শুক্রবার ৪ অক্টোবর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

শরীরে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কিছুতেই কমছে না? তাহলে আসুন জেনে নিই কোন ১০টি ফল খাদ্য তালিকায় রাখলে কোলেস্টেরল থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

কোলেস্টেরল এক ধরনের চর্বি। এই চর্বি বা কোলেস্টেরল জমা হয় আমাদের রক্তনালীতে, যা সাধারণ রক্ত প্রবাহকে বাধা দেয়। ফলস্বরূপ রক্ত ঠিকমতো শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে তথা হার্টে পৌঁছতে পারে না। ফলস্বরূপ হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
কোলেস্টেরলের কিছু প্রকারভেদ আছে। সেগুলি হল— ট্রাইগ্লিসারাইড, এলডিএল, এইচডিএল এবং টোটাল কোলেস্টরল ইত্যাদ। তবে এগুলোর মধ্যে কেবলমাত্র এইচডিএল শরীরের পক্ষে ভালো। বাকি তিনটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

খারাপ কোলেস্টেরল সাধারণত মোমের মতো এক ধরনের আস্তরণ তৈরি করে, গিয়ে রক্তনালীতে জমা হয়। এর ফলে সেই নালীগুলি ক্রমশ সরু হয়ে যায়। পরবর্তীকালে সেই সব নালী দিয়ে রক্ত ঠিকমতো প্রবাহিত হতে পারে না।
উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা সাধারণত আমাদের ব্যস্ত জীবনধারা-সহ একাধিক কারণে হয়ে থাকে। খারাপ কোলেস্টেরল মূলত অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম না করা —ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে।

তবে এই সমস্যার একটি সহজ সমাধানও আছে। এই ১০টি ফল নিয়মিত খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরলের মাত্রা।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫১: বিয়েশাদির ঠাকুরবাড়ি

হেলদি ডায়েট: গাল জুড়ে এক রাশ ব্রণ? সমাধান লুকিয়ে আছে এ সবের মধ্যে, কী ভাবে কাজে লাগাবেন ঘরোয়া টোটকা?

রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-৫: মেরুর দিকে পৃথিবী কিছুটা চাপা, তাই এখানে দুটি কাছাকাছি অঞ্চলের মধ্যেও সূর্যালোকের পার্থক্য অনেকটা

 

কোন কোন ফলাহারে বস মানবে কোলেস্টেরল?

কলা

কলা পটাশিয়াম ও ফাইবারের অন্যতম সেরা উৎস। যে কারণে কোলেস্টেরল কমাতে এবং প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কলা সাহায্য করে। তবে যদি ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকে তবে কলা না খাওয়াই ভালো।
 

আপেল

কথিত আছে ‘প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ডাক্তারের থেকে দূরে থাকা যায়’। কথাটি কিন্তু খাঁটি। আপেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিভিন্ন খনিজ লবণে ভরপুর। তাই হৃদরোগের আশঙ্কা আছে যে সমস্ত ব্যক্তিদের তাঁদের রোজ আপেল খেতে বলা হয়। আপেল কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে ব্লকেজের পরিমাণ কমায়।

আরও পড়ুন:

দশভুজা: তিনিই সারস্বত সাধনার প্রতিরূপা সত্যিকারের দশভুজা

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৬: কানে খোল, তেল দেন?

 

লেবু

লেবু একটি সাইট্রাস সমৃদ্ধ ফল। সমস্ত লেবু ভিটামিন-সি এর ভালো উৎস। এটা যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে খেয়াল রাখতে হবে ভিটামিন-সি দ্রুত কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমিয়ে আনতে পারে। তাই কোলেস্টেরল লেবু জাতীয় ফল খেতে হবে, না হলে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
 

আমলকি

আমলকি ভিটামিন-সি, পেকটিম এবং ভিটামিন-সি এর অন্যতম উৎস। তাই নিয়মিত আমলকি খেলে দ্রুত কমবে খারাপ কোলোস্টেরল।
 

কিউয়ি

আমাদের শরীরে ভালো কোলেস্টেরল অর্থাৎ এইচডিএল-এর মাত্রা বাড়াতে কিউয়ি খুব সাহায্য করে। এই ফলটি ডায়েটে রাখলে হার্ট ভালো থাকবে।

আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২৩: মোর সাধের বাসরে ঘটল ‘গৃহ প্রবেশ’

ডায়াবেটিস থাকবে দূরে, জেনে নিন কোন ফল কতটা পরিমাণে খাবেন, আর কোনটা খেতে হবে সাবধানে, দেখুন ভিডিয়ো

 

আঙুর

আঙুরে ফাইবার প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত। ফাইবার রক্ত থেকে কোলেস্টেরল খুব সহজেই বার করে দেয়। ফলে কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের শরীর ভালো থাকে। তাছাড়াও আঙুর রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
 

স্ট্রেবরি

এখন গোটা শীতকাল জুড়ে স্ট্রবেরি পাওয়া যায়। রোজ দুটো করে স্ট্রবেরি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া ওজন কমাতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও স্ট্রবেরি খুব কাজের।
 

অ্যাভোকাডো

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এটি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। রোজ এই ফলটি খেলে মাত্র কয়েক সপ্তাহেই কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকখানি কমে যায়।

আরও পড়ুন:

খেতে শুরু করলে মুঠো মুঠো কিশমিশ খেয়ে ফেলেন? এতে শরীরের কী ক্ষতি হতে পারে?

অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-৬: যে কোনও ভাবে নিজেকে উৎসর্গ করাই ঈশ্বর লাভের উপায়

 

বেরি

ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, র্যা স্পবেরির মতো যে কোনও বেরিতেই আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বেরিও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। এই সব ফল নিয়মিতে খেলে কমবে হৃদরোগের আশঙ্কা।
 

পেঁপে

পেঁপে থেকে পাওয়া যায় পেকটিন, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। পেঁপের প্রচুর গুণ। প্রধানত পেটের সমস্যা কমাতে পেঁপে ভীষণ উপকারী। তাই প্রতিটি মানুষের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই পেঁপে রাখা উচিত।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content