সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

মেদহীন পেট কে না চায়! সেটা পছন্দের পোশাকআশাক পরার জন্য হোক বা হাঁটা চলার সুবিধা বা সুস্থ তরতাজা থাকার জন্যই হোক। মজার ব্যাপার—বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজের অজান্তেই ক্রমশ ভুঁড়ি ঊর্ধ্বমুখী হয়। ফলস্বরূপ শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি শরীরের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকেও নষ্ট করে দেয়। এক্ষেত্রে একটা বিষয় সবার জানা দরকার, শরীরের তুলনায় পেটের ফ্যাট বেড়ে যাওয়ার কারণ শুধু অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস নয়, সঙ্গে দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস এবং লাইফস্টাইলও সমানভাবে দায়ী। এই প্রতিবেদনে রইল ভুঁড়ি কমানো কিছু সহজ উপায়—
 

অল্প পরিমাণে বারে বারে খান

সারাদিনের খাবারকে ৫-৬টি মিলে ভাগ করে নিন। টানা বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকা যাবে না। কারণ, দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পর একসঙ্গে অনেকটা খাবার খেয়ে পেট ভরানোর অভ্যাস পেটের ফ্যাট তাড়াতাড়ি বাড়তে সাহায্য করে। তাই অল্প অল্প করে বারে বারে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
 

ফল, শসা, গাজর ইত্যাদি

দিন ও রাতের প্রধান খাবারের আগে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার যেমন বিভিন্ন ধরনের মরশুমি ফল, শসা, স্লাইস করা গাজর খাওয়া যেতে পারে। এই ধরনের খাবার দিন ও রাতের প্রধান মিলের পরিমাণকে যেমন নিয়ন্ত্রণ করে তেমনি আমাদের ‘গাট ব্যাকটিরিয়া’কে সক্রিয় করে যা হজমে সাহায্য করে।
 

নিয়ন্ত্রণ করুন কার্বোহাইড্রেটকে

চিনি ও ময়দার তৈরি সুস্বাদু খাবার, কেক-পেস্ট্রি প্রভৃতির পরিমাণ কমাতে হবে খাদ্যতালিকা থেকে। এ ধরনের খাবার খুব তাড়াতাড়ি পেটের ফ্যাটকে বাড়ায়। তাই তুলনায় ফাইবার বেশি আছে এমন খাবার খাদ্যতালিকায় বেশি রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। পাশাপাশি মরশুমি ফল, সবুজ শাকসবজি বেশি করে খাওয়া ভালো।
 

সর্বদা সক্রিয় থাকুন

ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেয়ারে বসে কাজ করে যাচ্ছেন বা শুয়ে শুয়ে মোবাইলে গেম খেলছেন, এই ধরনের লাইফস্টাইল বর্জন করতে হবে। নিজেকে সর্বদা অ্যাক্টিভ রাখতে হবে। অন্তত ৩০ মিনিট অন্তর চেয়ার ছেড়ে উঠে একটু হাঁটাচলা করুন। ব্যস্ত জীবনে অনেকেই সময় করে উঠতে পারেন না শরীরচর্চার জন্য। কেউ আবার হাতে সময় থাকলেও শরীরচর্চা নিয়ে তেমন উৎসাহী থাকেন না। যাইহোক, আট থেকে আশি সবাইকে চেষ্টা করতে হবে নিজেকে যতটা ‘অ্যাক্টিভ মোড’ রাখা যায় ততই ভালো। অ্যাক্টিভ থাকা মানে শুধু শরীরচর্চা বা হাঁটাচলা নয়, বাড়ির সাধারণ কাজে হাত লাগিয়েও নিজেকে সক্রিয় রাখা যায়।

 

ঝুঁকে বসে কাজ করেন?

আপনি কীভাবে বসে কাজ করেন সেটাও মেদ নিয়ন্ত্রণের জন্য জরুরি একটি বিষয়। জানা থাকলে ভালো, ঝুঁকে বসে কাজ করার অভ্যাস শরীরে মূলত পেটে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে সাহায্য করে। তাই যখন বসবেন তখন সোজা হয়েই বসুন।
 

অতিরিক্ত ফ্যাট

ডুবো তেলে ভাজা, অতিরিক্ত তেল দিয়ে রান্না করা খাবার সব সময় এড়াতে হবে। কার্বনেটেড পানীয়, অ্যালকোহল বর্জন করতে হবে। এই সব খাবার খুব তাড়াতাড়ি ভুঁড়ি বাড়াতে সাহায্য করে। হাতের কাছে ভাজাভুজি, স্ন্যাক্স, চিপস, বিস্কিট, কেক প্রভৃতি খাবার না রেখে বরং রোস্ট করা স্বাস্থ্যকর বাদাম, ছোলাভাজা, মরশুমি তাজা ফল, স্প্রাউটস—এই ধরনের খাবার রাখতে পারেন। এতে খিদেও মিটবে আবার ফ্যাটও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

আমাদের সব সময়ই পেটের অতিরিক্ত ফ্যাট নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। কারণ, এটা শুধু শারীরিক গঠন বা আত্মবিশ্বাসকে নষ্ট করে তা নয়, হরমোনের ভারসাম্য, ফ্যাটি লিভার, হজম সংক্রান্ত পেটের সমস্যাকেও ডেকে আনতে পারে। তাই ভুঁড়ি নিয়ন্ত্রণে এখনই সচেতন হয়ে আলোচ্য পরামর্শগুলি মেনে চললে ফল পেতে পারেন হাতেনাতে।

যোগাযোগ: ৯০৩৮০ ০৮০৮২

 


Skip to content