শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী।

শিশু অবস্থা থেকেই দাঁতের যত্ন নেওয়া এবং দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখা যে কতটা প্রয়োজনীয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শিশুর দাঁতের সারি যাতে শক্তিশালী ও সুন্দর হয়, তা দেখার দায়িত্ব কিন্তু বাড়ির বড়দের ওপরই বর্তায়। কারণ, আপনার ছোট্ট ছানার নিজের যত্ন নেওয়ার মতো বোধবুদ্ধি তখনও হয়নি! ভালো ব্রাশ-পেস্ট দিয়ে নিয়মিত দু’ বেলা দাঁত পরিষ্কার, খাওয়ার পরে ভালো করে মুখ ধোয়া এগুলোর দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

বড়দের মতো ছোটদেরও দাঁতের যত্ন নেওয়া দরকার। তা না হলে গুরুতর সমস্যা হতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম ক্যাভিটি। এ ছাড়াও দাঁতে প্লেক, দাঁতে যন্ত্রণা, ভাঙা দাঁত, ছোপ পড়া দাঁতের মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। দাঁতের সঙ্গে মাড়ির যত্নও নেওয়াটাও খুব জরুরি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দাঁতের যত্নে দু-বার ব্রাশ করা জরুরি, তেমনই খাবারের উপর নজর দেওয়াটা দরকার। কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি শিশুর দাঁতের স্বাস্থ্য নষ্ট করে দিতে পারে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
 

কোন কোন খাবারে সতর্ক হতে হবে?

লজেন্স ও চকলেট

সব বাচ্চাই লজেন্স ও চকলেট খেতে পছন্দ করে। কিন্তু বাচ্চার দাঁতের জন্য সবচেয়ে ক্ষতি করে চিনিযুক্ত খাবার বা লজেন্স ও চকলেট। বিশেষজ্ঞদের মতে, লজেন্স চ্যাটচ্যাটে হওয়ায় তা দাঁতের মধ্যে লেগে থেকে যায়। ফলে সেখানে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়। মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকেই দাঁতে ক্যাভিটি তৈরি হয়। তা ছাড়াও এই সব খাবার দাঁতের এনামেল একেবারেই নষ্ট করে দিতে পারে।
খুদে যদি খুবই বায়না করে লজেন্স খাওয়ার জন্য, তাহলে তাকে মাঝে মাঝে দিন। তবে অবশ্যই প্রতিবার খাবার পরে ভালো করে মুখ ধুতে বলুন।

 

ড্রাই ফ্রুটস

ড্রাই ফ্রুটস খুবই স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে সেটা পরিমাণ মতো খেলে তবে। এতে আছে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন, খনিজ, লবণ, ফাইবার ইত্যাদি। তবে দাঁতের ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা সৃষ্টি করে এর আঠালো ধরনের জিনিস, যা সহজেই দাঁতে আটকে থেকে যায়। আর যেখান থেকে জীবাণু সংক্রমণ হয়ে দাঁতের ক্ষয় হয়।
 

পটেটো চিপস

আলুর চিপস এবং অন্যান্য চিপসে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ থাকে, যা চিনিতে রূপান্তরিত হয়। ফলে এগুলি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে দাঁতের ক্ষতি হয়। তাছাড়া, এই খাবারগুলি দাঁতের মধ্যে আটকে থাকতে পারে। ফলে ক্যাভিটি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। তাই ছোটরা যদি চিপস খেতে খুব বায়না করে তাহলে চিপস খাওয়ার পরে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করতে হবে।

আরও পড়ুন:

হেলদি ডায়েট: বেশি কলা খাওয়ার অভ্যাস কি স্বাস্থ্যকর? মারাত্মক কোনও রোগের কারণ হয়ে উঠবে না তো?

ডায়েট ফটাফট: ড্যাশ ডায়েট, এক ঢিলে কমবে ওজন ও রক্তচাপ

পর্দার আড়ালে, পর্ব-২৯: অমরগীতি ছবিতে রাজাবাবু চরিত্রে তরুণ মজুমদারের প্রথম পছন্দ ছিলেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়

 

সাইট্রাস ফল

টক জাতীয় ফল এবং ফলের রসেও উচ্চ অ্যাসিড থাকে, যা দাঁতের এনামেলের জন্য খারাপ। পাতিলেবু, মুসম্বি এবং কমলালেবু এই সবই অ্যাসিডিক প্রকৃতির। তবে কমলালেবুতে তুলনামূলক কম অ্যাসিড থাকে। তাই, আপনার বাচ্চাকে এই ফলগুলি খাওয়ান নির্দিষ্ট পরিমাণে। সাইট্রাস জুস পান করার সময় স্ট্র ব্যবহার করা যেতে পারে, এতে দাঁতে সরাসরি লাগবে না। ক্ষতিও কম হবে।
 

সাদা পাউরুটি

এই পাউরুটিতে থাকা কার্বোহাইড্রেইট দাঁতের গায়ে আটকে থাকে। যে কোনও খাবার যতবেশি সময় দাঁতের গায়ে আটকে থাকবে, ততই বাড়বে দাঁত ক্ষয় ও ‘ক্যাভিটি’ হওয়ার সম্ভাবনা।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫৫: নৌকো উল্টে সত্যেন্দ্রনাথের আইসিএস পড়তে যাওয়া বানচাল হতে বসেছিল

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২৮: পূর্ণ অপূর্ণ-র মাঝে পথ দেখায় ‘দেবত্র’

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৩: ‘তিসরি মঞ্জিল’ ছিল পঞ্চমের প্রথম অগ্নিপরীক্ষা

 

পপকর্ন

ভুট্টার থেকে তৈরি পপকর্ন স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবেই পরিচিত। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে বাচ্চার দাঁত খারাপ করে দিতে পারে এই খাবার। কারণ, পপকর্ন খাওয়ার সময় তা দাঁতের মধ্যে বা মাড়ির আস্তরণের নীচে আটকে যেতে পারে। এর ফলে মাড়িতে সংক্রমণও হতে পারে। পপকর্ন খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করাই ভালো।
 

কার্বোনেটেড পানীয়

কার্বোনেটেড জাতীয় পানীয় যে কোনও দাঁতের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর। কার্বোনেটেড পানীয় বাচ্চারা পান করলে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যায়। এর ফলে দাঁত ভঙুর হয়ে পড়ে। তাই কার্বোনেটেড পানীয় যদি ছোটরা পান করে তাহলে অবশ্যই খাওয়ার পরেই ভালো করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

আরও পড়ুন:

বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-১২: দক্ষ কর্মী নির্বাচন বনাম নারী সহকর্মী

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৬: দুয়ারে অপচ্ছায়া

গৃহিণীদের মধ্যে বইয়ের নেশা বাড়াতে কাঁধে ঝোলা নিয়ে ঘুরে বেড়ান রাধা, ‘চলমান পাঠাগার’ তাঁর পরিচয়!

 

হোয়াইট পাস্তা

এই খাবার চট জলদি ক্ষুধা নিবারণের জন্য আদর্শ। তবে এটাও আঠালো প্রকৃতির, যা দাঁতে আটকে থাকে। আটকে থাকা অবস্থায় তা ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়। তাই তা খাওয়ার পর অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করতে হবে।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content