মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


ছবি প্রতীকী। সংগৃহীত।

সুন্দর চুল ও ত্বক আমরা সবাই চাই। আর এই সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান হল ভিটামিন-ই। ভিটামিন-ই এমন একটা পুষ্টি উপাদান, যা আমাদের শরীরে প্রায় সমস্ত রকম দুর্বলতা ও রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। বেশির ভাগ ক্রিমেই এই ভিটামিন-ই উপস্থিত থাকে। ভিটামিন-ই এর রাসায়নিক নাম ‘টোকো ফেরল’, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
 

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট

ভিটামিন-ই’তে বেশ কিছু আন্টি-অক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকে। যা আমাদের ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
 

বলিরেখা এড়াতে

ত্বকের বলিরেখার সমস্যা এড়াতে ভিটামিন-ই ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। তাই মুখে সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
 

আর্দ্র ত্বক

ভিটামিন-ই প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। যে কারণে ত্বক অনেক বেশি হাইড্রেট থাকে। তাই বিভিন্ন ক্রিমে উপস্থিতি ভিটামিন-ই ত্বককে অনেক বেশি সুন্দর রাখে।

আরও পড়ুন:

হেলদি ডায়েট: খুব তাড়াতাড়ি চুল লম্বা করতে চান? কী কী খাবেন

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-১: একটু শুরুর কথা হলে ক্ষতি কী…

 

অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষায়

বাইরে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিনের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সানস্ক্রিনের উপাদানগুলির মধ্যে ভিটামিন-ই এবং সি থাকে। যা সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
 

চুলের স্বাস্থ্য

ভিটামিন-ই’তে উপস্থিত আন্টি-অক্সিডেন্ট চুলের যে কোনও রকম সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। মূলত ধুলোবালির জন্য চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন রকম সমস্যার হাত থেকে ভিটামিন-ই চুলকে রক্ষা করে। একইসঙ্গে চুলকে আরও সুন্দর ও নরম রাখে।

আরও পড়ুন:

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-১০: আমাদের কোনও শাখা নেই

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫: চন্দ্রমণির বধূবরণ

 

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রেণে রাখে

আমরা সবাই জানি কোলেস্টেরল সাধারণত দু’ প্রকার, এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরল এবং এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল। ভিটামিন-ই আমাদের শরীরে এই দু’ রকম কোলেস্টেরল সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
 

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে

ভিটামিন-ই আমাদের দৃষ্টিশক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখে যে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা যায়, তা ভিটামিন-ই সহজেই দূর করতে পারে।
 

অ্যালঝাইমার্স প্রতিরোধে

ভিটামিন-ই স্নায়ুকে সতেজ রাখে। ফলে স্নায়ু জনিত নানা রোগ যেমন অ্যালঝাইমার্স হওয়ার ঝুঁকি কমে। এছাড়াও ভিটামিন-ই এবং ভিটামিন-সি’র সঠিক মাত্রা নানা রোগ হওয়ার সম্ভাবনার মাত্রাকে অনেক কমিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬৯: গাধা পিটিয়ে ঘোড়া

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩১: বিড়াল ঘাঁটলেই কি ডিপথেরিয়া হতে পারে?

 

গর্ভে থাকা শিশুর স্বাস্থ্য

গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের ক্ষেত্রে ভিটামিন-ই প্রয়োজন। এইসময় ভিটামিন-ই সরবরাহ কম হলে গর্ভে পালিত শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঠিক মতো হয় না। জন্মের পর নান রকম স্নায়ুজনিত সমস্যার ভয় থাকে।
 

ভিটামিন-ই এর বিভিন্ন উৎস

দৈনন্দিন জীবনের বেশ কিছু খাবার থেকে আমরা ভিটামিন-ই পেয়ে থাকি। তাই প্রথমেই সাপ্লিমেন্ট না গ্রহণ করে ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার যেগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সহজেই রাখা যায়: ডিম, মাছ, অ্যালো ভেরা, আমন্ড, সূর্যমূখী ফুল, পেঁপে, হ্যাজেলনাট, সেদ্ধ করা আধকাপ পালং শাক, কিউই, ব্রকলি টম্যাটো ইত্যাদি।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content