভারত’-এর কাহিনি নিয়ে রাজামৌলির নতুন চ্যালেঞ্জ

হজমশক্তি বাড়াতে রোজ কী ভাবে হলুদ খাবেন, সবথেকে বেশি উপকার পাবেন

উল্লেখ্য, নিয়োগ না পেয়ে প্রিয়াঙ্কা নস্কর-সহ অপ্রশিক্ষিত ১৪০ জন এ নিয়ে হাই কোর্টে মামলা করে ছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, আদালতের নির্দেশে যে নম্বর বিভাজনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে তাঁদের থেকে কম নম্বর পেয়েও বহু অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী চাকরির সুপারিশপত্র পেয়েছেন।
আরও পড়ুন:

মুখের ভিতরে আলসার! রইল মুখের ঘা কমানোর ঘরোয়া টোটকা

আপনার ফোন হ্যাক হয়েছে কী করে বুঝবেন? রইল সহজ কিছু উপায়

মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতির দাবি, এমন ৩০ হাজারের বেশি প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছে, যাঁরা মামলাকারীদের থেকে কম নম্বর পেয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় গত ডিসেম্বর মাসে পর্ষদকে ১৩৯ জনের তালিকাটি খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘যদি মামলাকারীদের অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তো ৩০ হাজার চাকরি প্রশ্নের মুখে পড়বে। শুধু তাই নয় নিয়োগ বেআইনি হলে আদালত চাকরি বাতিল করবে।’’ শুক্রবার সেই নির্দেশই দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

Skip to content