শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ববিতা সরকার।

আরও ৪ দিন পিছিয়ে গেল ববিতা সরকারের চাকরি সংক্রান্ত মামলার শুনানি। কলকাতা হাই কোর্টে আগামী শুক্রবার শুনানি হবে এই মামলার। সোমবার বিকেলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মামলাটির শুনানি পিছিয়ে দিন।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ববিতা স্কুল শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন। সোমবার ববিতার বিরুদ্ধে মামলার শুনানির কথা ছিল। গত বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। আদালত সেদিনও রায় দেয়নি। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ববিতাকে বলেছিলেন, তিনি যেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার থেকে প্রাপ্ত টাকা সরিয়ে রাখেন। কারণ ভবিষ্যতে সেই অর্থ তাঁকে ফেরত দিতে হতে পারে।
সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি মামলাটির শুনানি হবে। ববিতার চাকরি খারিজের দাবি তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শিলিগুড়িরই আর এক এসএসসি চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়। ওই চাকরিপ্রার্থী আদালতে জানান, ববিতা যে চাকরিটি পেয়েছেন, সেটার জন্য যোগ্য দাবিদার তিনিই। তাই ববিতার পাওয়া চাকরি তাঁকে দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন:

আপনার কেনা সব্জিতে কি রং করা হয়েছে? এই রং ক্ষতিকর? বুঝবেন কী ভাবে? রইল সহজ উপায়

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-১৯: দেখতে দেখতে ‘সদানন্দের মেলা’

রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ‘যোগ্য’ প্রার্থী হিসাবে ববিতাকে চাকরি দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। অঙ্কিতার এত দিনের চাকরির সব বেতনও দিয়ে দেওয়া হয় ববিতাকে। ৬ মাস আগে পাওয়া সেই চাকরি আবার প্রশ্নের মুখে।
আরও পড়ুন:

কলকাতায় ঠান্ডা সামান্য কমলেও পারদ এখনও স্বাভাবিকের চেয়ে নীচেই, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কী?

জ্যোতির্লিঙ্গ যাত্রাপথে, পর্ব-১: চলার পথে খানিক ভণিতা

উল্লেখ্য, শিলিগুড়ির ববিতার চাকরি খারিজের দাবি তুলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরই শহরের আর এক এসএসসি চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়। তাঁর দাবি ছিল, যে চাকরি ববিতা পেয়েছেন, আসলে তার যোগ্য দাবিদার তিনি নিজেই। তাই ববিতার চাকরি তাঁকে দেওয়া হোক, এই দাবি নিয়ে আদালতে গিয়েছেন অনামিকা।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ‘যোগ্য’ প্রার্থী হিসাবে ববিতাকে চাকরি দিয়েছিলেন। এমনকি, এত দিন ধরে অঙ্কিতা চাকরি থেকে যা বেতন পেয়েছিলেন তাও ববিতাকে দেওয়া হয়। ৬ মাস আগে যোগ দেওয়া এই চাকরিও আবার প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে।

Skip to content