রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

পিরিয়ড নিয়মিত হওয়াটা প্রয়োজন। সাধারণত ২৮ থেকে ৩০ দিন পর আবার কখনও বা ৩০ থেকে ৩৫ দিন পরে পিরিয়ড হতে পারে। যদি তা না হয় অর্থাৎ ৩০-৩৫ পরেও যদি দীর্ঘায়িত হয় তাহলে সেটাকে অনিয়মিত বলা হয়। অনেকের ক্ষেত্রে দু-তিন মাসে একবার আবার কারও ক্ষেত্রে তারও বেশি সময়ের ব্যবধানে পিরিয়ড হয়। এই অনিয়মের জন্য বিভিন্ন কারণ দায়ী। তার মধ্যে যেগুলো প্রধান তা হল অধিক মানসিক চাপ, পরিশ্রম, দুর্বলতা, জীবনযাত্রায় বড় কোনও পরিবর্তন।
অনিয়মিত পিরিয়ডের বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে, যেমন হঠাৎ খুব ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম, জরায়ুতে সমস্যা কিংবা আরও জটিল কোনও শারীরিক সমস্যা। আর এই অনিয়মের কারণেই বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যাও দেখা যায়। যেমন খাবারে অরুচি, ব্রণ, মাথাব্যথা, পা ব্যথা, পেট ফাঁপা ইত্যাদি।

এই অনিয়ম থেকে সহজেই রক্ষা পেতে রান্নাঘরের সামগ্রীগুলি থেকে মাত্র পাঁচটি জিনিস খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন করলে সহজেই উপকার পাওয়া যাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে সমস্যা যদি গুরুতর হয় অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
আরও পড়ুন:

হেলদি ডায়েট: ফাইবারেই জব্দ কোষ্ঠকাঠিন্য, ওষুধ ছাড়াই সুস্থ থাকুন এ ভাবে

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-২৪: মুশকিল ঘরে, মুশকিল বাইরে, মুশকিল বিশ্বময়!

 

নিয়মিত পাতে রাখুন

 

আদা

আদা পেরিয়েড নিয়মিত করতে সাহায্য করে। এক কথায় বলা যায়, অনিয়মিত পিরিয়ডকে নিয়মিত করতে আদা জরুরি। এককাপ ফুটন্ত জলে সামান্য আদা মিশিয়ে সেই জল ছেঁকে সামান্য মধু দিয়ে দিনে তিনবার যদি খাওয়া যায় তাহলে সহজেই সমস্যা থেকে সমাধান মিলবে।

 

দারুচিনি

অনিয়মিত পিরিয়ড দূর করতে দারুচিনি অন্যতম। দারুচিনির চা সামান্য লেবু দিয়ে খেলে পেরিয়েট যেমন নিয়মিত হবে তেমনি পাশাপাশি পিরিয়ড চলাকালীন ব্যথাও কমবে।

আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-২১: শ্রীমার ঠাকুরের প্রতি যত্ন

পর্দার আড়ালে, পর্ব-৪৫: উমা নাম জপতে জপতে বাঘের কাছে গিয়ে সাহসের পরিচয় দিয়েছিলেন রবি ঘোষ

 

কাঁচা পেপে

কাঁচা পেঁপে জরায়ুর মাসল কনট্রাকশনে বিশেষভাবে সাহায্য করে নিয়মিত কাঁচা পেঁপের রস পিরিয়ড নিয়মিত করতে সাহায্য করে। তবে পিরিয়ড চলাকালীন কাঁচা পেঁপের রস এড়িয়ে চলাই ভালো।
 

কাঁচা হলুদ

কাঁচা হলুদ জরায়ুর মাংসপেশী সঙ্কোচন-প্রসারণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরিগুণ পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এককাপ দুধে চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ কাঁচা হলুদ নিয়ে মধু বা গুঁড় দিয়ে কিছুদিন খেয়ে দেখুন, পরিবর্তন নিজেই টের পাবেন।

 

জিরে

পিরিয়ড নিয়মিত করতে জিরা ভালো কাজ দেয়। এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এক গ্লাস জলে এক চামচ জিরে সারারাত ভিজিয়ে সেই জল সকালবেলা খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
 

খানিক বদল অনুন জীবনযাপনে

খাদ্য খাদ্য তালিকায় পরিবর্তনগুলি করার পাশাপাশি দৈনিক জীবনযাত্রায় বেশ কিছু পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
 

ওজন নিয়ন্ত্রণ

উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে যায়। তাই স্বাস্থ্যকর খাদ্য, খাদ্য তালিকায় রাখা প্রয়োজন বাইরের খাবার, ফাস্টফুড, জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত নুন-চিনি, অতিরিক্ত ফ্যাট, অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খাদ্য তালিকায় কম রাখাই ভালো এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আরও পড়ুন:

কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-১৫: দিল মেরা বানজারা!

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব ৪৭: শীতকালে দই খেতে নেই?

 

শরীরচর্চা

নিয়মিত শরীর চর্চা পিরিয়ড রেগুলার করার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ‌। বর্তমান জীবনযাত্রায় আমরা শরীরচর্চার করার সময় খুব কম পায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের বসে কাজ। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করা প্রয়োজন।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content