রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


অয়নের সঙ্গে একাকী সিনেমায়

মাটির গন্ধ মাখা মিষ্টি প্রেমের একের পর এক ছবি করেছেন আমাদের সবার প্রিয় পরিচালক তরুণ মজুমদার। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তনুবাবু বলেই যাকে জানেন। বালিকা বধু, নিমন্ত্রণ, ঠগিনী, ভালবাসা ভালবাসা, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, দাদার কীর্তির মতো সিনেমা যিনি বানিয়েছেন, তার হাত থেকেই আবার বেরিয়েছে গণদেবতা, অমর গীতি কিংবা সংসার সীমান্তের মতো ছবিও। তনুবাবুর সিনেমা দেখতে গেলে যে কোনও দর্শকই একটা অদ্ভুত ভালো লাগায় আচ্ছন্ন হয়ে হল থেকে বেরোন। আর জি কর মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় থেকেই একের পর এক ওঁর সিনেমা দেখে চলেছি এবং তাঁর সম্বন্ধে একটা আগ্রহও ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে।

তনুদাকে আমি প্রথম দেখি সংসার সীমান্তে ছবির মহরত অর্থাৎ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে। অনাহুত হয়েও পরিচিত একজনের সৌজন্যে টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে ঢুকে পড়েছিলাম শুধু তাঁকে দেখব বলেই। উপরি পাওনা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা রায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো বাঘা বাঘা আর্টিস্টকে একসঙ্গে দেখবার এবং অটোগ্রাফ নেওয়ার সুযোগ লাভ করা।

এর কয়েক বছর পর তনুবাবুর শুটিংয়ে হঠাৎ আমার ডাক পড়ে। না না, অভিনয় করার জন্য নয়, উপদেষ্টার কাজ করার জন্য। তনুদার একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট তন্ময়, যার ডাকনাম ছিল তারু, সে ছিল আমার পাড়াতুতো বন্ধু, পাশের পাড়ায় থাকত। একদিন ফোন করে বলল, তনুদা একটা সিনেমা করছেন। তার একটা দৃশ্যে ডাক্তারের চেম্বারটা তোমাকে ঠিকঠাক সাজিয়ে দিতে হবে। আমি তোমার নাম দাদার কাছে সাজেস্ট করেছি। প্লিজ তুমি না কোরো না। না করার প্রশ্নই আসে না। অভিনয়ের সুযোগ না পাই, কাছাকাছি পৌঁছনোর সুযোগ তো পাবো। ভবিষ্যতে বিড়ালের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়তেও তো পারে। একদিন তন্ময়ের সঙ্গে হাজির হলাম স্টুডিও সাপ্লাই কো-অপারেটিভে, এখন যেটি সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি, আনোয়ার শাহ রোড থেকে লেক গার্ডেন্স ফ্লাইওভারের রাস্তায় ঢুকতেই বাঁদিকে পড়ে।

তনুবাবুর সঙ্গে পরিচয় হল। সিনেমাটির নাম ছিল ‘সজনী লো সজনী’। মাথায় আঘাত পেয়ে সিনেমার হিরোর চোখের দৃষ্টিশক্তি চলে গিয়েছে। অপারেশন হয়েছে। সেই চোখের ব্যান্ডেজটা আমাকে বেঁধে দিতে হবে এবং যে ডাক্তারের চেম্বারে ওকে চেকআপের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে সেই চেম্বারটিকে ঠিকঠাক সাজিয়ে দিতে হবে। প্রোডাকশন ডিপার্টমেন্ট থেকে আমায় কিছু জিনিসপত্র দেওয়া হল চেম্বার সাজানোর জন্য। তাছাড়া আমিও কিছু জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছিলাম। আনন্দের সঙ্গেই কাজটি করলাম। তনুবাবু সেদিনের শটে উপস্থিত অনেকের সঙ্গেই আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন, যার মধ্যে উৎপল দত্তও ছিলেন। উনি বরাবরই একজন নিপাট বাঙালি ভদ্রলোক। সবাইকেই যথোচিত সম্মান দিয়ে কথা বলেন। আমাকে উনি যথেষ্ট খাতির করেছিলেন। আমি যেন লাঞ্চ খেয়ে যাই, সেকথা প্রোডাকশন ম্যানেজারকে নিজে ডেকে বলে দিলেন। তাছাড়া তন্ময়কে বললেন, আমার যাতায়াত ভাড়া দিয়ে দিতে এবং আমি খেয়ে গেলাম কিনা সেটি খেয়াল রাখতে। প্রায় ৩৭-৩৮ বছর আগের ঘটনা এটি। লাঞ্চ করে বিদায় নেবার আগে আমি তনুদার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ধন্যবাদ জানালাম এবং একটু রসিকতা করেই বললাম, দেখবেন স্যার, আমার নামটা যেন কৃতজ্ঞতা স্বীকারে যায়। নিশ্চয়ই যাবে, বললেন উনি। তারপর আমি একটু পাকামি করে বললাম, ব্র্যাকেটে ব্যান্ডেজ কথাটা লিখে দিতে পারেন। উনি মুচকি হাসলেন।

বইমেলায় আমার বই উদ্বোধনের পর।

এরপর কয়েক বছর আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। এরপর আমি লেখালেখির জগতে ঢুকে পড়েছি। আনন্দবাজার-দেশ সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লিখছি। তখন আনন্দলোকের সম্পাদক ছিলেন সাহিত্যিক দুলেন্দ্র ভৌমিক। তাঁর কাছে লেখার আবদার করেছিলাম। উনি আমাকে বললেন, চলচ্চিত্রে রবীন্দ্র সংগীতকে যাঁরা জনপ্রিয় করেছেন, তাঁদের ইন্টারভিউ ভিত্তিক একটি লেখা তুই লিখতে পারিস। এটা তো সিনেমা পত্রিকা। এখানে যাই লেখা হোক না কেন, তার সঙ্গে সিনেমা বা টিভির সম্পর্ক থাকতে হবে। সাজেস্ট করলেন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এবং তরুণ মজুমদারের নাম। আমি তো শুনে নেচে উঠলাম। তরুণবাবু তো আমার পরিচিতই ছিল। এবার আমার প্রিয় শিল্পী হেমন্ত বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তার আগে চলচ্চিত্রে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রয়োগের ইতিহাস নিয়ে একটু পড়াশোনা করতে হবে, মানে পেপার ওয়ার্কস। এটা করতেই মাস তিনেক সময় কেটে গেল। এর মধ্যেই আমাদের সবাইকে চিরদিনের জন্য ছেড়ে অন্য সুরলোকে পাড়ি দিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।

খবরটা শুনে ভীষণ ভেঙে পড়লাম আমি। ঠিক করলাম এই লেখাটা আমি আর করব না। দুলেন্দ্রদাকে জানিয়েও দিলাম। দুলেন্দ্রদা বললেন, তুই শুধু তরুণ বাবুকে নিয়েই কর। আমি বললাম, দেখি যদি সম্ভব হয়। আরও বছরখানেক কেটে গেল। আমি প্রথম যাঁর সিনেমায় কাজ করেছিলাম, তিনি ছিলেন পরিচালক পান্না হোসেন, ছবির নাম ছিল ‘বীজ’। প্রিমিয়ার শো হওয়ার পরেও কিন্তু সেটি আর অফিশিয়ালি মুক্তি পায়নি। এই পান্নাদার পরের ছবির নাম ছিল ‘একাকী’। সেই ছবির শ্যুটিং করতে আমরা সদলবলে গিয়েছিলাম ডুয়ার্সের মালবাজারে। হিরো-হিরোইন ছিল অয়ন এবং মুনমুন সেন। এছাড়া ছিলেন সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়। তরুণ মজুমদারের বেশ কয়েকটি সিনেমায় হিরো হওয়ার পর অয়ন তখন সবার কাছেই পরিচিত মুখ। ওরা সব ফ্লাইটে গিয়েছিল। আমরা গিয়েছিলাম বাসে। আমাদের সঙ্গে কেয়ারটেকার এক মহিলার তত্ত্বাবধানে রিয়া এবং রাইমাও গিয়েছিল। মুনমুন সেন মুম্বাইতে শুটিং করছিলেন। ওখান থেকে ফ্লাইটে এসে পরের দিন আমাদের সঙ্গে মিট করেছিলেন।

পরিষ্কার মনে আছে তিস্তা নদীর পাশে খুব সুন্দর কয়েকটি কটেজে আমরা উঠেছিলাম। রিয়া এবং রাইমা তখন বেশ ছোট, ৭-৮ বছর বয়স হবে। বাসেই ওদের সঙ্গে আমার ভাব হয়ে গিয়েছিল। ওই মহিলার কড়া শাসনে অতিষ্ঠ হয়ে ওরা বারবার নিজের সিট ছেড়ে আমার কাছে চলে আসছিল। আমি সঙ্গে থাকা লজেন্স এবং চানাচুর ওদের দিয়েছিলাম। ওরা খুব তৃপ্তি করে খেয়েছিল। মালবাজারে শ্যুটিংয়ের ফাঁকে ওদের আমি কাছের একটি মুদি দোকান থেকে হজমি এবং কটকটি ভাজা কিনে দিয়েছিলাম। বাড়িতে তো ওরা এগুলো খাবার সুযোগ পায় না। খেয়ে দুজনেই বেজায় খুশি। বারবার করে ওদের বলে দিয়েছিলাম মাকে যেন কিছু না জানায়। আমার সঙ্গে ওদের ভাব দেখে মুনমুনও কোনও আপত্তি করেননি, কারণ উনি জেনেছিলেন যে আমি একজন ডাক্তার। কিন্তু বিপত্তিটা ঘটল পরের দিন বিকেলবেলা। আমি একজন শ্যুটিং দর্শনার্থীর কাছ থেকে একটা সাইকেল নিয়ে তিস্তা নদীর পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। রিয়া বা রাইমার মধ্যে কোনও একজন আবদার করল সাইকেলে উঠবে। আমি ওকে সামনে রডের উপর বসালাম। প্যাডেল করে এগোতে না এগোতেই আরেকজন লাফ দিয়ে আমার পিছনের ক্যারিয়ারে উঠে বসতেই সাইকেল গেল উল্টে। আমি দুটো বাচ্চাকে নিয়ে চিত পটাং। দুজনেরই হাত-পা একটু করে ছড়ে গেল। মুনমুন কিছুটা দূরে শ্যুটিং লোকেশনে ছিল। খবর পেয়ে ও দৌড়ে এল। আমার তো অপ্রস্তুত অবস্থা! যাই হোক ফাস্ট এড দিয়ে ব্যাপারটা সামলালাম। অনেকবার সরিও বললাম। মুনমুন কেয়ারটেকার মহিলাকে যাচ্ছেতাই ভাবে বকাঝকা করলেন। পট করে সেই মহিলা বলে দিল যে ওরা আমার সঙ্গে গতকাল দোকানে গিয়ে এটা-সেটা খেয়েছে। মুনমুনের ফর্সা মুখটা টকটকে লাল হয়ে গেল। আমার দিকে অগ্নিদৃষ্টি বর্ষণ করে বললেন, ডক দিস ইজ নট এক্সপেক্টেড ফ্রম ইউ। আমার তখন লজ্জায় পাতাল প্রবেশের অবস্থা। আমাকে যদি ডক না বলে সেই মুহূর্তে উনি ডগ বলতেন, আমার কিছু বলার থাকত না। কতদিন আগের ঘটনা! অন্তত ৩৫ বছর তো হবেই। আমি জানি এই ঘটনা মুনমুন রিয়া-রাইমা কারওই হয়তো মনে নেই। আমিও ভুলতে বসেছিলাম। হঠাৎ লিখতে বসে সব মনে পড়ে গেল।

বইমেলায়

প্রথম রাতে আমাকে শুতে হয়েছিল ডরমিটরিতে আরও চার-পাঁচ জনের সঙ্গে। পরের দিন অবশ্য আমি একটি ডাবল বেডেড রুমে প্রবেশাধিকার পেলাম। কিন্তু শুনলাম ওই রুমের একটি বেডে আমাদের হিরো অয়ন রয়েছে। বাকি বেডটি বরাদ্দ হয়েছে আমার জন্য। পরিচালকের খাস লোক হওয়াতে এবং সর্বোপরি পিছনে ডাক্তারি ছাপ থাকাতে, আমার যে এই প্রমোশন, বেশ বুঝতে পারলাম। কিন্তু অয়ন ব্যাপারটা কতটা জানে, সেটা নিয়ে আমার প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল। সন্দেহটা সত্যি হতে বেশিক্ষণ সময় লাগলো না। রাত আটটা নাগাদ শ্যুটিং সেরে অয়ন ঘরে ঢুকে আমাকে দেখে একটু থমকে দাঁড়ালো। বলল, আপনি! আমি সবিনয়ে আমার পরিচয় জানাতেই, ও একটু আসছি বলে বাইরে বেরিয়ে গেল। কিছুক্ষণ বাদে ফিরে এসে বাথরুমে ঢুকে গেল। ফ্রেশ হয়ে এসে সোফায় বসে আমাকে প্রথম যে কথাটি বলেছিল, সেটি আমার আজও মনে আছে। আপনি কি মদ খান? আমি বললাম, না মদ-সিগারেট কিছুই আমি খাই না। দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল, আপনি কি নাক ডাকেন? আমি উত্তর দিয়েছিলাম, আমি কয়েক মাস আগেই বিয়ে করেছি, এখন পর্যন্ত আমার বউ তেমন কোনও অভিযোগ করেননি। দুটি উত্তরে সন্তুষ্ট হয়ে অয়ন হাসি হাসি মুখে বলল, বেশ তাহলে আপনি আমার সঙ্গে থাকতেই পারেন। এরপর দুজনে একসঙ্গে ডিনারে গেলাম। ফিরে এসে টুকটাক গল্প শুরু হল, সেই গল্প ডালপালা বিস্তার করে শেষ হল প্রায় রাত দুটোয়। আমার লেখালেখির প্রসঙ্গে আমি রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে যে লেখাটি তরুণ মজুমদারকে নিয়ে করবো ভেবেছিলাম সেটির কথাও বললাম। শুনে ও বলল, খুব ভালো সাবজেক্ট। আমি আপনাকে স্যারের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেব।

কলকাতায় ফিরে কথা রেখেছিল অয়ন। একদিন অ্যাপয়নমেন্ট করে ও তনুবাবুর সঙ্গে আমাকে দেখা করিয়ে দিল। আমি ওঁর সঙ্গে আমার পূর্ব পরিচিতির কথা তাঁকে বললাম এবং উনি তার দুদিন পরেই আমাকে আসতে বললেন ইন্টারভিউ করার জন্য। আমি জানতাম তনুবাবু খুব টাইম মেনটেন করেন। আমি নির্ধারিত দিনে নির্ধারিত সময়ের মিনিট পনেরো আগেই স্টুডিওতে ঢুকে পড়লাম। রীতিমতো পড়াশোনা করে এবং তনুবাবুর বেশ কিছু সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করে প্রশ্নমালা সাজিয়েছিলাম। সেদিন প্রায় দু’ঘণ্টার আলাপচারিতায় বুঝেছিলাম রবীন্দ্র সংগীতের উপর এবং আধুনিক সিনেমার উপর কি অসম্ভব দখল, এই ছোটখাটো মানুষটির। আমার লেখার শিরোনাম করেছিলাম ‘সিনেমায় রবীন্দ্রসঙ্গীতে প্রয়োগ- অপপ্রয়োগ এবং তরুণ মজুমদার’। লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল আনন্দলোক পত্রিকায় এবং সেই সময় পর্যন্ত ওনার পরিচালিত বিভিন্ন সিনেমায় ব্যবহৃত রবীন্দ্র সংগীতের একটি তালিকাও লেখার সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছিল। সেই লেখার কোনও কপি আমার কাছে আর নেই, কালের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে। তবে স্মৃতিতে যেটুকু আছে, তার থেকে দু-চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই লেখায় তুলে ধরছি।

'একাকী' ছবিতে মুনমুনের সঙ্গে ৩৫ বছর আগে।

যেকোনও ছবিতেই গানের খুব সুচিন্তিত প্রয়োগ করতেন তনুবাবু। তার কথাতেই বলি: ‘গান ছবির গল্পের প্রয়োজনে আসবে, একাত্ম হয়ে আসবে, জোর করে তাকে গুঁজে দেওয়া যাবে না। আমার বহু সিনেমায় আমি রবীন্দ্রসঙ্গীতের ব্যবহার সেভাবেই করেছি, যাতে কখনওই মনে না হয়, শুধু রবীন্দ্রসংগীত রাখব বলেই আমি সেই দৃশ্যটি নির্মাণ করেছি’। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের প্রতি ভীষণ দুর্বলতা এবং অপরিসীম শ্রদ্ধা ছিল তনুবাবুর। তার প্রতিটি ছবিতে আমৃত্যু হেমন্তবাবুই সুরারোপ করেছেন। এবং যতদিন গলা স্ববশে ছিল ততদিন নিজেই গান গেয়েছেন। হেমন্ত বাবুর সঙ্গে এক অদ্ভুত বোঝাপড়া ছিল তাঁর। প্রচলিত আধুনিক গান এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও বাউল, কীর্তন, ফোক, টপ্পা-সহ নানারকম গান তিনি হেমন্তবাবুকে দিয়ে গাইয়েছিলেন। সম্প্রতি দে’জ পাবলিশিং থেকে দুটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে তরুণ মজুমদারের লেখা বই ‘সিনেমা পাড়া দিয়ে’। বইটি পড়লে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। জানা যাবে তার সিনেমা তৈরি নেপথ্যের অনেক অনেক মজার মজার ঘটনা। সেসব গল্প পরের সপ্তাহে শোনাব।

Skip to content