কোন কোন রোগের দাওয়াই আমলকি
● সর্দি-কাশি ও ভাইরাল ইনফেকশনের আশঙ্কা কমাতে এই অ্যান্টিসস্পাসমেটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এফেক্ট থাকায় আমলকি অত্যন্ত উপকারী।
● হাই ব্লাড প্রেশার, অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস ও কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন-সি এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ছোট্ট ফল আমলকি অত্যন্ত উপকারী।
● ডায়াবিটিস থাকলে যে ক’দিন তাজা আমলকি পাওয়া যায়, নিয়মিত খান। অসময়ে অবশ্য শুকনো আমলকি খেলেও চলবে। আমলকির ভিটামিন-সি ও ক্রোমিয়াম ইনসুলিন সেনসিভিটি বাড়ায় ও রক্ত শর করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
● ক্যানসার বিশেষত, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট ও রেসপিরেটরি ট্র্যাক্টের ম্যালিগন্যান্সি প্রতিরোধে সাহায্য করে আমলকি।
● বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস ও বিভিন্ন পেটের গোলমালের সমস্যা দূর করতে আমলকির জুড়ি নেই।
● কনজাংটিভাইটিস, ক্যাটারাক্ট ও ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের সমস্যা প্রতিরোধ করতেও আমলকি অত্যন্ত উপকারী।
● স্কার্ভি বা দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়া, নড়বড়ে দাঁত, ত্বকের দাগ, ছোপ দূর করতে হলে যে কদিন তাজা আমলকি পাওয়া যায় তা খেতে হবে। অন্যথায় শুকনো আমলকিও চলবে।
● ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা, বিশেষত ব্রণ, র্যাশ, পিগমেন্টেশন, চোখের নিচে কালি, শুকনো ত্বক, চুল পড়ে যাওয়া, চুলের অকালপক্কতা, একজিমা থেকে সোরিয়াসিস বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধেই আমলকি অত্যন্ত উপকারী।
● রিউমেটিজম ও অস্টিওপোরেসিসের ক্ষেত্রে খাদ্যস্থ ক্যালশিয়ামকে কাজে লাগিয়ে হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে ছোট্ট এই সাইট্রাস ফল।
● অ্যানিমিয়া অর্থাৎ রক্তহীনতার সমস্যা থাকলে নিয়মিত আমলকি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
● আমলকি মুখে রুচি ফেরায়, খিদে বাড়ায়।
● অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফল অত্যন্ত উপকারী।
● রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমলকির বিস্ময়কর ভূমিকার কথা প্রায় সবারই জানা।