ববিতা সরকার ও অনামিকা রায়।
এ বার ববিতা সরকারের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে গেলেন অনামিকা রায়। কয়েক মাস আগে মন্ত্রীকন্যার জায়গায় স্কুলশিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। অনামিকা নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসাবে দাবি করে কলকাতা হাই কোর্টে আর্জি জানিয়েছেন। তিনি তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন, ববিতার চাকরি বাতিল করে তাঁকে চাকরিটি দেওয়া হোক।
উল্লেখ্য, ২৪ ঘণ্টা আগে নিজের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে এমন অভিযোগ জানিয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন ববিতা নিজেই। এদিকে, অনামিকা রায় মঙ্গলবার হাই কোর্টকে জানিয়েছেন, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর বেশি, তাই তিনিই ওই চাকরির যোগ্য দাবিদার।
উল্লেখ্য, ২৪ ঘণ্টা আগে নিজের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে এমন অভিযোগ জানিয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন ববিতা নিজেই। এদিকে, অনামিকা রায় মঙ্গলবার হাই কোর্টকে জানিয়েছেন, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর বেশি, তাই তিনিই ওই চাকরির যোগ্য দাবিদার।
সম্প্রতি এসএসসি-র কাছে ববিতা যে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন তাঁর একটি ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও তার সত্যতা সময় আপডেটস যাচাই করেনি। আবেদনপত্রে উল্লেখ করা তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ববিতা স্নাতক স্তরে ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৪৪০ নম্বর পেয়েছেন। স্নাতক স্তরে শতকরা হিসাবে তিনি ৫৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। অভিযোগ, ‘ভুল’ না কি এখানেই হয়েছে! কারণ, আবেদনপত্রে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে ববিতার ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’-এর হিসেবে ভুল হয়েছে।
নিয়োগ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের কথায়, অভিযোগ সত্যি হলে, ববিতার ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ ৩৩-এর বদলে ৩১ হবে। এর ফলে তিনি র্যা ঙ্কিংয়েও পিছিয়ে পড়বেন। উল্লেখ্য, গত বছর ১৭ মে এসএসসি-র চেয়ারম্যান আদালতে ববিতার নম্বর জানান। সেই মতো বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জুন মাসে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ববিতাকে সেই জায়গায় নিয়োগের নির্দেশ দেন।
নিয়োগ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের কথায়, অভিযোগ সত্যি হলে, ববিতার ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ ৩৩-এর বদলে ৩১ হবে। এর ফলে তিনি র্যা ঙ্কিংয়েও পিছিয়ে পড়বেন। উল্লেখ্য, গত বছর ১৭ মে এসএসসি-র চেয়ারম্যান আদালতে ববিতার নম্বর জানান। সেই মতো বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জুন মাসে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ববিতাকে সেই জায়গায় নিয়োগের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন:
শুটিং ফ্লোরেই আচমকা অসুস্থ, প্রয়াত অঞ্জন চৌধুরীর পুত্র পরিচালক সন্দীপ চৌধুরী
নামিকার আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জনান, কেউই এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রান্ত নম্বর জানত না। হাই কোর্টের নির্দেশে নম্বর প্রকাশ্যে আসে। এখন কে কত পেয়েছেন তা সবারই জানা। ববিতা মামলা করে আগে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর জানেছেন। স্বাভাবিক ভাবে তিনি জানতেন, তাঁকে অ্যাকাডেমিক স্কোরে বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। তাই এই বিষয়টি তাঁর আদালতে তা জানানো উচিত ছিল। যদিও তিনি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ না করে চাকরি নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে ববিতা জানিয়েছিলেন, তিনি নিজেই বিষয়টি হাই কোর্টের নজরে আনবেন। সোমবারই তিনি হাই কোর্টে যান। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ববিতা সরকারের আবেদন গ্রহণ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলায় ববিতার আবেদনের ভিত্তিতে এসএসসি যুক্ত করার কথা বলেন বিচারপতি। বুধবার ববিতার আবেদনের পরবর্তী শুনানি হবে। এদিকে, ববিতার চাকরি বাতিলের দাবি অনামিকার করা আবেদনটিও বুধবারই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চেই শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চ অনামিকাকে মামলা দায়েরের অনুমতিও দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে ববিতা জানিয়েছিলেন, তিনি নিজেই বিষয়টি হাই কোর্টের নজরে আনবেন। সোমবারই তিনি হাই কোর্টে যান। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ববিতা সরকারের আবেদন গ্রহণ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলায় ববিতার আবেদনের ভিত্তিতে এসএসসি যুক্ত করার কথা বলেন বিচারপতি। বুধবার ববিতার আবেদনের পরবর্তী শুনানি হবে। এদিকে, ববিতার চাকরি বাতিলের দাবি অনামিকার করা আবেদনটিও বুধবারই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চেই শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চ অনামিকাকে মামলা দায়েরের অনুমতিও দিয়েছেন।
অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-১: অমৃতের সন্ধানে…
ববিতার আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বলেন, এসএসসি আদালতে জানায় ববিতার নম্বর। তার ভিত্তিতেই ববিতার স্কুলে চাকরি হয়। ববিতা ফর্ম পূরণে সময় স্নাতক স্তরের প্রাপ্ত নম্বর ঠিক দিয়েছিলেন। কোনও ভুল নেই। শতাংশের বিকল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভুল থাকলে তা যাচাই করার দায়িত্ব এসএসসি-র। তবে আদালত যা নির্দেশ দেবে তা মেনে নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে বেআইনি ভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে চাকরি দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন ববিতা সরকার। শেষমেশ হাই কোর্টের নির্দেশে অঙ্কিতার চাকরি যায়। অঙ্কিতার জায়গায় ববিতা চাকরি পান। পাশাপাশি আদালত অঙ্কিতা অধিকারীর বেতনের ১৫ লাখ টাকাও ববিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে বেআইনি ভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে চাকরি দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন ববিতা সরকার। শেষমেশ হাই কোর্টের নির্দেশে অঙ্কিতার চাকরি যায়। অঙ্কিতার জায়গায় ববিতা চাকরি পান। পাশাপাশি আদালত অঙ্কিতা অধিকারীর বেতনের ১৫ লাখ টাকাও ববিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।