মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

ছোটদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, ছোট থেকেই যদি ওরা স্বাস্থ্যকর খাবার না খায় তাহলে বড় অবস্থায় বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা যেতে পারে। ওজন বেড়ে যাওয়া, পেটের গণ্ডগোল-সহ একাধিক রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের সমস্যা সাধারণত ছোট থেকে শুরু হয়, বয়স বাড়লে তা বড় আকার ধারণ করে। তাই ছোটদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর দায়িত্ব পরিবারকেই নিতে হবে।

ছোট থেকেই শিশুদের খাদ্য তালিকায় শাকসব্জি, বিভিন্ন রকমের ডাল, মাছ, মাংস, দুধ, দুধ, দুধের তৈরি বিভিন্ন খাবার রাখতে হবে। যাতে শিশুর বিকাশে কোনও অসুবিধা না তৈরি হয়। সঠিক খাদ্যাভাসে শিশুর সামগ্রিক বিকাশ সম্ভব। এতে শিশু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন তৈরি হয়, তেমনি উচ্চতা বৃদ্ধি, দাঁত ও হাড়ের গঠন, চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য প্রভৃতির স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
 

শিশুর সার্বিক বিকাশের জন্য খাদ্য তালিকায় এগুলি রাখুন

 

দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার

শিশুর প্রথম ছয় মাস মাতৃদুগ্ধই প্রধান খাদ্য। কিন্তু তারপরে বা স্কুল যাওয়া শুরুর সময়ও ওদের দুধের প্রয়োজনীয়তা সমানে থেকে যায়। দুধ ক্যালশিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস। এটা যেমন হাড় মজবুত করে, তেমনি দাঁতকেও সুগঠিত করে। দুধের পাশাপাশি দই, পনির, ছানা এসবেও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, ক্যালশিয়াম ও প্রোটিনের থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে, যা শিশুর বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
 

মাংস

মাংস প্রোটিন-সহ নানা পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ। তাই বাচ্চার হাড় ও মাংসপেশীর বৃদ্ধি এবং মজবুতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

আরও পড়ুন:

হেলদি ডায়েট: সুপারফুড চিয়া সিডের এই সব জরুরি পুষ্টিগুণের কথা জানতেন?

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৫: যে ছিল আমার ‘ব্রতচারিণী’

পর্দার আড়ালে, ‘অপরাজিত’র সম্পাদনার সময় সত্যজিতের মনে হয়েছিল মিলি চরিত্রটির প্রয়োজন নেই, অগত্যা বাদ পড়লেন তন্দ্রা

অজানার সন্ধানে: মিথ্যার সঙ্গে আপোষ না করে ছাড়েন চাকরি, দিন কাটে অনাহারে, কে এই ভারতের ফেভিকল ম্যান?

 

মাছ

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস হল মাছ। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাছাড়া ছোট মাছও ক্যালশিয়ামের খুব ভালো উৎস। তাই শিশুর খাদ্য তালিকায় মাছ রাখা সমান গুরুত্বপূর্ণ।
 

ডিম

ডিম প্রোটিনের খুব ভালো একটি উৎস। ডিমের প্রোটিনকে আদর্শ প্রোটিন বলা হয়। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন একটা করে ডিম খেলে বাচ্চাদের উচ্চতা বাড়তে সাহায্য করে। ডিমের প্রোটিন শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ঘটায়। তাছাড়াও মাসল গ্রোথে ডিমের প্রোটিন সাহায্য করে।
 

সয়াবিন

সয়াবিনও প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। ১০০ গ্রাম সোয়াবিনে প্রায় ৪৩ গ্রাম প্রোটিন থাকে। সয়াবিনের প্রোটিন ডিমের থেকেও অনেক বেশি। সোয়াবিনের প্রোটিনকে মাংসের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এই প্রোটিন ছোটদের কোষ গঠনে সাহায্য করে। তাই বাচ্চা খুব সহজেই লম্বা হয়।

আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১১: ‘কটি পতঙ্গ’ ছবিতে পঞ্চমের সুরে কিশোর নিজেকে উজাড় করে দেন

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫: অল্প ক্ষতি স্বীকার করে হলেও ভবিষ্যতে বড় লাভের কথা চিন্তা করা দরকার

চলো যাই ঘুরে আসি: গ্রামের মোড়কে মোড়ানো আধুনিক জীবনের ছবি

 

ডাল

ডালে ফ্যাট কম থাকলেও প্রোটিন এবং ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই বাড়ন্ত শিশুদের জন্য ডাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রতিদিন একই ডাল না খাইয়ে একেক দিন একেক রকম ডাল বা বিভিন্ন ডালের মিশ্রণ খাওয়ানো ভালো।
 

বেরিজাতীয় ফল

বর্তমানে টাইপ-২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। প্রক্রিয়াজাত খেলাধুলা না করা এবং প্যাকেটজাত ভাজা খাবার বেশি খাওয়ার জন্য এই ধরনের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। ছোট থেকে যদি অল্প হলেও ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, মালবেরি, রাস্পবেরি— জাতীয় ফল খাওয়াতে পারেন, তা হলে হরমোনের সঙ্গে জড়িত অনেক সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।
 

সবুজ শাকসব্জি

সবুজ শাকসব্জি ফাইবারের সবচেয়ে ভালো উৎস। ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ফাইবারের বিকল্প হয় না। একজন শিশু জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ, তাছাড়া শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা খুবই কমন একটি সমস্যা। মেথি, পালক ইত্যাদি শাক ক্যালশিয়াম, ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর।

আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১৪: ভয়ংকর গর্ভ

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২০: শোওয়ার বালিশ বিছানা কেমন হবে? শক্ত না নরম?

দশভুজা: দু’শো বছর আগে হলে তিনি ইঞ্জিনিয়ারের বদলে সতী হতেন

 

বাদাম

বাদাম ভিটামিন ও খনিজ লবণের খুব ভালো উৎস। তাছাড়া বাদামের প্রোটিন বাচ্চাদের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বাদামে রয়েছে ফাইবার, ফ্যাট, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ্ যা শিশুর হাড় মজবুত করার পাশাপাশি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
 

রাঙা আলু

তরকারিতে দিয়ে হোক বা মুখরোচক কোনও পদ, আলুর বদলে রাখার চেষ্টা করুন রাঙা বা মিষ্টি আলু। ফাইবার-সমৃদ্ধ এই আলু অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে। পাশাপাশি, মিষ্টি আলু আয়রনের পরিমাণও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content