রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


সম্প্রতি যে ৮৫০ জনকে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ দিয়েছে এসএসসি। এবার কিসের ভিত্তিতে এই নিয়োগের সুপারিশ দেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার মধ্যে অনেকেই ধর্নায় বসেছিলেন জানতে পেরে হাই কোর্টের প্রশ্ন, ‘‘হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধর্না বসতেই চাকরি হয়ে গেল? শুধু তাই নয়, তাঁদের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন শূন্যপদও তৈরি করে ফেলল? বাকি যোগ্যরা তা হলে যাবেন কোথায়?’’
এ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে অভিযোগ জানান এসএলএসটি-র পরীক্ষার্থীরা। এঁদের দাবি, ৮৫০ জনই ধর্নায় অংশ নিয়েছিলেন। অভিযোগকারীরা জানতে চেয়েছেন, ধর্না দিয়েই কি চাকরি প্রাপ্তি হল? যদি তা না হয়, তাহলে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক পদে নিয়োগে এসএসসি কেন বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি? কেন সুযোগ দেওয়া হল না এসএলএসটি পাশ করা সব যোগ্য প্রার্থীদের?
আরও পড়ুন:

হিন্দি ‘মমতা’ ছবির শুটিংয়ে সুচিত্রা’র সংলাপ মুখস্ত করার ঘটনা ছিল অসাধারণ

বাইরে দূরে: অযোধ্যা: ইতিহাস ও জনশ্রুতি /২

অভিযোগকারীদের বক্তব্য শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতি জানতে চেয়েছেন, ধর্না দিতেই যদি স্কুল সার্ভিস কমিশন চাকরি দিয়ে দেয় তাহলে বাকি যোগ্যরা কী করবেন, কোথায় যাবেন? এই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি অভিযোগকারীদের মামলার অনুমতিও দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী বুধবার মামলাটির শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন:

সন্তানের খেলার সঙ্গী হিসেবে কুকুর রাখতে চান? কোন প্রজাতি আদর্শ?

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৩৯: ঠাকুরবাড়ির বিয়েতে এমন জাঁকজমক আর হয়নি

আদালতে অভিযোগকারীদের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২০১৬ সালে শারীরশিক্ষা বিষয়ে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক পদে ১০১৯ জনকে নিয়োগ করা হয়। তখন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ এই নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে এই দাবিতে কলকাতায় ধর্না শুরু করেন। সম্প্রতি এসএলএসটির জন্য ভবিষ্যতের শূন্যপদের ঘোষণা করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। নিয়োগ করা হয় ধর্নায় বসা ৮৫০ জন আন্দোলনকারীদের। আইনজীবীর বক্তব্য, এ বিষয়ে অন্য যোগ্য প্রার্থীরা জানতেই পারেননি। কারণ, এসএসসি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৮৫০ জনকে নিয়োগের সুপারিশ দেয়নি। তাঁর প্রশ্ন, তাহলে কি স্কুল সার্ভিস কমিশনের ইচ্ছে অনুযায়ী এই ৮৫০ জনকে নিয়োগ করা হল?

Skip to content