রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


ছবি প্রতীকী

এই গরমে ভরসা রাখুন মরসুমি ফল ও সবজির ওপর। যে সমস্ত সবজিতে জলের পরিমাণ বেশি থাকে সেই ধরনের সবজি এবং ফল অপরিহার্য। খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে হালকা কম মশলা যুক্ত খাবার। যেমন আম দিয়ে ডাল, পাতলা ঝিঙে, সজনেডাঁটা, পটল দিয়ে পাতলা মাছের ঝোল, আম বা তেতুলের টক প্রভৃতি। সকালে ঘুম থেকে উঠে মৌরি ভেজানো জল, কাঁচা হলুদ খুবই উপকারী। শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। সকালের খাবারে রাখতে পারেন চিঁড়ে দই কলা বা আম ওটস দুধ কলা ব্রেড বা কনফ্লেক্স-এর সঙ্গে রাখতে পারেন যেকোনও একটা মরসুমি ফল।
দিনের মধ্যভাগে ডাবের জল, জুস, লস্যি, তরমুজের শরবত ইত্যাদি খেলে ভালো। বাইরে থেকে এলে বাচ্চাদের বা বড়দেরও এসব দিতে পারেন। এছাড়া পুদিনার শরবত, হালকা খিদেতে ছাতুর শরবতও এসময় চলতে পারে। সন্ধেবেলা মুড়ি মাখা, সুজির উপমা, শসা পেঁয়াজ কাঁচা ছোলা সেদ্ধ টক-ঝাল দিয়ে আলু কাবলি পাতে রাখুন। ফ্রুট সালাড, ফ্রুট কাস্টার্ড স্মুদি, তুলসীর বীজ জুসে বা শরবতে দিতে পারেন। এগুলি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। ১৫ মিনিট জলে ভিজলে তা ফুলে ওঠে। অ্যালোভেরার জুসও শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটি পাতিলেবু ও মরসুমি ফল অবশ্যই রাখুন। মশলার মধ্যে ধনে, জিরে, বিটনুন ভাজা মশলা উপকারী।
 কী খাবেন না?

মনে রাখতে হবে, শরীরের তাপমাত্রা এই গরমে একদমই বাড়তে দেওয়া চলবে না। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, রেড মিট, লুচি, পরোটা, ফাস্টফুড থেকে দূরে থাকুন। অতিরিক্ত চা-কফি, সফট ড্রিঙ্ক খাওয়া উচিত নয়। সফট ড্রিঙ্ক শরীরে জলের ঘাটতি বাড়ায় এবং ডিহাইড্রেশন করে। শরীরচর্চা শুরুর ১৫ মিনিট আগে বা পরে প্রচুর জল খেতে হবে। বেলা ১১টা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত খুব প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে বেরোবেন না৷ একান্তই বেরোতে হলে নুন-চিনির জল বা গ্লুকোজ ওয়াটার সঙ্গে রাখুন।

যোগাযোগ: ৯৮৩১৭১০২০৩


Skip to content