বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

হার্ট যে আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আজকাল খুব অল্প বয়সেই দেখা যাচ্ছে অনেক মৃত্যুরই কারণ হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক। কাজেই হার্টের সমস্যায় শুধু যে ভুগতে পারেন বয়স্ক মানুষরা তা কিন্তু এখন আর বলা যায় না। যে কোনও বয়সে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে সামান্য কিছু বিষয় মেনে চললেই কিন্তু আমরা হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে পারি। তাই জেনে নিন চটজলদি উপায়গুলি।

অল্প পরিমাণে বারে বারে খাবার খান
অল্প পরিমাণে বারে বারে খাবার খাওয়া উচিত। সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট যেন সঠিক পরিমাণে খাওয়া হয়। কম ক্যালোরিযুক্ত ফল এবং সবজি বেশি করে খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। কম লবণযুক্ত খাবার খান বেশি করে।

সিরিয়াল জাতীয় খাবার
সিরিয়াল-এর মধ্যে আটা বা চালের প্রোডাক্ট সঠিক পরিমাণে খেয়ে ময়দা বা যে কোনও রিফাইনড কার্বোহাইড্রেট এড়ানোই শ্রেয়। বেশিরভাগ ফাস্ট ফুডের প্রধান উৎস কিন্তু রিফাইনড কার্বোহাইড্রেট। তাই ফাস্ট ফুড নৈব নৈব চ।

হেলদি ফ্যাট
ফ্যাট হল এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ নিউট্রিয়েন্ট, যা সব থেকে বেশি হার্টকে প্রভাবিত করে। প্রধানত আমরা ফ্যাটকে দুই ভাগে ভাগ করতে পারি– স্যাচুরেটেড এবং আনস্যাচুরেটেড। স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম খেয়ে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যাকে আমরা হেলদি ফ্যাটও বলে থাকি, সেটা বেশি পরিমাণে খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর সুপারিশ অনুযায়ী আমাদের দৈনিক ক্যালোরির ২৫ শতাংশ ফ্যাট থাকা উচিত। তারমধ্যে বেশিরভাগটাই যেন আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট হয়। উদাহরণসহ বলা যায়— অলিভ, অ্যাভোকোডা, সামুদ্রিক মাছ, চিনেবাদাম প্রভৃতি ভালো ফ্যাটযুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। অপরদিকে, সয়াবিন অয়েল, মারজারিন, ঘি, মাখন প্রভৃতি খাবার এড়িয়ে চলুন। কম ফ্যাট এবং বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার ডায়েটে রাখুন। দুধ, ডিমের সাদা অংশ, সয়া প্রোডাক্ট প্রভৃতি প্রতিদিন খেতে পারেন। আমরা অনেকেই জানি বেশি লবণ খেলে হার্টের সমস্যা বাড়ার প্রবণতা থেকে যায়। তাই যতটা পারা যায় লবণ কম খাওয়াই ভালো। খাবারের সঙ্গে আলাদা করে কাঁচা লবণ নেওয়ার বদ অভ্যাস থাকলে সেটা ত্যাগ করাই উচিত।
এড়িয়ে চললে ভালো
হার্টকে সুস্থ রাখতে চেষ্টা করুন কয়েকটি জিনিস এড়িয়ে চলার। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হল —টেবিল সল্ট, ক্যানড সুপস, টোম্যাটো জুস, টোম্যাটো কেচআপ, মিয়নিজ এবং সয়া সস, রোজ রোজ বাইরের খাবার, জাঙ্ক ফুড, ভাজাভুজি, বেশি তৈলাক্ত খাবার ইত্যাদি।

খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা
খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে সঙ্গে যদি জীবনযাত্রায় যদি পরিবর্তন আনা যায় তাহলে খুবই ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। যেমন—
প্রতি ২ ঘন্টা অন্তর অল্প অল্প করে খাবার খেতে হবে।
৩০ মিনিট করে প্রতিদিন হাঁটা-চলা করতে হবে।
চিন্তামুক্ত থাকার জন্য যোগ ব্যায়াম করতে হবে।
রাত ৮টার মধ্যে ডিনার করে নিলে শরীরে বিপাকের হার ঠিক করে বজায় থাকে।
রোজ ৩ লিটার জল খেতে হবে।
এই কয়েকটি পরামর্শ মেনে চললেই আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে।

যোগাযোগ: ৯০৫১৩৪২৬৬০

 


Skip to content