রবিবার ১০ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

টেটের প্রশ্নফাঁস রুখতে ৭ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। পরীক্ষা চলাকালীন কিছু স্পর্শকাতর জেলার যে সব জায়গায় টেট পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে, সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ন্ত্রণের রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে । অর্থাৎ দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২ টো ৩০ মিনিট পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
এদিকে, রবিবার রাজ্য জুড়ে প্রাথমিকের ‘টেট’ পরীক্ষা ভালোয় ভালোয় সম্পন্ন করতে পরীক্ষা শুরুর চার ঘণ্টা আগে থেকেই কলকাতার পথে নামছে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী। বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে যান শাসনের জন্যও। মোট ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩২ জন পরীক্ষার্থী এবার ‘টেট’ পরীক্ষায় বসবেন। কলকাতায় এই ক্ষার্থীর সংখ্যা দশ হাজার। রাজ্যে মোট ১ হাজার ৪৬০টি কেন্দ্রে টেট পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:

বিতর্কের ছায়াতেই রবিবার প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা! আপনি যদি পরীক্ষার্থী হন তাহলে এই বিষয়গুলি জেনে রাখা জরুরি

ক্রীড়া প্রশাসনে ইতিহাস! ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার প্রথম মহিলা সভাপতি হলেন ক্রীড়াবিদ পিটি ঊষা

অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাস্তায় নেমে পড়েছে। অন্তত এক জন ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক সব পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন। ওই আধিকারিকদের অধীনে থাকবেন একাধিক পুলিশকর্মী। পাশাপাশি দু’জন করে সশস্ত্র পুলিশকর্মীও থাকবেন প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন:

বাইরে দূরে: ‘আমার এ পথ…’

চিতল মাছের তো খেয়েছেন, এবার চিংড়ির মুইঠ্যার স্বাদ নিন, রইল সহজ রেসিপি

লালবাজার সব পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে ভিড় সামলাতেও নির্দেশ দিয়েছে। আবার কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র মিলিয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিকেরা নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়াও কেন্দ্রগুলির বাইরে ক্যামেরা লাগাচ্ছে পুলিশ। শহরের বাইরে থেকেও পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে আসবেন। তাই তাঁদের যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়, সে দিকে নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গার্ডদের। কলকাতার বিভিন্ন প্রবেশপথে থাকবেন অতিরিক্ত পুলিশকর্মীরা। এছাড়াও বাড়তি পুলিশকর্মী রাখা হয়েছে রেল স্টেশন এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে।
কলকাতায় ১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা, বায়োমেট্রিক পরীক্ষা তো হবেই, সেই সঙ্গে পরীক্ষার্থীরা যখন মেটাল ডিটেক্টর পেরিয়ে প্রবেশ করবেন, তখন স্ট্যাম্প মারা হবে তাঁদের দ্বিতীয় অ্যাডমিট কার্ডে। তবেই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন।

Skip to content