রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


ছবি প্রতীকী

দইয়ের পুষ্টিগুণ সকলেরই জানা। যাঁরা মেদ ঝরাতে ডায়েটিং করছেন তাঁদের রোজকার পাতে তো দই থাকবেই। বাড়ির বয়স্ক সদস্য, দিদিমা-ঠাকুমারা বলেন, শ্রাবণ মাসে বা বর্ষাকালে দই খেতে নেই। সত্যি কি তাই? কী বলছে আয়ুর্বেদ?
দইয়ে রয়েছে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন। পুষ্টিগুণও বেশ বেশি। কিন্তু বর্ষাকালে দই খাওয়া নিয়ে মতান্তর রয়েছে। আয়ুর্বেদ বলছে, শ্রাবণ মাসে দই খাওয়া উচিত নয়। কারণ, ভরা বর্ষায় পিত্ত, বাত এবং পেট সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ে। আর দইয়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য দেহের ছিদ্রপথগুলি বন্ধ হয়ে যায়। এই সময় দই খেলে একাধিক শারীরিক সমস্যা বাড়ার আশঙ্কাও থাকে। যেমন-গলা ব্যথা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, হজমের সমস্যা হতে পারে। যাদের সাইনাসের সমস্যা রয়েছে তাদেরও এই সময় দই খেতে নিষেধ করেন পরিবারের প্রবীণ সদস্যরা। যদিও আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্র এই তত্ত্বে বিশ্বাস করে না। বর্ষায় হজমের সমস্যা হয়। দই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
আরও পড়ুন:

কালীপুজোর দিনই আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়? আন্দামান সাগরে তৈরি নিম্নচাপ শক্তি বাড়াবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায়

তেল, ঘি, বৈদ্যুৎ লাগবে না, জল দিলেই জ্বলবে, জলপাইগুড়ির বাজারে ‘ম্যাজিক প্রদীপ’ কিনতে ভিড়

পুষ্টিবিদরা বলছেন, বর্ষাকালে দই খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। শুকনো খোলায় ভেজে নেওয়া জিরে গুঁড়ো, গোলমরিচ এবং বিট নুন দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। পরে আরও কিছুটা নুন মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে দই। এই মিশ্রণ একদিকে যেমন ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে সক্ষম, তেমনই হজম ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। ঝটপট সারিয়ে ফেলতে পারে গলা ধরার সমস্যাও। তবে বর্ষাকালে অনেকদিনের পুরনো দইয়ের চেয়ে তাজা দই খাওয়াই উপযুক্ত। দইয়ের সঙ্গে বাদাম, ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
চিকিৎসকরা বলছে, দই স্বাস্থ্যকর খাদ্য। কিন্তু সব খাবারের সঙ্গে দই খাওয়া চলে না। দইয়ের ভুল সঙ্গী নির্বাচনের ফলে উপকারের চেয়ে অপকার হয় বেশি। তাই দই খাওয়ার সঠিক উপায় জেনে দই খাওয়া উচিত।

Skip to content