রবিবার ৬ অক্টোবর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

পরীক্ষার খাতা দেখার গাফিলতির জন্য শোকজ করা হতে পারেন শিক্ষকরা। এই তথ্য জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউ) রিভিউ ও (পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি) স্ক্রুটিনির ফল প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবার। ফল বেরবার পর দেখা গিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষায় খাতা দেখায় গাফিলতি করেছেন শিক্ষকরা।
রিভিউ ও স্ক্রুটিনির ফলাফলে মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে তিন শতাংশ পড়ুয়ার নম্বর বাড়লেও, উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে প্রায় ২০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীর নম্বর বৃদ্ধি বেড়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকে ৮,৩৬১টি স্ক্রুটিনিতে এবং ৮৫,২২৭টি রিভিউয়ে আবেদন করেছিলেন পড়ুয়ারা। মোট ১৮,৫৭৬ জনের খাতা মূল্যায়ন হয়েছে। এক্ষেত্রে নম্বরের বড়সড় পরিবর্তন সংসদের চোখ এড়ায়নি। প্রায় ১৯.৮৫ শতাংশ পড়ুয়ার নম্বর বাড়ায় প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষকদের খাতা দেখার মান নিয়ে।
এর মধ্যে আবার একটি বিষয়ে ৫৮ নম্বর বৃদ্ধি হয়েছে। এর আগে সর্বোচ্চ ৫২ নম্বর বৃদ্ধি পেয়েছিল ২০১৯ সালে। একজন পড়ুয়া একটি বিষয়ে ছয় পেয়েছিলেন। পরে সেই নম্বর বেড়ে হয় ৬০। এর পাশাপাশি এখনও দেড় হাজার উত্তরপত্রের মূল্যায়ন বাকি ঠাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদ। এই সব গাফিলতির কারণে সংসদ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথা ভাবনাচিন্তা করেছে।
শিক্ষকদের শোকজ করে ব্যাখ্যা চাওয়া হতে পারে কেন তাঁদের খাতা দেখায় সমস্যা হল। সে কারণেই সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য স্ক্রুটিনি ও রিভিউয়ের ফলপ্রকাশের পরেই ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে, শোকজের জন্য কোন পদ্ধতিতে শিক্ষকদের চিহ্নিত করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ নিয়ে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের কথায়, ‘সংসদ কী ভাবে শিক্ষকদের শোকজ নোটিস দেবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। কারণ, শোকজের ঘটনা সংসদের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ফলে সংসদকে এটাও দেখতে হবে যে, শোকজ করার ক্ষেত্রে শিক্ষক-সমাজের ওপর যেন কোনও চাপ না তৈরি হয়।’
উল্লেখ্য, সংসদ জেনেছে, কোনও কোনও শিক্ষক খাতা দেখার ক্ষেত্রে নম্বর যোগ করতে ভুল করেছিলেন। পাশাপাশি খাতা দেখায় কিছু কিছু জায়গায় শিক্ষকরা নম্বর দিতেও ভুল করেছিলেন। তাই, এই ধরণের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, সে কারণে এখনই পরিস্থিতির মোকাবিলা পদক্ষেপ করতে চাইছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

Skip to content