মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

শরীরকে নীরোগ রাখতে রান্নায় তেলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকাল সুস্থ ও তরজাতা থাকাতে অনেকেই খাদ্য তালিকায় বদল এনেছেন। এখন রান্নার তেল হিসেবে সরষের তেল বা সয়াবিন তেলের বদলে ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে অলিভ অয়েল। জলপাইয়ের এই তেল খুব হালকা একটা হয়। এটি ত্বক যত্ন থেকে রান্না, সর্বত্র ব্যবহৃত হয়। একে এককথায় পুষ্টির ভান্ডার বলা যেতে পারে। কি নেই এতে—ভিটামিন-ই, আয়রন, ভিটামিন-কে এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সবই পাওয়া যায়। নিয়মিত ব্যবহার করলে অনেক রোগ এড়ানো সম্ভব। অলিভ অয়েল হার্টের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়।
 

ত্বকের যত্নে

অলিভ অয়েল ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ফাইন লাইন, রিংকেলস কমাতে সাহায্য করে এই তেল। অলিভ অয়েলকে ত্বকের আর্দ্রতার জন্য একটি ভালো ময়শ্চারাইজার হিসাবে গণ্য করা হয়। ফ্যাটি অ্যাসিডের সঙ্গে ভিটামিন-এ এবং ই সমৃদ্ধ এই তেল।
 

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ভিষণ পুষ্টিকর। এতে আছে ভিটামিন-ই এবং কে। এছাড়াও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর অলিভ অয়েল।

আরও পড়ুন:

হেলদি ডায়েট: গুচ্ছ গুচ্ছ চুল পড়ছে? রোজ এই সব খাবার খেলে কমবে সমস্যা

এই দেশ এই মাটি,সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৩১: সুন্দরবনের ঐতিহ্য গঙ্গাসাগরমেলা ও কপিল মুনির আশ্রম

 

অ্যাসিডিটির মাত্রা কমায়

অলিভ অয়েলে থাকা মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট আমাদের শরীরের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। এটা শরীরের ক্ষতিকর অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। পাশাপাশি অলিভ অয়েল যকৃত পরিষ্কার রাখে।
 

স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট

অলিভ অয়েলে আছে প্রায় ১৪ শতাংশ স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যেখানে ১১ শতাংশ পলি-আনস্যাচুরেটেড, যেমন ওমেগা-৬ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। অলিভ অয়েলের প্রধান ফ্যাটি অ্যাসিডটি হল অলিক অ্যাসিড, যা একটি মনোসেচুরেটেড ফ্যাট। এই অলিক অ্যাসিড শরীরের প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি ক্যানসারে আক্রান্ত কোষগুলিকে ভালো রাখে।

আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৬: গলা সাধলেই লতাকণ্ঠী?

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-২৯: আবার পুরী ভ্রমণ

 

কোষ্টকাঠিন্য দূর করে

কোষ্টকাঠিন্যের জন্য দিনে এক চামচ করে জলপাই তেল খেলে এই সমস্যা ধীরে ধীরে মিটবে।
 

স্ট্রোক প্রতিরোধে

রক্ত জমাট বাঁধা বা রক্তপাতের কারণে মস্তিষ্কে যখন রক্ত প্রবাহ ঠিকমতো হয় না, তখন সাধারণত স্ট্রোক হতে দেখা যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অলিভ অয়েল স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৪৬: যুগান্তরেও সম্মানিতা হন সীতা, তাঁর বনবাস গমনের সিদ্ধান্তে কী তার কোনও প্রভাব আছে?

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৯: হারিয়ে যাওয়ার ‘জীবন তৃষ্ণা’

 

হৃদরোগ
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হৃদরোগের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে থাকে।

 

পাকস্থলীর স্বাস্থ্য

খাবারে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করলে শরীরের কোলেস্টরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। অলিভ অয়েল তেলের আরেকটা উপকারী বিষয় হল, এটা পাকস্থলীর জন্য ভালো।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content