শুক্রবার ৫ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

বয়স হলে চুলে পাক ধরবেই, এটাই স্বাভাবিক। তবে আজকাল খুব কম বয়সেও অনেকের চুল পেকে যাচ্ছে। গবেষণা বলছে, ৩০ বছরের পর থেকেই দ্রুত হারে হারে চুল পাকতে শুরু করে। যা প্রায় প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। কম বয়সে চুল পেকে যাওয়ার প্রধান কারণগুলি হল—মানসিক চাপ, অপুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও দূষণ। তবে জিনগত কারণেও চুল পেকে যেতে পারে।

সাদা চুল কালো করতে অনেক সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক রঙের সাহায্য নিয়ে থাকি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু উপর থেকে রং করলেই বা বিভিন্ন ধরনের প্যাক মাখলেই হবে না, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার রাখতে হবে যা ভেতর থেকে পুষ্টি জোগাবে ত্বকে মেলানিন তৈরি করতে সাহায্য করবে। ফলে চুল তাড়াতাড়ি পেকে যাওয়াকে বাধা দেবে।
 

চুল পাকা আটকাতে কী কী করবেন?

 

কারিপাতা

কারি পাতার প্রচুর গুণ। এই পাতা শরীর থেকে সহজে টক্সিন বার করতে সাহায্য করে। টক্সিন বার হয়ে গেল রক্ত অনেক বেশি পরিষ্কার থাকে, আর চুল পাকার সমস্যা থেকে অনেকখানি রেহাই পাওয়া যায়। কারিপাতা কাঁচা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে, আবার রান্নাতেও ব্যবহার করা যায়। বহু জায়গায় কারি পাতা খাওয়ার প্রচলন আছে, এর জন্য এই সমস্ত অঞ্চলে ব্যক্তিদের চুল পেকে যাওয়ার হার কম।
 

আমলকী

ভিটামিন-সি এর সবচেয়ে ভালো উৎস আমলকী। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা শুধু চুল কালো করা নয়, নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আমলকীর রস বা ভাতের সঙ্গে সিদ্ধ করে খেলে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়। তবে এতে ভিটামিন-সি প্রচুর পরিমাণে থাকার কারণে যাঁদের আসিডের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন:

হেলদি ডায়েট: এই ৮ খাবার নিয়মিত পাতে রাখলে শিশুর বুদ্ধির বিকাশ হবে দ্রুত

পর্দার আড়ালে, পর্ব-৪০: একসঙ্গে বহু ছবিতে অভিনয় করা সত্ত্বেও প্রদীপ কুমার সে দিন চিনতেই পারলেন না উত্তম কুমারকে!

 

গাজরের জুস

গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, কে এবং বি৬, পটাশিয়াম, বিটা ক্যারোটিন, যা চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে বেশ কার্যকর। প্রতিদিন অর্ধেক গ্লাস পরিমাণ গাজরের জুস খেলে অকালে চুল পাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
 

সামুদ্রিক মাছ

সামুদ্রিক মাছে যেমন প্রচুর প্রোটিন আছে, তেমনি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই শরীরে প্রোটিনের অভাবে চুল পাকতে শুরু করে। তাই সামুদ্রিক মাছে থাকা প্রোটিন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
 

বাদাম

বাদামে আছে প্রচুর ভিটামিন-ই, যা চুলের যে কোন রকম সমস্যায় ভীষণ উপকারী। তাই স্বাস্থ্যকর চুল পেতে নিয়মিত বাদাম খেতে হবে‌।

আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৫: টনিক খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো?

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪৬: বহু জনমের মায়া, ধরিল যে কায়া, ওগো ‘শিল্পী’ সে তো শুধু তোমারই ছায়া

 

লিকার চা

কালো চা ত্বকে মেলানিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অনেকেই শ্যাম্পু করার পরে চায়ের লিকার দিয়ে চুল ধুয়ে থাকেন। এটি চুলে যেমন সুরক্ষিত রাখে, তেমনি চুলকে কালো করে ও চকচকে ভাব বজায় রাখে।
 

নারকেল তেল

নারকেল তেল চুল কালো করার উপাদানগুলির মধ্যে অন্যতম। প্রতিদিন নারকেল তেল বা নারকেলের দুধ খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে। রাতে ঘুমানোর সময় নারকেল তেল মাথায় মাসাজ করলে চুলপাকা সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।
 

আদা ও মধু

প্রতিদিন এক চামচ আদার রসে, অর্ধেক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে চুল পাকার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।

আরও পড়ুন:

কলকাতার পথ-হেঁশেল: অফিসপাড়ার ক্যান্টিন ডেকার্স লেনে কোলাহল

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-১২: আমাকে আমার মতো থাকতে দাও

 

পেঁয়াজ বাটা

পেঁয়াজ চুলের জন্য একটি খুবই উপকারী উপাদান। চুল পেকে যাওয়া কমাতে প্রতিদিন পেঁয়াজ বাটা চুলের গোড়ায় মাখলে উপকার পাওয়া যায়।
 

মেহেদি

প্রাচীনকাল থেকেই মেহেন্দি প্রাকৃতিক রং হিসেবে চুলে ব্যবহার করা হয়। মেহেন্দি পাতা বাটা প্রতি ১৫ দিন অন্তর চুলে লাগালে অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা অনেকটা কমবে।
 

কালো তিল

কালো তিল চুল পেকে যাওয়া কমাতে খুবই উপকারী একটি উপাদান। এক চামচ কালো তিল ভেজানো জল প্রতিদিন খেলে চুল পাকা যেমন কমবে, তেমনি চুল কালো হবে।
 

ছোলা

ছোলায় আছে বি১২ এবং ফলিক অ্যাসিড। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ছোলা খেলে স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকবে, তেমনি চুল হবে কালো।

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content