সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


ছবি প্রতীকী। সংগৃহীত।

পুরুষ হোক বা মহিলা, চুল সবারই প্রিয়। সহজ ও ঘরোয়া উপায়ে চুল লম্বা ও ঘন করতে কে না চায়। যদিও চুলের বৃদ্ধির হার সবার সমান নয়। এক এক জনের এক এক রকমের। আবার শরীর ও চুলের পুষ্টির ধরনও আলাদা হয়। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো আমাদের শরীরের পাশাপাশি চুলের পুষ্টিও পূরণ করতে পারবে। এতে যেমন চুলের বৃদ্ধির হার বাড়তে, তেমনি শরীরও তাজা থাকবে।
 

ডিম

ডিম আমাদের শরীরের পুষ্টির জন্য খুবই দরকারী একটি খাবার। ডিম সহজলভ্য, কম দাম, আবার পুষ্টিতেও ভরপুর। এর পুষ্টি দু’ ভাবে কাজ করে। ডিম খাওয়ার পাশাপাশি চুলে বা চুলের গোড়ায় মাখলে পুষ্টি পাওয়া যায়। ডিমে অ্যামাইনো অ্যাসিড উপস্থিত থাকায় এর প্রোটিনকে প্রথম শ্রেণির প্রোটিন হিসেবে গণ্য করা হয়। রোজ ডিম খেলে চুলের গোড়া মজবুত হয়। চুল বাড়ে দ্রুত।
 

মুরগির মাংস

মুরগির মাংসও চুলের বৃদ্ধির হারকে বাড়ায়। এতে এমন কিছু দরকারি উপাদান উপস্থিত থাকে, যা আমাদের মাংসপেশীর গঠনে সাহায্য তো করেই, পাশাপাশি চুলের গোড়ার স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।

আরও পড়ুন:

হেলদি ডায়েট: বর্ষায় বাড়ে কনজাংটিভাইটিসের ঝুঁকি, সংক্রমণ রুখতে কী কী খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি?

দশভুজা: রোজ একশোরও বেশি বাচ্চা তাদের দাদির হাতের রান্না খেয়ে যায়

 

সামুদ্রিক মাছ

সামুদ্রিক মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়। ভিটামিন-ডি চুলকে করে তোলে শক্তপক্ত ও মজবুত। প্রায় সব সামুদ্রিক মাছেই রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
 

বাদাম

চিনা বাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট, আমন্ড ইত্যাদি বেশ কিছু বাদাম আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ, যেমন ত্বক, চুল, মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড প্রভৃতির জন্য ভীষণ উপকারী। প্রতিদিন হালকা খাবারের মধ্যে বাদামকে খাদ্য তালিকায় রাখা যেতেই পারে। তবে রোজ চার-পাঁচটা করে বাদাম ভিজিয়ে খেলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন:

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৯: যে তোরে পাগল বলে তারে তুই বলিস নে কিছু

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩০: প্রচুর প্রোটিন, তাই যতখুশি ডাল খান?

 

গাজর

ভিটামিন-এ এর খুব ভালো উৎস হল গাজর। ভিটামিন-এ চুলের বৃদ্ধিতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। গাজরে উপস্থিত এই ভিটামিন ত্বকের সিবাম নিঃসরণে সাহায্য করে, যা চুলের গোড়ার স্বাস্থ্য খুব ভালো রাখে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় গাজর রাখতে পারলে ভালো।
 

মটরশুঁটি

কেরাটিন এই এখন নামটি প্রায় সবারই জানা। চুলের সঙ্গে এই কেরাটিনের একটা বড় সম্পর্ক রয়েছে। কেরাটিন হল এক ধরনের প্রোটিন, যা সাধারণত বিভিন্ন রকমের ডাল এবং মটরশুঁটি থেকে পাওয়া যায়। খাদ্য তালিকায় নিয়মিত মটরশুঁটি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুলকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল ও সুন্দর রাখে।
 

পালংশাক

পালংশাক বিভিন্ন খনিজ লবণ যেমন পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি খুব ভালো উৎস। পালংশাক রান্না করে খাওয়া যায়। আবার সেদ্ধ করে সেই জল খেলেও চুলের জন্য খুবই উপকারী।
 

ওটস

ওটসে আছে জিঙ্ক, কপার, ভিটামিন-বি এবং প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন। তাই চুলের বৃদ্ধিতে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা ওটস রাখতে পারেন।

আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪: শুভ পরিণয়বেলা

বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-৩০: কারণে-অকারণে পুরুষত্বের কাঠামো পরিবর্তন

 

অ্যালো ভেরা

অ্যালো ভেরাতে নির্দিষ্ট কোনও পুষ্টিকর উপাদান থাকে না। তবে আমাদের শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে অ্যালো ভেরার রস ভীষণ সাহায্য করে। তাই সপ্তাহে অন্তত দু’দিন অ্যালো ভেরার রস খেলে তা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
 

মেথি

চুলের জন্য মেথি ভীষণ উপকারী, এটা আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই জানি। মেথিতে আছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালশিয়াম ও আয়রন। এই সবকটি উপাদানই চুলের গোড়ার স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণই উপকারী। মেথি ভেজানো জল সপ্তাহে অন্তত দু’ দিন সকালে খালি পেটে খেলে চুল দ্রুত বাড়বে।
 

দুধ, টক দই, কলা

চুলের বৃদ্ধিতে দুধ, টক দইও সাহায্য করে। প্রয়োজনে দুধের সঙ্গে কলা মিশিয়ে স্মুদিও তৈরি নিতে পারেন। সঙ্গে বাদাম, এলাচের গুঁড়ো ও মধু মিশিয়ে নিন। এই সুস্বাদু স্মুদি খেলে চুলের বৃদ্ধির হার বাড়বে।
 

বিশেষ পানীয়

নিত্যদিন চুলের জন্য এত কিছু করা সম্ভব নয়? চিন্তা নেই, সে ক্ষেত্রে সপ্তাহে এক দিন এই পানীয়টি খেয়ে দেখুন। প্রথমে জলে অল্প নুন ও বার্লি দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এ ভাবে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। তার পরে এতে দরকার মতো লেবু ও মধু মিশিয়ে নিতে হবে। এ বার পানীয়টি খেয়ে নিন। এতে চুলের গোড়া মজবুত হবে। আবার চুলে বৃদ্ধির হারও বাড়বে।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content