ছবি প্রতীকী।
ডাবের জল হল ডাবের ভিতরে থাকা স্বচ্ছ জল। বিভিন্ন দেশের মানুষ সেই প্রাচীনকাল থেকেই ডাবের জলকে পানীয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের জন্য আদর্শ একটি পানীয় হল ডাবের জল। গর্ভবতী মহিলাদের জন্যেও এটি একটি উৎকৃষ্ট পানীয়। গ্রীষ্মকাল তো বটেই সারা বছরই ডাবের জলের চাহিদা তাই একইরকম থাকে। যে সমস্ত শিশু জল খেতে চায় না তাদের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশন রোধ করতে জলের বিকল্প হিসাবে ডাবের জল দিলে শিশুরা তা সহজেই পান করে।
ডাবের জলের উপকারিতা
ডাবের জল পুষ্টিগত দিক দিয়ে বেশ সমৃদ্ধ। এতে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম সহ বিভিন্ন খনিজ লবণ। ১০০ গ্রাম ডাবের জল থেকে ২০ কিলো ক্যালোরি পাওয়া যায়। ঔষধি গুণও আছে।আগেকার দিনে স্যালাইন হিসেবে সরাসরি শিরায় ইঞ্জেক্ট করা হত ডাবের জল। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরে ফ্লুইড ব্যালান্স রক্ষা করত ও ডিহাইড্রেশন রোধ করত। এছাড়াও ডাবের জলের আরও অনেক উপকারী দিক আছে যেমন:
● ডাবের জল কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
● মূত্র পরিস্রুত করতে ও মূত্রনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
● ডায়ারিয়া হলে ডাবের জল খাওয়ালে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট-এর সমতা ফিরিয়ে আনে।
● গ্যাস্ট্রাইটিস বা এসিডিটি রোধ করতে ডাবের জল সহায়তা করে।
● ডাবের জলের অ্যান্টিসেপটিক কার্যকারিতা থাকায় ব্রণ বা পক্সের দাগ, কাটাছেঁড়া দাগ মিলাতে সাহায্য করে।
এই সমস্ত কারণে ডাবের জল কিন্তু খুবই উপকারী পানীয় হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
সাবধানতা
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডাবের জল ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। যেমন:
● কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে ডাবের জল চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া দেওয়া যাবে না।
● শরীরে পটাশিয়াম বেড়ে আছে এমন অবস্থায় অর্থাৎ হাইপারক্যালেমিয়া হলে ডাবের জল দেওয়া যাবে না।
● রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়ায় এমন কিছু ওষুধ চললে সে সময় ডাবের জল না দেওয়া ভালো।
● হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে ডাবের জল চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে দেওয়া উচিত।
● ফ্লুইড ওভারলোড হলেও ডাবের জল ব্যবহারের আগে সতর্ক হতে হবে।
তাই আট থেকে আশি যে কোনও বয়সে খাদ্যতালিকায় ডাবের জল রাখার আগে সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়াও অন্যান্য অনেক উপকরণ যেমন কফি বা লেমন ইত্যাদির সঙ্গে ডাবের জল মিলিয়ে অনেক রকম খাদ্য বানাতেও ডাবের জুড়ি মেলা ভার। কচি ডাব থেকে নারকেল হওয়া অবধি ডাবের জল ব্যবহার করা যায়। তাই রোগী থেকে ভোগী ডাবের জলের ভক্ত সবাই।
যোগাযোগ: ৮৯৬১৩৯২৫০৬
ডাবের জল পুষ্টিগত দিক দিয়ে বেশ সমৃদ্ধ। এতে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম সহ বিভিন্ন খনিজ লবণ। ১০০ গ্রাম ডাবের জল থেকে ২০ কিলো ক্যালোরি পাওয়া যায়। ঔষধি গুণও আছে।আগেকার দিনে স্যালাইন হিসেবে সরাসরি শিরায় ইঞ্জেক্ট করা হত ডাবের জল। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরে ফ্লুইড ব্যালান্স রক্ষা করত ও ডিহাইড্রেশন রোধ করত। এছাড়াও ডাবের জলের আরও অনেক উপকারী দিক আছে যেমন:
এই সমস্ত কারণে ডাবের জল কিন্তু খুবই উপকারী পানীয় হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডাবের জল ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। যেমন:
তাই আট থেকে আশি যে কোনও বয়সে খাদ্যতালিকায় ডাবের জল রাখার আগে সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়াও অন্যান্য অনেক উপকরণ যেমন কফি বা লেমন ইত্যাদির সঙ্গে ডাবের জল মিলিয়ে অনেক রকম খাদ্য বানাতেও ডাবের জুড়ি মেলা ভার। কচি ডাব থেকে নারকেল হওয়া অবধি ডাবের জল ব্যবহার করা যায়। তাই রোগী থেকে ভোগী ডাবের জলের ভক্ত সবাই।
যোগাযোগ: ৮৯৬১৩৯২৫০৬