শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

অসাধারণ সুন্দর দেখতে উজ্জ্বল লালচে গোলাপি রঙের ছোট ছোট কাঁটাওয়ালা সুস্বাদু ড্রাগন ফল কখনও খেয়েছেন? যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ড্রাগণ ফলের বিশেষ ঔষধি গুণাগুণ আছে। বৈজ্ঞানিক নাম হ্যালোসেরেউস উন্দাটুস (Hylocereus undatus)। চিন, ভিয়েতনাম, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি দেশে ড্রাগন ফুড অত্যন্ত জনপ্রিয়। বর্তমানে আমাদের দেশেও এই ফলের আকর্ষণ ক্রমেই বাড়ছে। অসাধারণ পুষ্টিগুণের আধিকারী হওয়ায় এই ড্রাগন ফলকে ‘ট্রপিক্যাল সুপার ফুড’ও বলা যায়।
 

প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলের পুষ্টিমূল্য

ক্যালোরি: ৫২ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট: ১১ গ্রাম, প্রোটিন: ১.১ গ্রাম, ডায়েটরি ফাইবার: ৩ গ্রাম। উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভিটামিন সি এবং বি ভিটামিন পাওয়া যায়। এই ফল থেকে বিভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েডস, ফেনলিক অ্যাসিড, বিটাসায়ানিন, বিটা ক্যারোটিনয়েডস, বিটালেনস ইত্যাদির উপস্থিতির কারণে এই সুস্বাদু সুমিষ্ট ড্রাগন ফল বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলের কালো ছোট ছোট বীজে থাকে ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা নাই জাতীয় অত্যন্ত উপকারী এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড।

আরও পড়ুন:

ডায়েট ফটাফট: এই গরমে ফলে-জলে-সব্জিতে থাকুন

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২৩: বায়োপসি মানেই ক্যানসার?

 

কোন কোন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে ড্রাগন ফ্রুট?

অনিয়ন্তিত রক্ত শর্করা মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্টোক ও হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমায়।
রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।
হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে।
ড্রাগন ফ্রুটের ভিটামিন এ, সি এবং আন্টি-অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
অ্যাজমা, আর্থ্রাইটিস, সর্দি-কাশি ইত্যাদি ইনফ্লামেটরি ডিজিজের মোকাবিলায় সাহায্য করে।
হাড় ও দাঁত মজবুত রাখে।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, বয়েসকালের ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ডেঙ্গু জ্বরেও উপকারী ড্রাগন ফল।
কোষ্ঠকাঠিন্য ও ইরিটেবল বাওয়েলসের সমস্যায় ড্রাগন ফল খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
স্কিন অ্যালার্জি, প্রিম্যাচিওর এজিং, অ্যাকনে, সানবার্ন ও রিঙ্কেলস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ড্রাগন ফলের ক্যাপটিন নামক ফাইটোকেমিকেল হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়।
ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই ফল গর্ভবতী মায়েদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

আরও পড়ুন:

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-১: আমি ‘কেবলই’ স্বপন…

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬৫: গায়ের জামা হাওয়ায় উড়বে বলে দেহের সঙ্গে ফিতে দিয়ে বেঁধে রাখতেন

 

কীভাবে খাবেন?

ড্রাগন ফলকে মাঝখান থেকে কেটে দু’ ভাগ করে স্কুপ করে সুন্দরভাবে এর শাঁস বার করে নেওয়া যায়। হেলদি স্ন্যাক হিসাবে খেতে পারেন যে কোনও বয়সে। গরমকালে অন্যান্য ফলের টুকরোর সঙ্গে এই ফলের শ্বাস ছোট ছোট টুকরো করে মিশিয়ে ফ্রিজে ঠান্ডা করে খেলে চমৎকার লাগে। ব্লেন্ডারে অন্যান্য ফলের সঙ্গে মিশিয়ে দুর্দান্ত রিফ্রেশিং স্মুদি হিসেবেও খেতে পারেন খেতে পারেন অথবা স্যালাড হিসাবেও।

আরও পড়ুন:

অজানার সন্ধানে: পাচার হয়েছিল টন টন সোনা ও দামি ধাতু! ৮৫ বছরের সেই ভূতুড়ে রেলস্টেশন এখন অভিজাত হোটেল

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১৪: কিশোরের শুধু কণ্ঠই নয়, তাঁর অভিনয় ক্ষমতাকেও গানের নেপথ্যে সুকৌশলে কাজে লাগাতেন পঞ্চম

 

সাবধানতা

কেনার সময় উজ্জ্বল রং বিশিষ্ট পাকা ফলই নেবেন।
চেষ্টা করবেন ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে।
ড্রাগন ফল অত্যন্ত উপকারী হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে হজমের গোলমাল, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
মাত্রা মতো খাবার চেষ্টা করবেন।
বাচ্চাদের দিনে ৫০ গ্রাম এবং বড়দের ১০০ থেকে ১৫০ গ্রামই যথেষ্ট।

যোগাযোগ: ৯৮৩০২১৪৯৭১

* ডায়েট ফটাফট (Healthy Diet tips): শম্পা চক্রবর্তী (Shampa Chakrabarty), ডায়েট কনসালটেন্ট।

Skip to content