ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
চিরকালই মা-জেঠিমাদের দেখে এসেছেন খেতে বসে হেঁশেলে কম পড়েছে ভাত, চিন্তা নেই, তরকারি দিয়ে খানিকটা মুড়ি মেখে খেয়ে নিলেই জব্দ ক্ষুধার দৌরাত্ম্য। আবার জমাটি আড্ডার আসরেও রকমারি সাজে মুড়ির তুলনায় সব খাবারই ফেল, তা সে চপ মুড়ি হোক, মুড়ি শিঙাড়াই হোক বা আমতেল দিয়ে মেখে চানাচুর, কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ সহযোগে মুড়িই হোক। মোদ্দা কথা হল সময়ে— অসময়ে, দারিদ্র্যে-বৈভবে, বিপদে-আনন্দে সবেতেই বাঙালির জীবনের খাদ্যতালিকায় মুড়ি যেন পরম আত্মীয়ের জায়গা জুড়ে আছে সেই কবে থেকেই। তবে এত প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে যার সাহায্য নিয়ে থাকেন জানেন কি সেই অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যটি আপনার শরীরে ঠিক কীরকম প্রভাব ফেলছে? জেনে নিন মুড়ির কিছু অজানা উপকারিতার কথা, পাশাপাশি কাদের বেশি মুড়ি খাওয়া এড়ানো উচিত এবং কেন উচিত সেকথাও জানতে হবে বইকি!
গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষদের দৈহিক শক্তি আমাদের শহুরে বিলাসী মানুষদের থেকে দ্বিগুণ বেশি। এর কারণ জানেন কি? কারণ তাঁদের খাদ্যতালিকার একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে মুড়ি। মুড়িতে থাকে ক্যালশিয়াম ও আয়রন যা আপনার হাড়ের গঠনকে মজবুত করতে সাহায্য করে, তাই সাধারণত মুড়ি খাওয়ার অভ্যাস করলে হাড়ের গঠন মজবুত হয় ও শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মুড়ি চিবিয়ে খেতে হয় যার ফলে দাঁত ও মাড়ির ব্যায়াম হয়। পাশাপাশি এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ফাইবার থাকার কারণে দাঁত ও মাড়িকে যেমন সুস্থ রাখে, তেমনই শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট থাকার কারণে দৈনন্দিন কাজেও প্রয়োজনীয় শারীরিক শক্তির জোগান দেয়।
অ্যাসিডিটির সমস্যায় জেরবার হয়ে যাচ্ছেন? কোনও অ্যান্টাসিড কাজ করছে না? অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে মুড়ি কিন্তু হয়ে উঠতে পারে অনবদ্য ওষুধ। মুড়ি অ্যাসিড ক্ষরণ করার ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করে। আরও ভালো ফল পাবেন যদি মুড়ি জলে ভিজিয়ে খেতে পারেন। তবে হজমের সমস্যা থাকলে তেলেভাজা বা চানাচুরের সঙ্গে মুড়ি খেলে কিন্তু কোনও লাভ হবে না বরং হিতে বিপরীত হতে পারে। মুড়ি খাওয়ার চেষ্টা করুন ভেজানো ছোলা বা মটর দিয়ে, সঙ্গে দু-এক টুকরো শসাও খেতে পারেন। এভাবে মুড়ি সকালে খালি পেটেও অনায়াসে খাওয়া যায়। এতে আপনার হজমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধান হতে পারে সহজেই।
মুড়িতে থাকে ভিটামিন-বি ও পর্যাপ্ত মিনারেল যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়ে তেমনই মুড়িতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকায় উচ্চ-রক্তচাপের রোগীদের জন্য মুড়ি অত্যন্ত উপকারী খাবার।
মুড়ি খেলে ওজন কমে এমন ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেকেই সকালে বা বিকেলের জলখাবারে মুড়ি খেয়ে থাকেন। জানা থাকলে ভালো, মুড়ি হল মূলত স্টেপল ফুড। মুড়ি তৈরি হয় চাল থেকে এবং এতে ভালো পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালোরি থাকে। পঞ্চাশ গ্রাম মুড়ির ক্যালোরি তিরিশ গ্রাম কাঁচা চালের ক্যালোরির সমান। সুতরাং মুড়ি যেহেতু হজম হয় তাড়াতাড়ি সেহেতু মুড়ি হালকা খাবার হলেও ওজন কমানো যদি উদ্দেশ্য থাকে তবে এটি খাওয়া উচিত ভাত বা রুটির পরিবর্তে।
মুড়ির উপকারিতা তো রয়েছে প্রচুর কিন্তু জানেন কি কোন কোন ক্ষেত্রে মুড়ি আপনার জন্য হতে পারে ক্ষতিকারক? আমরা যে মুড়ি খাই তা কখনও কখনও ইউরিয়া দিয়ে ফোলানো। চাল ভেজে যে মুড়ি তৈরি হতো গ্রামাঞ্চলে তা এখন আর আমরা শহরাঞ্চলে পাই না। খেয়াল রাখতে হবে ইউরিয়া শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ায়, যার ফলে গাঁটে গাঁটে বাতের ব্যথা থেকে আরম্ভ করে ইউরিক অ্যাসিড সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা তৈরি হতে পারে। সুতরাং আপনার যদি ইউরিক অ্যাসিড শরীরে বেশি থেকে থাকে তাহলে মুড়ি কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
যোগাযোগ: ৯০৫১৩৪২৬৬০
গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষদের দৈহিক শক্তি আমাদের শহুরে বিলাসী মানুষদের থেকে দ্বিগুণ বেশি। এর কারণ জানেন কি? কারণ তাঁদের খাদ্যতালিকার একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে মুড়ি। মুড়িতে থাকে ক্যালশিয়াম ও আয়রন যা আপনার হাড়ের গঠনকে মজবুত করতে সাহায্য করে, তাই সাধারণত মুড়ি খাওয়ার অভ্যাস করলে হাড়ের গঠন মজবুত হয় ও শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মুড়ি চিবিয়ে খেতে হয় যার ফলে দাঁত ও মাড়ির ব্যায়াম হয়। পাশাপাশি এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ফাইবার থাকার কারণে দাঁত ও মাড়িকে যেমন সুস্থ রাখে, তেমনই শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট থাকার কারণে দৈনন্দিন কাজেও প্রয়োজনীয় শারীরিক শক্তির জোগান দেয়।
অ্যাসিডিটির সমস্যায় জেরবার হয়ে যাচ্ছেন? কোনও অ্যান্টাসিড কাজ করছে না? অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে মুড়ি কিন্তু হয়ে উঠতে পারে অনবদ্য ওষুধ। মুড়ি অ্যাসিড ক্ষরণ করার ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করে। আরও ভালো ফল পাবেন যদি মুড়ি জলে ভিজিয়ে খেতে পারেন। তবে হজমের সমস্যা থাকলে তেলেভাজা বা চানাচুরের সঙ্গে মুড়ি খেলে কিন্তু কোনও লাভ হবে না বরং হিতে বিপরীত হতে পারে। মুড়ি খাওয়ার চেষ্টা করুন ভেজানো ছোলা বা মটর দিয়ে, সঙ্গে দু-এক টুকরো শসাও খেতে পারেন। এভাবে মুড়ি সকালে খালি পেটেও অনায়াসে খাওয়া যায়। এতে আপনার হজমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধান হতে পারে সহজেই।
মুড়িতে থাকে ভিটামিন-বি ও পর্যাপ্ত মিনারেল যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়ে তেমনই মুড়িতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকায় উচ্চ-রক্তচাপের রোগীদের জন্য মুড়ি অত্যন্ত উপকারী খাবার।
মুড়ি খেলে ওজন কমে এমন ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেকেই সকালে বা বিকেলের জলখাবারে মুড়ি খেয়ে থাকেন। জানা থাকলে ভালো, মুড়ি হল মূলত স্টেপল ফুড। মুড়ি তৈরি হয় চাল থেকে এবং এতে ভালো পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালোরি থাকে। পঞ্চাশ গ্রাম মুড়ির ক্যালোরি তিরিশ গ্রাম কাঁচা চালের ক্যালোরির সমান। সুতরাং মুড়ি যেহেতু হজম হয় তাড়াতাড়ি সেহেতু মুড়ি হালকা খাবার হলেও ওজন কমানো যদি উদ্দেশ্য থাকে তবে এটি খাওয়া উচিত ভাত বা রুটির পরিবর্তে।
মুড়ির উপকারিতা তো রয়েছে প্রচুর কিন্তু জানেন কি কোন কোন ক্ষেত্রে মুড়ি আপনার জন্য হতে পারে ক্ষতিকারক? আমরা যে মুড়ি খাই তা কখনও কখনও ইউরিয়া দিয়ে ফোলানো। চাল ভেজে যে মুড়ি তৈরি হতো গ্রামাঞ্চলে তা এখন আর আমরা শহরাঞ্চলে পাই না। খেয়াল রাখতে হবে ইউরিয়া শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ায়, যার ফলে গাঁটে গাঁটে বাতের ব্যথা থেকে আরম্ভ করে ইউরিক অ্যাসিড সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা তৈরি হতে পারে। সুতরাং আপনার যদি ইউরিক অ্যাসিড শরীরে বেশি থেকে থাকে তাহলে মুড়ি কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
যোগাযোগ: ৯০৫১৩৪২৬৬০