ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার সমস্যাটি খুবই পরিচিত৷ বহু মানুষ এর শিকার৷ কেউ বুঝতে পারেন, কেউ পারেন না৷ অনেকেরই হয়তো জানা নেই, সাম্প্রতিককালে রক্তাল্পতা রোগের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কারও রক্তে হিমোগ্লোবিন অথবা লাল রক্ত কোষের (Red blood cell) হার কমে গেলে তিনি রক্তাল্পতায় ভুগছেন ধরে নেওয়া হয়৷ এই সমস্যায় পুরুষদের থেকে মহিলারাই বেশি ভোগেন৷ প্রায় ৫৮ শতাংশ মহিলা রক্তাল্পতার শিকার৷ শুধু তাই নয়, অবাক করা তথ্য হল—প্রায় ২৫ শতাংশেরও বেশি শিশুর মধ্যে আজকাল এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে৷ পুরুষদের মধ্যেও সংখ্যাটা নেহাতই কম নয়, প্রায় ৪৮ শতাংশ৷ কিন্তু চিন্তার বিষয় হল—এরকম একটি বড় সমস্যা নিয়ে আমরা এখনও পর্যন্ত ততটা সচেতন হইনি, যতটা প্রয়োজন৷
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা
পুরুষদের ১৩.৫ গ্রাম এবং মহিলা ও শিশুদের ক্ষেত্রে শরীরে যদি ১১ গ্রামের কম হিমোগ্লোবিন মাত্রা থাকে তাহলে চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী তিনি রক্তাল্পতায় ভুগছেন।
সম্ভাব্য কারণ
রক্তাল্পতা রোগের সবচেয়ে বড় কারণ শরীরে আয়রনের অভাব৷ দৈনন্দিনের খাদ্যতালিকায় আমরা যেসব খাবারদাবার রাখি—তাতে আয়রন, ফোলেট, ভিটামিন-বি টুয়েলভ প্রভৃতি প্রয়োজনীয় উপাদানের যে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে তা আমরা বুঝতে পারি না। আবার অনেক সময় ভুল ডায়েটচার্টের জন্যও এই সমস্যা তৈরি হতে পারে৷ ফলস্বরূপ, আয়রনের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে৷ এখনকার ট্রেন্ড হল ছিপছিপে থাকতে বহু মানুষ সারাদিনে একাধিকবার গ্রিন-টি খাচ্ছেন৷ ভাবেন গ্রিন-টি খেলে রোগা হয়ে যাব, ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে৷ কিন্তু তিনি জানেন না, তাঁর আদৌ গ্রিন-টি খাওয়া উচিত কি না৷ আর খেলেও কত কাপ, কতটা পরিমাণে খাওয়া উচিত সেই ধারণা তাঁর নেই৷ থাকার কথাও নয়, কারণ তিনি বিশেষজ্ঞ নন৷ ফলস্বরূপ রোগা বা ওজন নিয়ন্ত্রণের ঝোঁকে অতিরিক্ত পরিমাণ গ্রিন-টি খাওয়ার ফলে যে আয়রন শোষণ (অ্যাবসর্পশন) বাধাপ্রাপ্ত হয়ে শরীরে সমস্যা তৈরি হচ্ছে সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। আবার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ রেড ব্লাড সেল কম তৈরি হওয়ার জন্যও আয়রনের অভাব দেখা দিতে পারে। এছাড়াও একাধিক কারণে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে৷
রক্তাল্পতার উপসর্গ
রক্তাল্পতার প্রধান লক্ষণগুলি দিনভর ক্লান্তি অনুভব করা, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া, চোখের তলায় কালি পড়া৷ এছাড়াও কম হিমোগ্লোবিনের কারণে শরীরের পেশি বিশুদ্ধ অক্সিজেন পরিবহণে অক্ষম হয়৷ আবার অতিরিক্ত চুলপড়াও রক্তাল্পতার লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময়ই রক্তাল্পতার কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। কিন্তু সমস্যা হল, কারও কারও ক্ষেত্রে অল্প বিস্তর লক্ষণ দেখা দিলেও তাঁরা আবার বিষয়টি এড়িয়ে যান৷
পুরুষদের ১৩.৫ গ্রাম এবং মহিলা ও শিশুদের ক্ষেত্রে শরীরে যদি ১১ গ্রামের কম হিমোগ্লোবিন মাত্রা থাকে তাহলে চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী তিনি রক্তাল্পতায় ভুগছেন।
রক্তাল্পতা রোগের সবচেয়ে বড় কারণ শরীরে আয়রনের অভাব৷ দৈনন্দিনের খাদ্যতালিকায় আমরা যেসব খাবারদাবার রাখি—তাতে আয়রন, ফোলেট, ভিটামিন-বি টুয়েলভ প্রভৃতি প্রয়োজনীয় উপাদানের যে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে তা আমরা বুঝতে পারি না। আবার অনেক সময় ভুল ডায়েটচার্টের জন্যও এই সমস্যা তৈরি হতে পারে৷ ফলস্বরূপ, আয়রনের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে৷ এখনকার ট্রেন্ড হল ছিপছিপে থাকতে বহু মানুষ সারাদিনে একাধিকবার গ্রিন-টি খাচ্ছেন৷ ভাবেন গ্রিন-টি খেলে রোগা হয়ে যাব, ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে৷ কিন্তু তিনি জানেন না, তাঁর আদৌ গ্রিন-টি খাওয়া উচিত কি না৷ আর খেলেও কত কাপ, কতটা পরিমাণে খাওয়া উচিত সেই ধারণা তাঁর নেই৷ থাকার কথাও নয়, কারণ তিনি বিশেষজ্ঞ নন৷ ফলস্বরূপ রোগা বা ওজন নিয়ন্ত্রণের ঝোঁকে অতিরিক্ত পরিমাণ গ্রিন-টি খাওয়ার ফলে যে আয়রন শোষণ (অ্যাবসর্পশন) বাধাপ্রাপ্ত হয়ে শরীরে সমস্যা তৈরি হচ্ছে সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। আবার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ রেড ব্লাড সেল কম তৈরি হওয়ার জন্যও আয়রনের অভাব দেখা দিতে পারে। এছাড়াও একাধিক কারণে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে৷
রক্তাল্পতার প্রধান লক্ষণগুলি দিনভর ক্লান্তি অনুভব করা, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া, চোখের তলায় কালি পড়া৷ এছাড়াও কম হিমোগ্লোবিনের কারণে শরীরের পেশি বিশুদ্ধ অক্সিজেন পরিবহণে অক্ষম হয়৷ আবার অতিরিক্ত চুলপড়াও রক্তাল্পতার লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময়ই রক্তাল্পতার কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। কিন্তু সমস্যা হল, কারও কারও ক্ষেত্রে অল্প বিস্তর লক্ষণ দেখা দিলেও তাঁরা আবার বিষয়টি এড়িয়ে যান৷
রক্তাল্পতার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে আপনার দৈনন্দিনের খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। যাঁদের এই শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাঁদের প্রচুর পরিমাণে ফল ও সবজি খেতে হবে। গাঢ় রঙের যেকোনও ফলের পাশাপাশি টক ফলও খাওয়া যেতে পারে৷ সবজির ক্ষেত্রে পালংশাক, ব্রকলি, ফুলকপিতে উৎকৃষ্ট পরিমাণে আয়রন আছে৷ অঙ্কুরিত ছোলা ও ডাল, সোয়াবিন খেলে ভালো৷ ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে কাজু, কিশমিশে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন রয়েছে৷ কুমড়ো ও সূর্যমুখীর বীজেও পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন রয়েছে অনেকের হয়তো জানা নেই৷ এই বীজ খেলে উপকার পাওয়া যাবে৷ এছাড়া প্রাতরাশ হিসাবে ওটস খেলে ভালো৷ কারণ ওটস-এ আয়রন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। আর প্রাণিজ উৎসের মধ্যে, লিভার ও মেটে রাখতে পারেন ডায়েটচার্টে।
সবশেষে একটা কথাই বলব, শুধু খাওয়াদাওয়া নয়, আমাদের রোজকার জীবনযাত্রাও এক্ষেত্রে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ৷ সমস্যা এড়াতে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হবে৷ খাওয়াদাওয়া করতে হবে সময়মতো৷ একবারে অনেকটা না খেয়ে অল্প অল্প পরিমাণে বারে বারে খান৷ পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেতে হবে৷ বেশি রাত জেগে সঠিক সময়ে ঘুমিয়ে পড়ুন৷ আর অবশ্যই নিয়মিত শরীরচর্চা করুন৷ ব্যাস, শুধু এটুকুই মেনে চললেই রক্তাল্পতা এড়ানো সম্ভব৷
যোগাযোগ: ৭৯৮০০৯৬৮১৪