মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

সারাবছর ডায়েট মেনে চলেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কিন্তু গ্রীষ্মকালে, শীতকালের মতো অত মরশুমি সবজি পাওয়া যায় না। তাই অনেকেই এই সময়ে কী খাওয়া উচিত আর কী খাওয়া উচিত নয় তা নিয়ে ধন্দে পড়ে যান। শরীর সচেতনরা আবার ভাবেন গরমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখেও কীভাবে সুস্থ থাকবেন? তবে এত চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই, এই প্রতিবেদনে আমি আপনাদের বিস্তারিত জানাব—গ্রীষ্মকালে নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সুস্থ থাকতে কী কী খাওয়া উচিত, আর কী কী এড়াতে হবে।

খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন

জল

স্বাভাবিকভাবেই গ্রীষ্মকালে আমাদের প্রচুর জলতেষ্টা পায়। সেক্ষেত্রে অনেকে আমরা বুঝেও অস্বাস্থ্যকর পানীয়গুলি বেছে নিই৷ যেমন, আইসক্রিম, সোডা, কোল্ড ড্রিঙ্কস ইত্যাদি। এগুলি খেলে ওজনও বাড়বে, পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গরমের দিনে আমরা জল খাব ঠিকই, কিন্তু সেক্ষেত্রে আমাদের খেতে হবে ডাবের জল, নুন লেবুর শরবত, পুদিনা পাতার জল, দইয়ের ঘোল ইত্যাদি। এর ফলে গ্রীষ্মে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে পারবেন, শরীর ঠান্ডা হবে, পেটের সমস্যা দূর হবে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

সবজি

গ্রীষ্মে এমন অনেক সবজিই বাজারে পাওয়া যায় যাদের নাম শুনলে অনেকেই নাক সিটকান। যেমন, কুমড়ো, পটল, ঝিঙে, চিচিঙ্গে। এই সবজিগুলি নিউট্রিশনে ভরপুর। এগুলি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই সবজিগুলির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন- এ, ভিটামিন-সি, ফাইবার এবং প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। সবজির মধ্যে লাউ ও শসাতে জলের পরিমাণ বেশি থাকে, যা সুস্থ থাকার পাশাপাশি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।

ফল

গ্রীষ্মকালের ফল বলতে প্রথমেই আসে আমের কথা। ডায়াবেটিক রোগী কিংবা যাঁরা ওজন কমানোর কথা ভাবছেন, তাঁরা শুধু পরিমাণের কথা মাথায় রেখে আম খাবেন। বাকি সবাই ইচ্ছামতো আম খেতে পারেন। কারণ, আমে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, ফাইবার, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং জল। এই গরমের দিনে আমের পাশাপাশি তরমুজও খেতে পারেন, এতে ৯০ শতাংশ জল রয়েছে। গ্রীষ্মকালে ফলের মধ্যে আঙুর, আপেল, পেয়ারা, পাকা পেঁপে খান।

টক দই

ছোট থেকে বড় সকলকেই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় টক দইকে যোগ করতে হবে। টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়া আমাদের পেটের সমস্যা, হজম সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে।

এড়িয়ে চলুন

চা ও কফি

চা বা কফি শরীরের অতিরিক্ত জল বের করে দিয়ে ডি-হাইড্রেট করতে পারে, তাই যাঁদের চা বা কফি খাওয়ার নেশা রয়েছে তাঁরা গ্রীষ্মকালে অবশ্যই পরিমাণের উপর নজর রাখবেন।

অতিরিক্ত মশলাদার খাবার

যে সমস্ত খাবার শরীর অতিরিক্ত গরম করে, হজমে সমস্যা হয়, যেমন অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, মেথি, দারচিনির মতো মশলা এড়িয়ে চলুন। বরং গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে মৌরি, পুদিনাপাতা খেতে পারেন।

ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

যোগাযোগ: ৯০৩৮০ ০৮০৮২


Skip to content