ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
কী ধরনের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর পানীয় আপনার শরীরকে ঠিক রাখবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন সল্টলেক আমরি হসপিটাল -এর পুষ্টিবিদ শম্পা বর্মন। লিখেছেন সুদীপ্ত রায়।
বর্তমান ঘোড়দৌড়ের যুগ মানে যত রকম অনিয়মের চাষ। অনিয়মই এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের জীবনে। এই অনিয়মের চাপে পড়ে মানুষের শরীরের অবস্থা হয়ে উঠছে ঠিক স্যান্ডউইচের মতো। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের জন্য শরীরে জমছে অতিরিক্ত মেদ। আর অতিরিক্ত মেদ থেকে রক্তবীজের মতো জন্ম নিচ্ছে বিভিন্ন রোগ। সময়ের অভাবে নিয়ম মেনে ব্যায়াম করা হয়ে ওঠে না যাদের তাদের জন্য রইল সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানানো বিশেষ ধরনের পানীয়ের তালিকা যা পান করলে একদিকে যেমন খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে শরীরের সঠিক ওজন, তার সঙ্গে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ শরীরকে রাখবে সুস্থ—
● উষ্ণ গরম জলে মধু ও লেবু
শীত বা গরম যাই হোক না কেন সকালটা যদি শুরু হয় মধু-লেবুর মিশ্রণে এক গ্লাস উষ্ণ গরম জল দিয়ে তাহলে যেমন খুব সহজেই ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তেমনি বৃদ্ধি হবে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও। বিশেষ করে শীতের সময় সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লেগে হাঁচি কাশির ক্ষেত্রে এই পানীয় অনবদ্য ভূমিকা পালন করে। কারণ লেবুতে থাকা ‘ভিটামিন – সি’ এবং মধুতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে এক চামচ মধু, এক ফালি লেবু মিশিয়ে নিতে হবে। যদি কেউ এই পানীয়কে আরও সুস্বাদ করতে চান, তাহলে অল্প করে ওপরে দারচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে নিতে হবে।
● পাতাওয়ালা চা
আমরা দিনে অন্তত দু-তিন বার চা সকলেই পান করে থাকি। কিন্তু আমরা কি জানি লিকার চা আমাদের অজান্তেই শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে? উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ। চা-এর মধ্যে থাকা ক্যাটেচিন (Catechin) আমাদের শরীরকে মেদহীন রাখতে সাহায্য করে। গরম জলে চা পাতাকে ফুটিয়ে রেখে দেওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর সেই চা পান করলে মনও যেমন তরতাজা হয়ে ওঠে, তেমনি শরীরকে মেদহীন রাখার দিকে এক ধাপ এগিয়ে দেয়। আর চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফিন আমাদের শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে যা পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে চায়ের মধ্যে যেহেতু ট্যানিন থাকে তাই দু থেকে তিনবারের বেশি চা পান না করাই উচিত।
শুধু ওজন সমস্যাই নয়, এই লিকার চায়ের সঙ্গে একটু আদার রস আর তার সঙ্গে লবঙ্গ, গোলমরিচ, দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে মশলা চা তৈরি করে খেলে সর্দি-কাশি, গলা ব্যথার সমস্যা, হজম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় অচিরেই।
● দই-এর ঘোল
বিশেষত গরমকালে প্রচন্ড দাবদাহের হাত থেকে রক্ষা পেতে কার্বনেটেড কোল্ড ড্রিংকসই আমরা খেয়ে থাকি। কিন্তু এতে শরীরের কোনো উপকার হয় না উপরন্তু আমরা নিজেদের অজান্তে ওজন বাড়িয়ে ফেলি।
তাই গরমকালে প্রকৃতভাবে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য টক দইয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এক কাপ দই ফেটিয়ে অন্তত চার কাপ ঘোল তৈরি করা যেতে পারে। এর সাথে অল্প চিনি যুক্ত করে নেওয়া যেতেই পারে। এবার এর সাথে সামান্য বিট নুন ও গোলমরিচের গুঁড়ো ও জল মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ঘোল। এই পানীয়ে যেমন কম ক্যালোরি থাকে, থাকে তেমনি প্রোটিন। সুতরাং এই পানীয় ওজন হ্রাসের ক্ষেত্রে সদর্থক ভূমিকা নেবে।
● লাউ ও পুদিনা পাতার জুস
চার টুকরো লাউয়ের ফালি কে কুচি কুচি করে কেটে তার মধ্যে অল্প কিছু পুদিনা পাতা ও হাফ ফালি পাতি লেবুকে এক সাথে জুসার বা ব্লেন্ডার এর দ্বারা ব্লেন্ড করে পরিমান মতো নুন ও গোল মরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে প্রতিদিন সকালে বড় কাপের এক কাপ বা এক গ্লাস এই রস পান করা হলে ওজনের সমস্যা থেকে তো মুক্তি পাওয়া যায়। সঙ্গে এটি খাবার পরিপাকে প্রভূত সাহায্য করে।
মূলত সকালে খালি পেটে এটি পান করতে হয়। আর পুদিনা পাতা থাকায় এটা ভীষণ রিফ্রেশিং পানীয় হয়ে থাকে বিশেষত গ্রীষ্মকালে। তবে এটি শীতকালেও খাওয়া যেতে পারে।
● শশা ও ঘৃতকুমারীর জুস
ওজন কমাতে গেলে যে ফলগুলো আমাদের সাহায্য করে তাদের মধ্যে শশার স্থান সবার শীর্ষে। শশার সাথে ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা মিশিয়ে সেটা ব্লেন্ডারের সাহায্যে জুস তৈরি করে তার মধ্যে পরিমাণ মতো নুন, গোল মরিচের গুঁড়ো ও জিরের গুঁড়ো যদি মিশিয়ে পান করা যায় সেটি ওজন তো কমাবেই তার সঙ্গে হজম শক্তির উন্নতি করবে, শরীরের মেটাবলিজমকেও বাড়িতে দেবে। মূলত এই পানীয় খাবার আগে খেলে খাবার খুব সহজেই হজম হবে। এরফলে মেটাবলিজম রেট বেড়ে যাওয়ায় শরীরে সরাসরি মেদ জমবে না।
বাড়িতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে হাতের কাছে থাকা উপকরণ সহযোগে খুব সহজেই এই কটা পানীয় বানিয়ে নেওয়া যেতে পারলেই সুতনুর অধিকারি হওয়া যাবে অচিরেই।
যোগাযোগ: ৮৯৬১৩৯২৫০৬
শীত বা গরম যাই হোক না কেন সকালটা যদি শুরু হয় মধু-লেবুর মিশ্রণে এক গ্লাস উষ্ণ গরম জল দিয়ে তাহলে যেমন খুব সহজেই ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তেমনি বৃদ্ধি হবে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও। বিশেষ করে শীতের সময় সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লেগে হাঁচি কাশির ক্ষেত্রে এই পানীয় অনবদ্য ভূমিকা পালন করে। কারণ লেবুতে থাকা ‘ভিটামিন – সি’ এবং মধুতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে এক চামচ মধু, এক ফালি লেবু মিশিয়ে নিতে হবে। যদি কেউ এই পানীয়কে আরও সুস্বাদ করতে চান, তাহলে অল্প করে ওপরে দারচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে নিতে হবে।
আমরা দিনে অন্তত দু-তিন বার চা সকলেই পান করে থাকি। কিন্তু আমরা কি জানি লিকার চা আমাদের অজান্তেই শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে? উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ। চা-এর মধ্যে থাকা ক্যাটেচিন (Catechin) আমাদের শরীরকে মেদহীন রাখতে সাহায্য করে। গরম জলে চা পাতাকে ফুটিয়ে রেখে দেওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর সেই চা পান করলে মনও যেমন তরতাজা হয়ে ওঠে, তেমনি শরীরকে মেদহীন রাখার দিকে এক ধাপ এগিয়ে দেয়। আর চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফিন আমাদের শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে যা পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে চায়ের মধ্যে যেহেতু ট্যানিন থাকে তাই দু থেকে তিনবারের বেশি চা পান না করাই উচিত।
শুধু ওজন সমস্যাই নয়, এই লিকার চায়ের সঙ্গে একটু আদার রস আর তার সঙ্গে লবঙ্গ, গোলমরিচ, দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে মশলা চা তৈরি করে খেলে সর্দি-কাশি, গলা ব্যথার সমস্যা, হজম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় অচিরেই।
বিশেষত গরমকালে প্রচন্ড দাবদাহের হাত থেকে রক্ষা পেতে কার্বনেটেড কোল্ড ড্রিংকসই আমরা খেয়ে থাকি। কিন্তু এতে শরীরের কোনো উপকার হয় না উপরন্তু আমরা নিজেদের অজান্তে ওজন বাড়িয়ে ফেলি।
তাই গরমকালে প্রকৃতভাবে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য টক দইয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এক কাপ দই ফেটিয়ে অন্তত চার কাপ ঘোল তৈরি করা যেতে পারে। এর সাথে অল্প চিনি যুক্ত করে নেওয়া যেতেই পারে। এবার এর সাথে সামান্য বিট নুন ও গোলমরিচের গুঁড়ো ও জল মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ঘোল। এই পানীয়ে যেমন কম ক্যালোরি থাকে, থাকে তেমনি প্রোটিন। সুতরাং এই পানীয় ওজন হ্রাসের ক্ষেত্রে সদর্থক ভূমিকা নেবে।
চার টুকরো লাউয়ের ফালি কে কুচি কুচি করে কেটে তার মধ্যে অল্প কিছু পুদিনা পাতা ও হাফ ফালি পাতি লেবুকে এক সাথে জুসার বা ব্লেন্ডার এর দ্বারা ব্লেন্ড করে পরিমান মতো নুন ও গোল মরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে প্রতিদিন সকালে বড় কাপের এক কাপ বা এক গ্লাস এই রস পান করা হলে ওজনের সমস্যা থেকে তো মুক্তি পাওয়া যায়। সঙ্গে এটি খাবার পরিপাকে প্রভূত সাহায্য করে।
মূলত সকালে খালি পেটে এটি পান করতে হয়। আর পুদিনা পাতা থাকায় এটা ভীষণ রিফ্রেশিং পানীয় হয়ে থাকে বিশেষত গ্রীষ্মকালে। তবে এটি শীতকালেও খাওয়া যেতে পারে।
ওজন কমাতে গেলে যে ফলগুলো আমাদের সাহায্য করে তাদের মধ্যে শশার স্থান সবার শীর্ষে। শশার সাথে ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা মিশিয়ে সেটা ব্লেন্ডারের সাহায্যে জুস তৈরি করে তার মধ্যে পরিমাণ মতো নুন, গোল মরিচের গুঁড়ো ও জিরের গুঁড়ো যদি মিশিয়ে পান করা যায় সেটি ওজন তো কমাবেই তার সঙ্গে হজম শক্তির উন্নতি করবে, শরীরের মেটাবলিজমকেও বাড়িতে দেবে। মূলত এই পানীয় খাবার আগে খেলে খাবার খুব সহজেই হজম হবে। এরফলে মেটাবলিজম রেট বেড়ে যাওয়ায় শরীরে সরাসরি মেদ জমবে না।
বাড়িতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে হাতের কাছে থাকা উপকরণ সহযোগে খুব সহজেই এই কটা পানীয় বানিয়ে নেওয়া যেতে পারলেই সুতনুর অধিকারি হওয়া যাবে অচিরেই।
যোগাযোগ: ৮৯৬১৩৯২৫০৬