সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে

এখনকার দিনে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার একটি সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। আজ আমরা জেনে নেব এই রোগের শিকার হলে আমাদের খাদ্যাভ্যাস কেমন হওয়া উচিত।

শরীরের যে সব রক্তনালীগুলি আমাদের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত পৌঁছে দেয়, সেই সব রক্তনালীর সংকোচন ও প্রসারণ যখন সঠিকভাবে হয় না, তখন শরীরে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। এভাবে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয়।

উচ্চ রক্তচাপে কী কী সমস্যা হয়?
আমাদের শরীরের রক্তনালীগুলি বিভিন্ন কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে অনেক সময় ছিঁড়ে যায়। ফলে শরীরের ভিতর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। যেটা খুবই মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করে। এছাড়াও রক্তনালীতে কোলেস্টেরল, ফ্যাট বা ক্যালশিয়াম জমা হতে থাকে। এই জমার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পেতে রক্তনালীর পথ বন্ধ হতে শুরু করে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক বা ব্রেনস্টক পর্যন্ত হতে পারে। এমনকী কিডনি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। উচ্চ রক্তচাপ এমন একটি রোগ, যেটি খুব ধীরে ধীরে শরীরকে খারাপ করে দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়। তাই আমাদের নিয়মিত ব্লাড প্রেশার মাপা উচিত। ৮০/১২০ হল আমাদের সাধারণ ব্লাড প্রেশার। কিন্তু যখনই সেটা বেড়ে যাচ্ছে তখনই আমাদের সচেতন হতে হবে।

যে সব খাবার এড়াতে হবে
প্রথমেই আসে নুনের কথা। কাঁচা নুন একেবারেই খাওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে নজর রাখতে হবে রান্নায় আমরা কতটা নুন ব্যবহার করছি তার দিকেও। কিছু খাবার এমনও থাকে যার মধ্যে নুন লুকিয়ে থাকে, যেমন—পাঁপড়, আচার, সয়া স্যস প্রভৃতি। তাই এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। প্যাকেট জাতীয় যে খাবার কিনছেন, তাতে কতটা পরিমাণ সোডিয়াম আছে সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। পাশপাশি বিভিন্ন ধরনের ‘ফ্যাটি ফুড’ এড়িয়ে চলতে হবে।

খাদ্য তালিকায় থাকলে ভালো
পটাশিয়াম যুক্ত যে সমস্ত ফল ও সবজি আছে, সেগুলি দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে হবে। দুধ ও দই জাতীয় খাবার ডায়েটে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, ফ্যাট ছাড়া লো ফ্যাট দুধ এবং সেই দুধ থেকে বানানো দই খাওয়া খুবই উপকারী। এই ধরেনর ডায়েটকে বলা হল, ড্যাশ ডায়েট। সাধারণত উচ্চ রক্তচাপযুক্ত রোগীর জন্য ডায়েট খুবই উপকারী। এই ডায়েটে ফল থাকবে এক থেকে পাঁচটি। সবজি থাকবে এক থেকে দু’বাটি।

সতর্কতা
পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই নিজের মতো কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে ডাক্তারবাবুর পরামর্শ ছাড়াই কোনওরকম পটাশিয়ামযুক্ত ওষুধও খাওয়া যাবে না।

এই ধরনের ডায়েটের সঙ্গে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে প্রতিদিনের শরীরচর্চার কথাও। অবশ্যই বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। দেখা গিয়েছে, ওজন কমানোর সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপও এক পয়েন্ট করে কমতে থাকে। তাই উচ্চতা অনুযায়ী যাঁদের ওজন বেশি তাঁরা সঠিক ডায়েট ও শরীরচর্চা করে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। অ্যালকোহল ও ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা থেকে দূরে থাকুন। কারণ, এগুলিও উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম একটি কারণ।

যোগাযোগ: ৯০৩৮০ ০৮০৮২

Skip to content