শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


স্বাস্থ্য নিয়ে পদযাত্রায় ডাঃ আরএন চট্টোপাধ্যায়।

ডাক্তার আরএন চট্টোপাধ্যায়। পুরো নাম রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। বেলঘরিয়ার এক ধন্বন্তরি ডাক্তার। কিছুদিন আগেই তাঁর শতবর্ষ পালিত হয়েছে। বিশ্বকবির নামে নিজের নাম! স্যার এতে বেশ গর্বই অনুভব করতেন। ছিলেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। যে সময় স্যার হৃদরোগ নিয়ে কাজ শুরু করেন, তখন চিকিৎসা ব্যবস্থার এত অভূতপূর্ব উন্নতি হয়নি। হার্টের অসুখ ধরতে হতো বুকে স্টেথো বসিয়েই। খুব বেশি হলে ইসিজি। ইকো, ট্রেডমিল টেস্ট, হলটার– হাজার গন্ডা পরীক্ষা তখন আবিষ্কারই হয়নি। আমি যখন আর জি কর-এর ছাত্র, তখন স্যারকে বহুবার কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। একমাথা অবিন্যস্ত সিল্কি সাদা চুল, পরনে সব সময় সাদা পোশাক, বুকে ঝুলছে একটি তিন নলা স্টেথোস্কোপ–স্যার হেঁটে চলেছেন এক ওয়ার্ড থেকে আর এক ওয়ার্ডের পথে, সঙ্গে একদল জুনিয়র ডাক্তার। ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়ের হাউস স্টাফ ছিলেন ডাক্তার চট্টোপাধ্যায়। একজন কিংবদন্তীর সঙ্গে কাজ করেছেন আমাদের স্যার, এটা ভেবে আমরাও খুব গর্ব অনুভব করতাম।

আমার গর্বের আরেকটা কারণ ছিল, স্যার এবং আমি একই শহরের বাসিন্দা। বেলঘরিয়ার। এছাড়া আমাদের ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের কামারহাটি শাখার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন আমাদের সবার প্রিয় স্যার। বার্ষিক সম্মেলনে প্রতিবছর নিয়ম করে আসতেন। বাড়িতেই ছিল স্যারের চেম্বার। এছাড়া কলকাতায় ধর্মতলায় বসতেন। বহু চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তাদের ডাকে সারা জীবন বহু ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে ছুটে বেড়িয়েছেন। পেশেন্ট নিয়ে কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করতে একাধিকবার স্যারের বাড়িতে গিয়েছি। একসঙ্গে অনেকক্ষণ কাটানোর সুযোগ পেয়েছি, বিভিন্ন বিষয়ে কথাও বলেছি। একবার কোনও এক পত্রিকার জন্য স্যারকে ইন্টারভিউ করতে গিয়েছিলাম। বিষয় ছিল: কেমন কাটে ব্যস্ত ডাক্তার বাবুদের পুজো? স্যার বলেছিলেন, ‘পুজোর উদ্বোধনে মাঝে মাঝে এদিক সেদিক যেতে হয়েছে বটে, তবে পুজোর কদিন আমি বিভিন্ন পুজো সংখ্যা পড়ে সময় কাটাতেই ভালোবাসি’। এমন ব্যস্ত একজন মানুষ পুজো সংখ্যা পড়েন! স্যার বলেছিলেন, তিনি নিয়মিত সাহিত্য পড়তে ভালোবাসেন। সময়াভাবে খুব বেশি পড়া হয় না, তবে ইদানিংকালে কারা কেমন লিখছেন, সে সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখতেন। বনফুল এবং নীহার রঞ্জন গুপ্তর মতো ডাক্তার-সাহিত্যিকদের সঙ্গে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতাও ছিল স্যারের।
ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের কামারহাটি শাখার বার্ষিক সম্মেলনে স্যার যেমন গেস্ট স্পিকার হয়ে এসেছেন, তেমনি এসেছেন সান্ধ্যকালীন বিনোদন অনুষ্ঠানের দর্শক হয়েও। স্যার শুধু সাহিত্যানুরাগী ছিলেন না, ছিলেন নাট্যানুরাগীও। আমি তখন আমাদের কনফারেন্সের সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে নিয়মিত নাটক মঞ্চস্থ করাচ্ছি। অধিকাংশ সময় নিজের লেখা নাটক নিয়েই কাজ করতাম। মনোজ মিত্র, গৌতম রায়, শ্যামাকান্ত দাসের নাটকও করিয়েছি। অভিনয়ে অংশ নিতেন আমাদের এলাকার বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা। মহিলা চরিত্রে আমার নিজস্ব নাট্যদলের মহিলা শিল্পীরা অভিনয় করতেন। কখনও বা প্রফেশনাল থিয়েটার থেকেও শিল্পী হায়ার করা হতো। ডাক্তারবাবুদের নাটক নিয়ে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে রোগীদের মধ্যে ভীষণ কৌতূহল থাকতো। হলে উপচে পড়তো ভিড়। সারাবছর যাঁরা এলাকায় জেনারেল বা স্পেশালিস্ট ডাক্তার হিসেবে প্র্যাকটিস করে গিয়েছেন, তাদের মঞ্চে অন্যরূপে দেখে রোগীরা ভীষণ মজাই পেতেন।

ডাক্তারবাবুদের দিয়ে নাটক করাতে গিয়ে আমাকে বেশ বেগ পেতে হতো। প্রত্যেকেই প্র্যাকটিস নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। অদম্য উৎসাহ থাকা সত্ত্বেও সময় মত রিহার্সালে এসে পৌঁছতে পারতেন না। আবার সময় মত এলেও রোগীর বাড়ি থেকে কল এলে মাঝপথে চলেও যেতে হতো। মাস দুয়েক অনিয়মিত রিহার্সাল দিয়ে বছরে এক রাত অভিনয়! ফলে অধিকাংশই খুব ভালো যে অভিনয় করতে পারতেন তা নয়, তবে কেউ কেউ রীতিমতো চমকে দিতেন। কিন্তু একটা ব্যাপারে এঁদের স্যালুট করতেই হবে যে এঁরা নাটকটিকে সফল করার জন্য ভয়ংকর পরিশ্রম করতেন। ছেলের বয়সী তরুণ এই ডিরেক্টরের কাছে অর্থাৎ আমার কাছে ধমক-ধামকও খেতেন যথেষ্টই। কয়েকটি ঘটনা বলি।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৩৩: রবীন্দ্রনাথের মাস্টারমশায়

মহাভারতের আখ্যানমালা, পর্ব-৩১: পাশায় নিঃস্ব নলরাজা পত্নী দময়ন্তীকে ত্যাগ করলেন

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব-৩৩: বসুন্ধরা এবং…

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-২৮: অনুপুষ্টিতে ভরপুর পুঁটিমাছ ছোটদের দৃষ্টিশক্তির বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

ডাক্তার সমীরবরণ সরকার ছিলেন বেলঘরিয়া-দক্ষিণেশ্বর-আড়িয়াদহ এলাকার নামকরা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। কমেডি রোলে খুব ভালো অভিনয় করতেন। থাকতেন দক্ষিণেশ্বর আদ্যাপীঠ মন্দিরের কাছেই। রিহার্সালের দিন প্রায়ই দেখতাম রিকশা চড়ে উনি আসছেন, চোখের সামনে হাতে ধরা নাটকের বই, ডায়লগ মুখস্ত করতে করতে আসছেন। প্রবীণ ডাক্তার মৃণালকান্তি দত্ত আবার প্রতিদিন সকালে বাজার করতে যেতেন নাটকের বই সঙ্গে নিয়েই। চেম্বারে রোগীর চাপ একটু কম থাকলেই বই খুলে ডায়লগ মুখস্ত করতেন।

ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের কামারহাটি শাখার বার্ষিক সম্মেলনে দীর্ঘদিন ধরেই নাটক হয়ে আসছে। প্রায় অর্ধ শতাব্দীর ইতিহাস। ছোটবেলায় আমাদের পাড়ার ডাক্তার হাউস ফিজিশিয়ান ডি এল কুণ্ডু বাবার হাত দিয়ে নাটকের কার্ড পাঠাতেন। আমরা হই হই করে সবাই মিলে যেতাম প্রিয় ডাক্তারবাবুর নাটক দেখতে। অনেকেই সংলাপ ভুলে যেতেন, মঞ্চে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতেন। একজন ডাক্তার বাবুকে দেখেছিলাম নাটক চলাকালীন মঞ্চে দাঁড়িয়েই চিৎকার করে প্রম্পটারকে বলছেন, জোরে জোরে বলো, কিছুই তো শুনতে পাচ্ছি না। বছরে একদিন নাটক করার ব্যাপারে আমাদের এলাকার ডাক্তারবাবুদের ছিল অদম্য উৎসাহ। পরিচালককে ফোন করে ভালো রোল দেওয়ার আবদার জানাতেন অনেকেই। মনে পড়ছে হীরালাল ডাক্তারের কথা। ঘোর কৃষ্ণবর্ণ তাম্বুল চর্চিত দাঁতের এই হাসিখুশি মানুষটি বরাবর লিড রোল চাইতেন। জমিদার হলে তো কথাই নেই! বাঙাল ভাষায় নিজস্ব স্টাইলে অভিনয় করে মঞ্চ মাত করে দিতেন। রোল পাওয়ার ব্যাপারে ডাক্তারবাবুদের মধ্যে মন কষাকষিও হতো। ভাড়া করা নায়িকার সান্নিধ্য পেতে চাইতেন অনেকেই। সে সব দিন পার হয়ে এসেছি অনেক আগেই। এখন শুধু ডাক্তারদের সংগঠনে কেন, বিভিন্ন অফিস ক্লাবেও নিজস্ব উদ্যোগে নাটক হয় না বললেই চলে। যা হয় তা হল, পাঁচমিশালি ফাংশন। নাটক হলেও কোন দলকে ভাড়া করে এনেই নাটক হয়।

ডাঃ মনীশ প্রধান। সঙ্গে আছেন জুনিয়র পিসি সরকার, ডাঃ সুবীর দত্ত ও ডাঃ সুনীল ঠাকুর।

১৯৮৭ সালে আমি প্রথম ডাক্তারদের নাটক পরিচালনার দায়িত্বে আসি। ২০১২-১৩ পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় ২৫ বছর এই দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করেছি। মাত্র একটি রাত ডাক্তারবাবুদের দিয়ে অভিনয় করানোর জন্য আমাকে ভীষণ পরিশ্রম করতে হতো। অবশ্যই এজন্য আমি পাশে পেতাম আমার নিজস্ব নাটকের গ্রুপের ছেলেমেয়েদের। ওরা নানাভাবে হেল্প করত আমাকে। স্টেজ সাজানো, প্রম্পট করা, সময় মত ডাক্তারবাবুদের ডায়লগ মনে করিয়ে মঞ্চে ঢুকিয়ে দেওয়া, এমনকি দু’-একজনকে প্রতিবারই অভিনয়েও নামতে হত। প্রথম প্রফেশনাল স্টেজের সেট-সেটিং, লাইট এবং মিউজিকের ব্যবহার আমিই শুরু করি আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের ডাক্তারবাবুদের নাটকে। একেবারেই যাকে বলে গ্রুপ থিয়েটারি টাচ। আমার বন্ধু প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রাজকুমার দত্ত এবং তমজিত গোস্বামী ছাড়া আর কেউই তেমনভাবে নাটকের সঙ্গে সারা বছর যুক্ত থাকতেন না। কত মজার ঘটনা ঘটত সিনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে। ডাক্তার অনিলবন্ধু বর্ধন ভীষণ নাটক উৎসাহী ছিলেন। সঙ্গীতেও যথেষ্ট জ্ঞান ছিল। আমি কোন দৃশ্যে বা কোন সংলাপে কি ধরনের নেপথ্য সংগীত ব্যবহার করছি, আমার কাছে জানতে চাইতেন এবং সাজেশন দিতেন। আমি ওঁর সাজেশন বহু ক্ষেত্রেই গ্রহণ করতাম। কিন্তু বর্ধনদা সব সংলাপ মনে রাখতে পারতেন না। আমার নাট্য বন্ধু বিশ্বজিতের দায়িত্ব থাকতো উইংসের পাশে দাঁড়িয়ে ওঁনাকে নাটকের কিউ ধরিয়ে দেওয়া। আমার লেখা ‘বড়বাবুর বাঘ শিকার’ নাটক হচ্ছে কামারহাটি সমাজ সদনে। পরের সিনেই উড়িয়া পাচক রূপে বর্ধনদার মঞ্চে প্রবেশ। বিশ্বজিৎ বর্ধনদাকে উইংসের পাশে চেয়ারে বসিয়ে রেখেছে অনেক আগে থেকেই। হঠাৎ ও দেখল, বর্ধনদা নেই। খোঁজ খোঁজ। অবশেষে ওঁনাকে টয়লেটে পাওয়া গেল। ধরে বেঁধে মিনিট দশের পর যখন মঞ্চে তোলা হল, তখন মঞ্চে উপস্থিত দু’জন অভিনেতা বানিয়ে বানিয়ে হাবিজাবি সংলাপ বলে চলেছেন। আর উইংসের পাশে দাঁড়িয়ে সেই সংলাপগুলোর যোগান দিয়ে যাচ্ছিলাম আমি।
আরও পড়ুন:

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব ১৪: হরধনু ভঙ্গ করলেন দাশরথি

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-১: আলোছায়ায় ‘দৃষ্টিদান’

ছোটদের যত্নে: শিশুকে কোন ওষুধ কখন খাওয়াবেন? ওষুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম কী? জানুন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

ত্বকের পরিচর্যায়: ফর্সা হওয়ার দৌড়ে না গিয়ে স্বাভাবিক রং নিয়েই সুন্দর ও সুরক্ষিত থাকুন, জানুন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

ডাক্তার আর এন চ্যাটার্জি অর্থাৎ আমাদের সবার প্রিয় স্যারও দর্শক আসনে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনিও হেসে গড়িয়ে পড়ছিলেন। স্যার, ডাঃ বর্ধন, ডাঃ অতুল্য মুন্সি, ডাঃ বিমল ভট্টাচার্য, ডাঃ সমীরবরণ সরকার, ডাঃ মৃণালকান্তি দত্ত — সহ বহু নাট্য প্রেমিক ডাক্তার চিরতরে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। রয়ে গিয়েছে শুধু স্মৃতি। মাঝে মাঝে সেগুলো রোমন্থন করি, যখন পুরনো অ্যালবামে নাটকের ফটোগুলো দেখি। আমিও আর ডাক্তারদের নাটকের সঙ্গে যুক্ত নেই। এখনও কনফারেন্সের সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে মাঝেমধ্যে নাটক হয়, তবে সেই রমরমা এখন আর নেই। থাকা সম্ভবও নয়।

এত ব্যস্ত একজন মানুষ! তবু হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও ডাক্তারদের নাটক দেখতে আসতেন আমাদের স্যার। আমি নিজে ওঁর বাড়ি কাম চেম্বারে গিয়ে আমন্ত্রণ জানাতাম। জিজ্ঞেস করতেন, কার লেখা নাটক, কতক্ষণের নাটক, কোন কোন ডাক্তার অভিনয় করছেন, নাটকের বিষয়বস্তু কি–ইত্যাদি। নাটক শুরুর আগে আধ-এক ঘণ্টা অন্যান্য কালচারাল প্রোগ্রাম থাকতো। তারপরে অডিটরিয়ামের আলো নিভতেই সঙ্গী-সহ ধীর পায়ে হেঁটে এসে একদম সামনের সারির মাঝখানে এসে বসতেন। দু’ তিনটে সিট সেখানে প্রতিবারই ফাঁকা রাখা থাকতো। নাটক ভালো হোক বা খারাপ হোক, স্যার কিন্তু ভীষণ উপভোগ করতেন। ওঁর মুখে কোনওদিন কারও সম্বন্ধে কোনও নিন্দা শুনিনি। স্যারের মৃত্যুর পর আরো দু’-তিন বছর কনফারেন্স শেষে আমরা নাটক করেছি কামারহাটি পৌরসভার নজরুল মঞ্চে। স্যারের জন্য দুটো সিট যথারীতি আমরা ফাঁকাই রেখে দিতাম। ভাবতাম, উনি যেন ঠিক আগের মতই ওখানে বসে আমাদের নাটক দেখছেন।
আরও পড়ুন:

ষাট পেরিয়ে: ডিমেনশিয়া ও অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকির মধ্যে আপনি নেই তো? সতর্ক হতে হবে গোড়াতেই/ পর্ব: ১

সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন: হার্ট অ্যাটাক নীরবেও হতে পারে! কোন উপসর্গ দেখে সতর্ক হবেন? জেনে নিন ডাক্তারবাবুর পরামর্শ

এই জীবনে কত মহান ডাক্তারের সংস্পর্শে যে এসেছি! আর এন চট্টোপাধ্যায়ের কথা তো বললাম। এছাড়া ডাক্তার মণীশ প্রধান, ডাক্তার রণবীর মুখোপাধ্যায়, ডাক্তার সুব্রত সেন, ডাক্তার অবনী রায় চৌধুরী, ডাক্তার দুলাল বসু, ডাক্তার গৌরহরি চক্রবর্তী, ডাক্তার ধুর্জটি প্রসাদ মুখোপাধ্যায়, ডাক্তার সুখময় ভট্টাচার্য — সব নাম এই মুহূর্তে মনেও পড়ছে না। এঁরা সবাই আমার আমন্ত্রণে শুধু বইমেলায় আমার বই উদ্বোধন অনুষ্ঠানেই নয় — বিভিন্ন স্বাস্থ্য মেলায়, রক্তদান শিবিরেও গিয়েছেন। অথচ পেশার জগতে এঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন চূড়ান্ত ব্যস্ত। তবু তার মধ্যে সময় বার করে অর্থের প্রলোভন এড়িয়ে বিভিন্ন সামাজিক দায়-দায়িত্ব নিয়মিত পালন করে গিয়েছেন। এঁদের তাই স্যালুট তো জানাতেই হয়।

Skip to content