শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

ভিটামিন-ডি আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন-ডি এর প্রধান কাজ হল হাড় এবং দাঁতের গঠনে সাহায্য করা। সাধারণত ভিটামিন-ডি ক্যালশিয়াম ও ফসফরাসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখে। হাড়ের ব্যথা যেমন গাঁটের ব্যথা, কোমরের ব্যথা, পেশি যন্ত্রণা ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে ভিটামিন-ডি এর গুরুত্ব অপরিসীম। এর অভাবে প্রধানত যে রোগগুলি হয় তা হল, রিকেট, অস্টিওপোরোসিস, অস্টিওমালেশিয়া, আর্থারাইটিস ইত্যাদি।
ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণে সবচেয়ে সহজ আর দ্রুত কাজ করে সূর্যস্নান। নিয়মিত বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে ১৫ মিনিট সূর্যস্নান করা গেলে শরীরের ৭০ ভাগ ভিটামিন ডি-র চাহিদাই পূরণ হয়ে যায়।
দুধ

দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ডি রয়েছে। খাবারের ছয়টি উপাদানের পাশাপাশি দুধে রয়েছে ক্যালশিয়াম, যা হাড় ও দাঁতের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
আরও পড়ুন:

হেলদি ডায়েট: ফাইবারেই জব্দ কোষ্ঠকাঠিন্য, ওষুধ ছাড়াই সুস্থ থাকুন এ ভাবে

পর্দার আড়ালে, পর্ব-৪৪: বাংলায় জীবনীমূলক ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে কালীপ্রসাদ ঘোষ এক স্মরণীয় নাম

দই

সহজে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণে ডায়েটে রাখতে পারেন দইও। পেটের সুরক্ষায় আর গরম থেকে স্বস্তি পেতে বাচ্চা থেকে বয়স্কনিয়মিত দই খেতে পারেন।
ডিম

ভিটামিন-ডি এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো ডিম। ডিমের সাদা অংশের তুলনায় কুসুমে ভিটামিন-ডি বেশি পরিমাণে রয়েছে।
চিজ

ভিটামিন-ডি এর আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল চিজ। নিরামিষ খাবারের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর অন্যতম উৎস চিজ। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণের সবচেয়ে সহজ এবং সুস্বাদু উপায় হল বেশি করে চিজ খাওয়া। রিকোটা চিজে যে কোনও ধরনের চিজের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর সর্বাধিক ঘনত্ব রয়েছে।
আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৫: কানে তালায় কানের ড্রপ?

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-১৯: ইষ্টদেবী জগদ্ধাত্রী

সয়া মিল্ক

গরুর দুধে অনেকেরই এলার্জিথাকায় বর্তমানে সোয়া মিল্ককে অনেকেই পছন্দ করেন। প্রোটিন একই থাকলেও সয়া মিল্ক উচ্চমাত্রায় ভিটামিন-ডি, ভিটামিন সি এবং আয়রন সমৃদ্ধ।
মাশরুম

এমনিতে মাশরুমে ভিটামিন-ডি অত থাকে না। কিন্তু অতি বেগুনি রশ্মিতে রাখলে মাশরুম ভিটামিন-ডি তৈরি করে। এটি একমাত্র অপ্রাণিজ খাদ্য যেখান থেকে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন-ডি মেলে। ভিটামিন-ডি সরবরাহ করে মাশরুম, যা শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে।
কমলালেবু

ভিটামিন-ডি এর জন্য প্রতিদিন একটি কমলালেবু খেতে পারেন। এতে একই সঙ্গে ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন-সি পাওয়া যায়।
মাছের তেল

মাছের তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ডি, ওমেগা থ্রি এবং ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণ করার সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ রাখে আপনার হার্টকেও।
আরও পড়ুন:

কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-১৩: উইলসন-এ-কথা

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব-৪৮: অভীষ্ট লাভ নাকি আত্মবিনাশ — লঙ্কাধিপতি কোনটি বেছে নিলেন?

স্যালমন মাছ

ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করতে চাইলে আপনার ডায়েটে রাখুন স্যালমন মাছ। এই মাছ খুবই পুষ্টিকর কারণ এতে প্রোটিন এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২
* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content