ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
পুষ্টি স্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। এটি জীবনের সব পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিশুদের পুষ্টির ব্যাপারটি গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। কারণ, ছোটদের মানসিক ও শারীরবৃত্তীয় কাজ এবং বৃদ্ধির জন্য ভালো মানের পুষ্টির প্রয়োজন। তাই ওদের দৈনন্দিন খাবার এবং টিফিন বানানোর সময় নজর রাখতে হবে যেন তাদের পুষ্টির দিকটা বজায় থাকে। স্কুল টিফিন শিশুদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার কারণ এটি সকালের এবং দুপুরের খাবারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। অনেক সময় বাচ্চারা তাড়াহুড়োর কারণে স্কুলে যাওয়ার সময় ভালো করে খাবার খেয়ে যেতে পারে না। তাদের জন্য স্কুলের টিফিনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলের বাচ্চাদের কী টিফিন দেওয়া যায় তা নিয়ে মায়েরা খুবই উদ্বিগ্ন থাকেন। অনেক সময় দোকান থেকে ফাস্টফুড কিনে বাচ্চাদের টিফিন বক্সে দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু এটি খুবই অস্বাস্থ্যকর। স্কুল টিফিন পরিকল্পনা করার সময় কিছু বিষয় খেয়াল করা দরকার।
যে সব বিষয়ে নজর দেবেন
● সারাদিনে যতটা ক্যালোরি ও প্রোটিন খাওয়া দরকার তার এক-তৃতীয়াংশ থাকবে স্কুল টিফিনের মধ্যে।
● খাদ্যের পাঁচটি বিভাগ থেকে কিছু না কিছু অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
● একটা করে ফল রাখতে হবে যা ভিটামিন ও মিনারেল-এর চাহিদা পূরণ করবে।
● প্রতিদিন একই খাবার না দিয়ে বৈচিত্র আনা দরকার নয়তো শিশুদের আগ্রহ থাকবে না।
● বাড়িতে তৈরি খাবার দেওয়াই ভালো। দোকানের কেনা খাবারে অনেক সময় একই তেল বারবার ব্যবহার করা হয়, যা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য একদমই ঠিক নয়।
● প্লাস্টিকের টিফিন বক্স-এর পরিবর্তে স্টিল অথবা সিলিকনের বক্স ব্যবহার করা ভালো।
● ছোটরা যাতে যথেষ্ট পরিমাণে জল খায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। কোলড্রিংস অথবা কেনা জুস না দেওয়াই ভালো।
● টিফিন খাওয়ার আগে যাতে ভালো করে হাত ধুয়ে নেয় সে বিষয়ে তাকে বলে দিতে হবে। প্রয়োজনে টিফিন বক্সের সঙ্গে টিস্যু অথবা চামচ দিয়ে দিতে হবে।
এই সব টিফিনের কথা ভাবতে পারেন
● আলু, টমেটো, শসা দিয়ে ভেজিটেবিল স্যান্ডউইচ দেওয়া যেতে পারে।
● আটা দিয়ে তৈরি রুটি, পরোটা অথবা মাঝে মধ্যে লুচি তরকারিও দিতে পারেন।
● বাটার টোস্ট অথবা জ্যাম টোস্ট এবং তার সঙ্গে একটি সিদ্ধ ডিম দিন।
● একটা গোটা ফল যেমন কলা অথবা আপেল বা পেয়ারা দেওয়া যেতে পারে, যা ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার-এর চাহিদা পূরণ করবে।
● সবজি দিয়ে অনেক সময় কম তেলে স্টাফ পরোটা বানিয়ে দিন।
● অনেক সময় মুড়ি ছোলা অথবা মুড়ি বাদামও দেওয়া যেতে পারে।
চিপস, সসেজ, পেস্ট্রি এই জাতীয় খাবারগুলোকে বর্জন করাই ভালো। এই খাবারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট এবং সোডিয়াম থাকে যা বাচ্চাদের শরীরের জন্য একদমই ভালো নয়।
পুষ্টিযুক্ত খাবার শুধু অত্যাবশ্যক ম্যাক্রো এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট এর যোগান দেয় না, দীর্ঘক্ষণ স্কুলে টিকিয়ে রাখার জন্য সর্বোত্তম শক্তির মাত্রা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
গত প্রায় দু’বছর ধরে করোনার জন্য স্কুল, কলেজ সব বন্ধ ছিল৷ বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারেনি৷ ধীরে ধীরে করোনার মেঘ সরে গিয়েছে৷ স্কুল, কলেজ আবার খুলেছে৷ বাচ্চারা স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে এবং তাদের মনে আনন্দ ফিরে এসেছে৷ সেইসঙ্গে তাদের শরীর যাতে ভালো থাকে এবং পুষ্টিকর খাবার খায় সে বিষয়ে আমাদের নজর রাখতে হবে।
যোগাযোগ: ৯৪৩৩৯৯১৭১৫
চিপস, সসেজ, পেস্ট্রি এই জাতীয় খাবারগুলোকে বর্জন করাই ভালো। এই খাবারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট এবং সোডিয়াম থাকে যা বাচ্চাদের শরীরের জন্য একদমই ভালো নয়।
পুষ্টিযুক্ত খাবার শুধু অত্যাবশ্যক ম্যাক্রো এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট এর যোগান দেয় না, দীর্ঘক্ষণ স্কুলে টিকিয়ে রাখার জন্য সর্বোত্তম শক্তির মাত্রা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
গত প্রায় দু’বছর ধরে করোনার জন্য স্কুল, কলেজ সব বন্ধ ছিল৷ বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারেনি৷ ধীরে ধীরে করোনার মেঘ সরে গিয়েছে৷ স্কুল, কলেজ আবার খুলেছে৷ বাচ্চারা স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে এবং তাদের মনে আনন্দ ফিরে এসেছে৷ সেইসঙ্গে তাদের শরীর যাতে ভালো থাকে এবং পুষ্টিকর খাবার খায় সে বিষয়ে আমাদের নজর রাখতে হবে।
যোগাযোগ: ৯৪৩৩৯৯১৭১৫