রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


স্কুলের ছাত্রীরা ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে।

আজ সকালবেলার আলোটা প্রথম চোখ ছুঁয়ে দিতেই মনে পড়ল আজকের পলাশরাঙা তারিখটিকে—অমর একুশে!
পলাশ—বসন্তপঞ্চমীর সেরা উপহার যদিও, তবু আমাদের দুশো বছরের পরাধীনতার বিশ্বাসঘাতক-সূচনায় ওই নামটি বড়ই বেদনাবহ আজও। অন্যদিকে ‘উনিশশো বাহান্ন-র রক্তিম পুষ্পাঞ্জলি’-র স্মরণবিষেও পলাশের শিখারা দগদগে চিরদিনের জন্য যেকোনও বাঙালির মনে। তবু মারের ওপর দিয়ে রফিক-শফিউর-সালাম-বরকত-জব্বারের মতো সোদরপ্রতিমেরা আমাদের মায়ের ভাষাটাকে তো জিতিয়ে দিয়েই গেছেন! সেই সানন্দ কৃতজ্ঞতায় সমস্ত প্রাণ নত হয়—

মুখের উপর জল বুলিয়ে রাখি
বুকের ভিতর নাচুক ডাহুক
করুক ডাকাডাকি।
ওই যে আমার মায়ের স্বরে
ডাকনামের ওই ছল,
আরেকটিবার বল না পাখি
আরেকটিবার বল!

সত্যিই! আমাদের পূর্বজদের কাছ থেকে পাওয়া এই অতুল্য আবেগের কোনও পূর্বসূত্র পায়নি পৃথিবীর কোনো পথ,
‘দেখে নাই অত অজস্র চুলের চুমা হিজলে কাঁঠালে জামে ঝরে অবিরত !’

সেই আবেগেরই উত্তরাধিকার তাই আজ উত্তরজাতিকাদের কণ্ঠে…

Skip to content