ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
বসন্তকালে দ্রুত ভাইরাসঘটিত রোগ ছড়িয়ে পড়ে। বসন্ত রোগ হোক বা সর্দি-কাশি, শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক রাখতে সজনের কোনও বিকল্প নেই। সজনে ফুল, ডাঁটা, এমনকী সজনে পাতাও আগেকার দিনে মানুষ খেত। ইতিহাস বলছে, সজনের কোনও অংশই ফেলা যায় না। আগেকার দিনে সজনে গাছের শিকড়ও মশলার মতো তৈরি করে খাওয়া হত। যদিও বর্তমানে শুধু সজনে ফুল আর ডাঁটা খাওয়ারই চল আছে। সজনে ডাঁটাকে ইয়ার্ড স্টিক বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রোগের ন্যাচারাল ওষুধ তৈরিতেও কার্যকরী এই সজনে ডাঁটা। বসন্তে সুস্থ থাকার জন্য সজনে আর কী কীভাবে সাহায্য করে, আসুন জেনে নিই।
ডায়াবেটিকদের জন্য সজনে খুবই উপকারী
● সজনের সমস্ত অংশেই প্রচুর পরিমাণ ভিটামিনস আর মিনারেলস আছে। এছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, আয়রন, ফাইবার। সজনেতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে। যার কারণে সজনের যে কোনও অংশই ডায়াবেটিকদের জন্য খুব কার্যকরী হয়।
অ্যানিমিয়ার সমস্যা থাকলে তা উপশম করতে সক্ষম
● সজনের সব অংশেই রয়েছে আয়রন। যা মানুষকে অ্যানিয়িমার সমস্যা থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকায় শরীরে রক্তের পরিমাণও বজায় থাকে।
সজনে ডাঁটার বীজ থেকে প্রাপ্ত তেল হার্টের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী
● একজন পুষ্টিবিদ হিসেবে বলতে পারি—সজনে ডাঁটার বীজ থেকেও অনেকে তেল বের করে থাকে। সেই তেল হার্টের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী হয়। সজনে ডাঁটার বীজ থেকে প্রাপ্ত তেলে থাকে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। আর এটি হার্টের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী।
শরীর সুস্থ রাখতে ফুলের পাশাপাশি খান সজনে পাতাও
● সজনে পাতা বা সজনে শাকের মধ্যে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, এমনকী প্রোটিনও কিছুটা থাকে। যা শরীরের পক্ষে বেশ উপকারী।
কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে চিবিয়ে খান সজনে ডাঁটা
● সজনে ডাঁটায় প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। যা কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই এই ধরনের সমস্যা থাকলে সজনে ডাঁটা চিবিয়ে খেলে উপকার হবে।
এছাড়াও, সজনে ডাঁটা দিয়ে শুক্তো রান্না করা যেতে পারে। এতে পেটও ঠান্ডা থাকবে আর স্বাস্থ্যের পক্ষেও এটা উপকারী হবে। অনেকরকম মরশুমি সবজি, যেমন আলু, ঝিঙে, পটল, গাজর, কাঁচকলা, উচ্ছে দিয়ে শুক্তো রান্না করা হয়। তার সঙ্গে সজনে ডাঁটা যোগ হলে খাবারের গুণ ও স্বাদ—দুই-ই বেড়ে যাবে। তবে, খেয়াল রাখতে যে রান্নাটা যেন সঠিক পদ্ধতিতে করা হয়। কোনও সবজিই বেশি ভাজলে চলবে না বা বেশি মশলা দিয়ে রান্না করলেও হবে না। একেবারে কম আঁচে, কম মশলা দিয়ে ছিমছাম সুস্বাস্থ্যকর রান্না করতে হবে। তবেই সারাবছর একটা সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবন কাটানো সম্ভব।
যোগাযোগ: ৯৪৩৩০৮৯৫৫২
এছাড়াও, সজনে ডাঁটা দিয়ে শুক্তো রান্না করা যেতে পারে। এতে পেটও ঠান্ডা থাকবে আর স্বাস্থ্যের পক্ষেও এটা উপকারী হবে। অনেকরকম মরশুমি সবজি, যেমন আলু, ঝিঙে, পটল, গাজর, কাঁচকলা, উচ্ছে দিয়ে শুক্তো রান্না করা হয়। তার সঙ্গে সজনে ডাঁটা যোগ হলে খাবারের গুণ ও স্বাদ—দুই-ই বেড়ে যাবে। তবে, খেয়াল রাখতে যে রান্নাটা যেন সঠিক পদ্ধতিতে করা হয়। কোনও সবজিই বেশি ভাজলে চলবে না বা বেশি মশলা দিয়ে রান্না করলেও হবে না। একেবারে কম আঁচে, কম মশলা দিয়ে ছিমছাম সুস্বাস্থ্যকর রান্না করতে হবে। তবেই সারাবছর একটা সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবন কাটানো সম্ভব।
যোগাযোগ: ৯৪৩৩০৮৯৫৫২