রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

আমরা প্রত্যেকেই চাই আমাদের সন্তান যেন তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন ও মেধাবী হয়। আর ঠিক সেই কারণেই শিশুর রোজদিনের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধি পরিণত হলেও পাঁচ বছর বয়সের মধ্যেই শিশুর মস্তিষ্কের সার্বিক গঠন ও বিকাশ সম্পন্ন হয়ে যায়। তাই প্রথম পাঁচ বছর শিশুর খাদ্যের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

এখন বাচ্চাদের পছন্দের খাবার হল চিপ্‌স, আইসক্রিম, পিৎজা, বার্গার। সকাল থেকে রাত অবধি পাতে এই সব খাবার থাকলেই খুদেরা খুশি হয়। এতে খুদেরা যতই খুশি হোক না কেন, তাদের শরীর-স্বাস্থ্য বেশি দিন খুশি থাকবে না। পুষ্টি ও বুদ্ধিমত্তার বিকাশে শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াতে হবে। এমন কিছু খাবার খাওয়াতে হবে যেগুলি শিশুর বুদ্ধির বিকাশে সাহায্য করে। রইল তেমন কিছু খাবারের তালিকা।
 

শিশুর পাতে কী কী রাখবেন?

 

মাছ

শিশুদের বুদ্ধি বিকাশের জন্য ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড খুব গুরুত্বপূর্ণ। যা আমরা খুব সহজে মাছ থেকে পেয়ে থাকি। তাই খুদের রোজদিনের পাতে থাকুক মাছের নানা পদ।
 

ডিম

ডিমকে সুষম খাদ্য বলা হয়। ডিমে থাকে কোলিন, যা মস্তিষ্কে স্বাস্থ্য ভালো রাখে। পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। তাছাড়া ডিমে আছে প্রচুর প্রোটিন।

আরও পড়ুন:

হেলদি ডায়েট: গাজর খাবেন কেন? রোগ প্রতিরোধ ছাড়াও আর কী ভূমিকা রয়েছে এই সব্জির?

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-8: চলতি কা নাম কিশোর

 

দানাশস্য

মস্তিষ্কের স্নায়ু ভালো রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন-বি। ফাইবার ছাড়াও দানাশস্যে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন-বি মজুত রয়েছে। জোয়ার, বাজরা, রাগি, ভুট্টা, গম, যব ইত্যাদির বীজ গুঁড়ো করে তা দিয়ে বানানো ছাতু বাচ্চাদের খাদ্য তালিকায় রাখা যায়।
 

ওটস

পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ওটস খুবই ভালো। তাছাড়াও কে আছে জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ভিটামিন-ই এবং বি, যা মস্তিষ্কের বিকাশের সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:

কলকাতার পথ-হেঁশেল: উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া— প্রাণের আশ-প্যান্থেরাস

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৮: নহবতে সহধর্মিণী সারদা

 

বেরি

বেরি জাতীয় ফল মস্তিষ্কের কোষগুলিকে স্ট্রেস থেকে দূরে রাখে। সেই সঙ্গে প্রদাহ জনিত সমস্যা সহজেই দূর করে। ব্লু বেরি, স্ট্রবেরি ইত্যাদিতে যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে, তেমনি থাকে ফ্ল্যাভোনয়েড, যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
 

পালং শাক

শিশুর বৃদ্ধি বিকাশের সহায়ক ভিটামিন-কে, লুটেইন, ফোলেট এবং বিটা-ক্যারোটিনে সমৃদ্ধ পালং শাক। পালং শাকের সুপ, ডাল, স্যালাড, স্মুদি ইত্যাদি বাচ্চাদের খাওয়ানো যেতে পারে।

আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১০: সুন্দরবনের রক্ষয়িত্রী বনবিবি

প্রথম আলো, পর্ব-২: পৃথিবীর কোথায় প্রথম হাসপাতাল গড়ে উঠেছিল?

 

রঙিন সব্জি

কুমড়ো, গাজর, রাঙ্গালু, টমেটো, লাল ও হলুদ, ক্যাপসিকাম এগুলো সবই রঙিন সব্জির উদাহরণ। এতে থাকা ক্যারোটিনয়েড, মস্তিষ্কের, স্নায়ু ভালো রাখে। তাছাড়াও ক্যারোটিনয়েড চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। প্রতিটি রঙিন সবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা মস্তিষ্কের কোষ বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষভাবে সাহায্য করে।
 

ডার্ক চকোলেট

গবেষণায় প্রমাণিত, ডার্ক চকোলেট খেলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এই বিশেষ ধরনের চকোলেটে থাকা ফ্লাভনয়েড, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ বাড়ন্ত বয়সের বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে বিশেষ ভাবে সহায়ক।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content